
মেলায় এসে কেমন তোমার সাথে দেখা হয়ে গেল!
ঐ সেবারের বৈশাখী দিনটা মনে আছে তোমার?
সবুজ জমিনের পাঞ্জাবী পড়েছিলাম আমি,
তোমার শরীরে লক্ষ পলাশের রঙ!
পকেটে রুমাল আর রুদ্রাক্ষের মালা গলায়
সারা দুপুর রৌদ্রে দাপাদাপি, টিএসসি শাহবাগ
পান্তা ইলিশ আর মুঠো মুঠো বাদাম,
সন্ধ্যের বাতাসে গিয়ে থেমেছিলাম তোমার দরজায়!
আচ্ছা, পুরোনো কথা তুলে তোমায় বিরক্ত করছি না তো?
যেমনটা করত আমার কবিতা! কিংবা আমার প্রেম!
কি করব বলো! সস্তা কাব্য আর বোকা ভালবাসা,
তোমাকে দেবার মত আর কিছুই আমার ছিল না।
তুমিও সেসব চাওনি অবশ্য!
বোকা তুমি! বোকা আমি!
আর ক’টা দিন আগে যদি বলতে তোমার স্বপ্নের কথা
জানাতে যদি স্বর্গচ্যুত কোন ডালিমকুমারের অপেক্ষা,
তোমাকে নিয়ে আমি হয়ত কোন রঙধনু গড়তাম না
ভুলে ভরা জীবনে আর একটা ভুল বাড়াতাম না।
সেদিন রাতে তোমার ক্যাম্পাসে ফিরবার কথা ছিল।
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে তোমাকে বিদায় দিয়েছিলাম,
প্রথমবারের মত। এবং শেষবার!
রেললাইনের মত জীবন আমাদের
এক বিন্দুতে পৌঁছাবার দু:সাহস করেছিলাম যদিও;
তোমার কাছেই হয়েছিল আমার সত্যের হাতেখড়ি
ট্রেনটা তবু যাবার আগে বাজিয়েছিল বিদায় বাঁশি!
যাক গে, অনেক কথাই বললাম ফেলে
হয়তবা মনের ভুলেই, চাইবো তোমায় পরজন্মেও,
হাহা, সে কি! ভয় পেয়ো না,
এবার আমি রাজাই হব, দেখে নিও!
যাবে এখন? আচ্ছা, ভাল থেকো খুব।
আর শোনো!
শুভ বৈশাখ!