
লেখক একজন সাধাসিধে দেড় হাতা মানুষ। নিজেকে ঊনবিংশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণকারী ‘উইজার্ড অব অজ’ দাবি করেন। বেইথোফেন যখন ফিফথ সিম্ফোনি কম্পোজ করছিলেন, তিনি নাকি পাশে বসে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন। ভ্যান গোউয়ের “সানি ডে”র বদলে “স্টারি নাইট” আঁকার বুদ্ধিটাও তাঁর দেয়া। ভিক্টোরিয়ান পিরিয়ডে পুরো বিশ্বটা তাঁর হেঁটে হেঁটে দেখা! লেখকের প্রথম প্রেম হারকিউলিস। একিলিস, হেক্টর ছিল ক্রাশের মত। গ্রীক মিথলজি ছাড়াও রোমান সাম্রাজ্য, প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতা, দুটি বিশ্বযুদ্ধ ইত্যাদিতে প্রচুর আগ্রহ। সুপারলেটিভ ডিগ্রীর পটার পাগল। ভীষণ রকম কল্পনাবিলাসী। হয়তো একারণেই কোনোসময় বোর হন না। সদ্য স্নাতক পাশ করা বেকার যুবকটির সময় কাটে, সিন্ডারেলার কাঁচের জুতা যদি সিন্ডারেলার পায়েই মানানসই হয় তাহলে খুলে গেছিলো কেন এসব ভেবে! চিন্তা করা যায়? প্রচুর হাসতে ভালোবাসেন, কিন্তু আফসোসের ব্যাপার কাউকে হাসাতে পারেন না। ব্যাট নিয়ে বেশীক্ষণ দাঁড়াতে না পারলেও ক্রিকেটের বদ্ধ উন্মাদ এবং মোটামুটি মানের স্পিন বোলার। ব্যাডমিন্টনে পারদর্শী। তবে এখন আর কোর্টে নামা হয় না, সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া ভূঁরিটা বাঁধ সাধে। পড়তে ভালোবাসেন, কিন্তু লিখতে জানেন না। তাঁর গল্প হয় নাটকের স্ক্রিপ্টের মত, কবিতা হয় ফিফথ স্ট্যান্ডার্ড ছড়ার মত। তাহলে নিজেকে লেখক দাবি করেন কোন যুক্তিতে? মানুষ যদি তাঁর গল্প পড়ে পাঠক দাবি করে, সম্পূরক হিসেবে তিনিও নিজেকে লেখক দাবি করতেই পারেন! তাই পাঠকদের কাছে আকুল আবেদন, লেখকের সৃষ্টিগুলো নিয়মিত পড়বেন, আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে হ্যামিলনের হাসিওয়ালার পাশে না থেকে ঘাড়ে থাকবেন যেন ভুল/ত্রুটি এড়িয়ে পরবর্তীতে আরো ভালো লিখতে পারেন। গ্রাসিয়াস!