
লেখকঃ চিন্ময়ের ইতিকথা
আদি ভৌতিকতার নীল আতঙ্কই অন্ধকারের অস্ত্র……….
১.
ঠাশশ।
চড়ের একটা শব্দ হল। রাগে থরথর করে ভূমিকম্পের বাড়িঘরের মত
কাঁপছে অলক। চোখ দুটো যেন রক্তকরবী ফুলের মতো লাল টুকটুকে
হয়ে আছে। আর কান দিয়ে বেরুচ্ছে অাগ্নেয়গিরির বাষ্পের মত
অদৃশ্য ধোঁয়া। তার বাবা তাকে একটা সামান্য কারনের জন্য চড়
মেরেছে! তার বাবার ড্রয়ার থেকে ২৫০০০ টাকা সরাবে বলে তাকে
এইভাবে বাড়ির চাকরবাকর দের সামনে অপমান করবে? বিশাল
কোটিপতি বাবার একমাত্র ছেলেকে কি কিছুই দিবে না!
বাবার কাছে এই টাকা কিছুই না! আজ যদি মা থাকত, তাহলে মা
চাওয়ার সাথে সাথেই দিয়ে দিত। বাবার সামনে থেকে অলক চলে
এলো।
***
অলকের বাবা সুধাংশু ছিল গরীব ঘরের ছেলে। নুন আনতে পান্তা
ফুরোয় এই অবস্থাতেও ছিল না কারন পান্তাই যোগার হতো না
আবার নুন….
ভাগ্যের অন্বেষণে শহরে এসে লটারির টিকেট কাটে। আর তার
ভাগ্যদেবী যেন ছিল অত্যন্ত বেশী পরিমান সুপ্রসন্ন। প্রথম
পুরষ্কার টা তার হাতেই আসে। সেই টাকা শেয়ার মার্কেটে খাটিয়ে
বহুগুণ লাভ করেছে।তারপর বিভিন্ন জায়গায় ব্যাবসা ফেঁদে তার
আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়ে গিয়েছে। তারপর তিনি বিয়ে করেন এক
পরমা সুন্দরী মেয়েকে। বিয়ের দু বছরের মাথায় প্রমিলা দেবী মানে
সুধাংশুর স্ত্রী মারা যায়। তার মৃতদেহে অদ্ভুত রকমের আঁচড়ের দাগ
পাওয়া যায়। জানা যায় নি কোন কারনে মারা গেছেন। তবে বলে
গেছেন যে তার ঘরটা মৃত্যুর পর তালাব্ধ করে রাখতে।সেই ঘর
আজো তালাবদ্ধ আছে।
রাত্র ৯ টা।
অলক এবার আঠারো তে পা দিল। এই বয়সে মদ জুয়া সব কিছুই তার
নখদর্পনে। বাবা তাকে মাদক পূর্ননির্বাসন কেন্দ্রে,পাঠিয়েছিলো।
তবে সেই নেশা কি আর যায়?
অনেক দিন পর কেন যেন মায়ের কথা খুব মনে পরছে তার। মাকে
দেখতে ইচ্ছে করছে।চরিত্র,যতই খারাপ হোক মাতৃভক্তিটা মাঝে
মাঝে চাগাড় দিয়ে উঠে। এখন বাসায় কেউ নেই। আজ সে মার রুমে
ঢুকবে। বাবার ডেস্ক থেকে মার রুমের চাবিটা আস্তে করে বের করল
সে। তারপর সে এগুচ্ছে মায়ের রুমের দিকে। চাবিটা দিয়ে তালাটা
খুলল। অনেক দিনের তালা।
দরজায় ধাক্কা দিল। ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ করে দরজাটা খুলে গেল।
ভেতরের দিকে তাকাল। রুমটা কেমন যেন ঠান্ডা আর হিমশীতল।
সোঁদা গন্ধ।
কেমন যেন অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজমান। জানালাটা খুলে
দিল। সপ্তমীর চাঁদ যেন মেঘের
ফাঁকে ফাঁকে ছড়িয়ে দিচ্ছে তার রূপালী আতঙ্ক। আর সেই
আতঙ্কেরাও যেন সেই রুমের হিম মৃত্যুশীতল মর্গনিরবতা বিষাদ
তমসার কাছে আজ পরাজিত।
হঠাৎ ই চোখে পড়ল তার মার বক্স খাট টা। এগিয়ে গেল।। খাটের
নিচের বক্স টা। হাতল ধরে টান দিল। ড্রয়ার টা বের হয়ে গেল।
একটা ট্রাংক দেখল সেখানে।
উপরে লাল কালিতে লেখা “ভুডু”। ****
যথেষ্ট পরিমান কৌতুহলের সাথে সে বাক্সটা নিয়ে আসল তার
ঘরে। বাক্সটাতে তালা মারা। সে তালাটা খুলতে চেষ্টা করল। কিন্তু
ভাঙতেও ব্যার্থ হল। সে এটা রেখে দিল। তার খাটের নিচে। পরদিন।
কলেজে তার ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্রটাকে তলব করল। ভয়ে
ভয়ে সে তার সামনে এলো। সে হেসে বললঃ আমি কি বাঘ ভাল্লুক
টাইপ কিছু যে আমায় দেখে ঠ্যাং কাপাকাপি করতে হবে?
রবিন তোমার কাছে একটা জিনিস সম্পর্কে জানতে এলাম। রবিনঃ
বলো।
-ভুডু কি?
-হঠাৎ এই প্রশ্ন?
-তুমি বুদ্ধিমান ছেলে। তুমি তা বুঝতে পারবে।
সে সবকিছু খুলে বলল। তারপর রবিন – শোন, আমি কাল তোমাকে
সবকিছু জানাব। কাল কলেজে এসো। রাতটা কেমন যেন ছটফট
ছটফট করতে করতে পার হল অলকের। সকালে অলকের কলেজ
যাওয়ার বহর দেখে তার বাবার ভিরমি খাওয়ার দশা। মনা মনে খুশি
হল।কলেজের পথটা যেন উড়ে চলে গেল সে।
কলেজে সে রবিনের মুখে সবকিছু শোনার পর তার ঠোঁটের কোনে
শয়তানি এক হাসির ঝিলিক চলে এলো।
না, না, সেই হাসিটা শয়তানি কোন হাসি না!
সেটা ছিল বীভৎস ঘৃনার ফসল….. এক জঘন্য পরিকল্পনা…….
৩.
রবিনের কথাগুলো তার কানে ঘন্টার মত ঢং ঢং করে বাজছিলো।
রবিন বলেছিলো
– ভুডু বলতে আজ অবশ্য হাইতির ধর্ম কেই বোঝায়। এর কৃত্য
(রিচুয়াল) জটিল ও দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে। উপাসনার ভাষা অপরিচিত
বা গুপ্ত। (আসলে উপাসনার ভাষা ফন ও আরাওয়াক ভাষার
মিশ্রণ।) ভুডু কৃত্যে নাচ একটি অনিবার্য অঙ্গ । নাচের সময়
পূর্বপুরুষের আত্মা কাছাকাছি থাকে…নৃত্যরত ভক্তকে ছুঁলে
পরিনতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। পুরোহিত ও নারী পুরোহিতের জন্য
রয়েছে বিশেষ বিশেষ খাদ্য। তাবিজ-কবজও ভুডুর অনিবার্য অঙ্গ।
ভুডু দেবতার মূর্তি, পশুর শুকনো মাথা, কিংবা শরীরের অন্যান্য
অঙ্গ বিক্রি হয় ঔষধি হিসেবে- যা অশুভ শক্তি দূর করতে পারে।
কিংবা মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে। আর তা কালো যাদুর
অন্তর্গত। মোটকথা ধর্মীয় একটা কালো দিককেই বর্তমান মানুষ
ভুডু বলে থাকে। আর এর যাদুমন্ত্র ক্ষমতা আছে। এর সাহায্যে
কোন পুতুলের গায়ে পিন ফুটিয়ে মানুষ কে মারা যায়। পুতুলের যে
জায়গায় পিন ফোটানো হয় মানুষের সে জায়গাটা অবশ হয়ে যায়।
বুকে পিন ফোটালেই মৃত্যু। তার শেষের কথাটা এখনো মনে বাজছে।
পুতুলের বুকে পিন ফোটালেই মৃত্যু। কত সহজ
বীভৎস….
মৃত্যু
ঘরের একপাশ থেকে অপরপাশে পায়াচারি করছে অলক। রবিন
আসবে বলেছে। এখনো আসছে না কেন? বাসায় নিরবতা বিদ্যমান।
এক ভৌতিক নীরবতা। কেন যেন মনে হচ্ছে বাক্সটা অনর্থ ঘটাবে।
কিন্তু কৌতুহল গুলো যে বড় বেপরোয়া। ইলেকট্রিক করাত টা
আবার রান করে দেখল ঠিক আছে কি না। কারন সেই করাত দিয়েই
বাক্সটা কাটা হবে। হঠাৎ তার বুকটা ধুপ করে উঠল কিসের একটা
আওয়াজে। ভয় থেকেই এসব হচ্ছে। নয়তো সাধারন একটা
কলিংবেলের আওয়াজে এত ভয়! গিয়ে দেখে রবিন এসেছে। রবিনকে
নিয়ে তার ঘরে চলে এলো। দরজাটা সন্তপর্নে ভেজিয়ে দিল সে।
খাট থেকে বের করল সেই রহস্যাবৃত কুহেলি কে। প্লাগ লাগাল।
তারপর ইলেকট্রিক করাত চালু করল। অলক কে দেখে সে মুর্হুর্তে
মনে হচ্ছিলো কোন ভয়ানক খুনি! করাতটা ঘ্যাঁচ করে নামিয়ে দিল।
মুখ থেকে অস্ফুট একটা আওয়াজ বের হল রবিনের। বক্সের তালাটা
খুলে গেছে। করাতটা বন্ধ করল। যেই না ডালাটট তুলবে বক্সের
অমনি কারেন্ট চলে গেলো।
-কি মুসকিল অলক!
-বস। আমি মোমবাতি নিয়ে আসছি। জেনারেটর ছাড়তে দেরী হবে।
কারন বাসায় কেউ নেই। -একা বসে থাকব!
-ভয় পাচ্ছ?
-তা না। তবে……
-আমি যাব আর আসব।
অলক চলে গেল। রবিন ভয়ে ভয়ে ডালাটাতে হাত দিল। কেমন যেন
একটা গরম গরম ভাব। হঠাৎ করে শোনে করিডরে কে যেন টকটক
টকটক করে হাটছে। অলক তো এভাবে হাটে না। কেমন যেন পা
ছেঁচড়ে হাটে। দরজার পাশে এসে থামল। রবিনের হাতের তালু ঘামছে।
হঠাৎ করে কে যেন তার সামনে এসে মরন চিৎকার দিল! রবিন চেঁচিয়ে
উঠল
-বাঁচাও, বাঁচাও।
-আরে আরে আমি! এত্তো ভীতু তুমি! ভয় দেখিয়ে মজা পাওয়া
যায়।
-আমি এক্ষুনি চলে যাব।
-আরে মজা করছিলাম। ঠিক আছে সরি। আর করব না।
তারা দুজনে মোমবাতি টা জ্বালাল। আস্তে আস্তে বাক্সের ডালাটা
খুতে লাগল। ভিতরের দিকে দুজনেই একসাথে তাকাল।
ভিতরের দিকে তাকিয়ে তাদের মুখ হা হয়ে গেলো। হাড়গোড় সহ
আরো অনেক ধরনের শিকরবাকরে ভর্তি। হাত দিয়ে নামাতে লাগল
সব। নিচে একটা জিনিসে অলকের হাত ঠেকে গেলো। জিনিসটা বের
করে আনল।
একটা বই।
উপরে নাম লিখা “ভুডু”।
বইটা খুলে দুজনে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। একটা অধ্যায়ে চোখ আটকে
গেল দুজনেরই।
“অপমৃত্যু “।
অনেক ধরনের নিয়মকানুন আছে বইটাতে।
কারো মৃত্যু ঘটাতে যা যা লাগবে! খাতা কলম জোগার করে ঘসঘস
করে জিনিসগুলো লিখে নিল অলক। বেরিয়ে পড়ল বইটা রেখে।
*****
-অলক আমাদের এটা করা ঠিক না। -তুমি কি আমার সাথে থাকবে!
না থাকলে নেই! আমি কিছু বলব না। -কিন্তু কারো জীবন নিয়ে
ছিনিমিনি খেলা!
-জীবনের কথা বল ছো! এটা ভূয়া। আর আমি তা প্রমান করে দেব
আমার অতি প্রিয় মানুষটাকে ভুডু করে। -কিন্তু যদি কিছু হয়ে যায়
তার দ্বায়ভার আমি নিতে পারব না। -কিছুই হবে না!
কৌতুহলে বিড়াল মরে এই কথাটা বোধহয় তাদের জানা ছিলো না।
শহরের প্রানকেন্দ্রে একটা ভেষজ উদ্ভিদ বিক্রি করার দোকান
আছে। তারা সেই ধূসর রং করা ছাতাপড়া এক প্রাচীন দোকানে
ঢুকল। দোকানের আসবাব পত্র একযুগ আগের। কেমন যেন
জীর্ণতার ছাপ। সহসা অলক দোকানের মালিককে বলল
-কিছু ভেষজ দিনিস কিনতে হবে। -বল কি লাগবে।
– হরিদ্রা, বচ, কুঁড়, পিপুল, শুঁঠ, বনযমানী, ঘৃতকুমারী, যষ্টিমধু। –
এগুলো কিসের জন্য!
-না মানে অনুবীক্ষন যন্ত্রের মাধ্যমে এগুলো দেখব। জিনিসগুলো
কিনে তারপর চলল তারা পেট শপে।
বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি আছে। সেখান থেকে একটা সাদা বিড়াল ও
একটা কালো বিড়াল কিনল। তারপর রওনা দিল সে বাসার দিকে।
সন্ধ্যা হয়ে আসছে। আজ নাকি ভূত চর্তুদর্শী। অপশক্তিরা আজ
না কি সবচেয়ে বেশী দাপটে থাকে।
বাসায় এলো তারা। পুরো বাসা খালি। তার বাবার আসতে আসতে
রাত্র হবে আজ। পুরো বাসাটা জুড়ে যেন বিরাজ করছে পিনপাতনিক
নিরবতা। গাছের পাতায় বাতাস বইলে যেমন শব্দ করে সে রকম
একটা শব্দ আসছে। অলক বিড়ালটাকে হাতে নিল। ঘ্যাচ করে ছুড়ি
বসিয়ে দিল বিড়ালটার গলা লক্ষ্য করে। দুটো বিড়াল কে বলি দিয়ে
তাদের রক্ত একটা পাত্রে রাখল। লাল রঙের মোমবাতি দিয়ে
বানানো হল শয়তানের প্রেতচক্র। মোমবাতির ছায়াগুলো অনবরত
কাঁপছে। যেন মনে হচ্ছে প্রেতনৃত্য। একটা টিকটিকি টিক টিক করে
ডেকে জানিয়ে দিল তার অস্তিত্ব। ভেষজ উদ্ভিদগুলো একসাথে
করে সে বেটে নিল। তাতে মিশাল সে দুই বিড়ালের রক্ত। কিছু
আলপিন ছেড়ে দিল সে মিশ্রনে। তারপর পুরো বাটিটা হাতে ধরে
মাথার উপর তুলে বিড়বিড় করে পড়তে লাগল বইয়ে নির্দেশিত
মন্ত্র। মন্ত্র পড়া শেষ। এবার হাতের কড়ে আঙুলে রক্ত নিল সে।
সেই মিশ্রিত রক্তটা। তারপর প্রধান উপাদান হাতে নিল। পুতুলটা।
পুতুলের পিছনে নাম লিখল সে। সুধাংশু!
তার বাবার নাম।
রবিন কি করবে তা বুঝতে পারছে না।!
ক্রুর হাসি হাসল রবিনের দিকে চেয়ে।
তারপর পিনগুলো নিল সে। রক্তে ভেজা পিনগুলো থেকে রক্ত চুঁইয়ে
হাত বেয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় পরছে। সেদিকে তার বাবা গাড়ি থেকে
নেমে বাসার সামনে দাড়িয়ে আছে। হাত দিতে যাবে বেলে এমন সময়
তার হাতটা অবশ হয়ে গেলো। অাতঙ্কে সুধাংশুর চোখ ডিমের মত
বড় বড় হয়ে গেছে। সে হাত নাড়াতে পারছে না। সেদিকে অলক
একটা পিন ঢুকিয়ে দিল পুতুলের হাতে। রবিন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে
গেছে। কি করবে সে নিজে বুঝতে পারছে না। এবার আরেকটা হাতে
ঢুকিয়ে দিল সে পিন। অপরহাত ও অবশ হয়ে গেল সুধাংশুর। পা
দুটোও অবশ হয়ে গেছে তার। মাটিতে পড়ে আছে সে। একটা চোখ
দিয়ে যেন পিনের মত কিছু ঢুকল। চোখ গলে রক্ত পড়তে লাগল।
গলে গেল তার অপরচোখ ও। বুকটা কেমন করে উঠল। মৃত্যুর কোলে
ঢলে পড়ল সে।
পিশাচের হাসি হাসছে সেই অলক। তার কাজ শেষ! হঠাৎ ধ্রীম ধ্রীম
শব্দে কাঁপছে ঘর। থরথর করে কাঁপছে রুমের জানালা আর
দরজাগুলো। ঝনঝন করে ভাঙছে তৈজসপত্র। সারা ঘরে চুলপোঁড়া
এক গন্ধ। গন্ধটা যেন আস্তে আস্তে তীব্র হতে থাকল।
সেই ধোঁয়াশার মাঝে অলক যা দেখল তা অবিশ্বাস্য অকল্পনীয়
অচিন্তনীয়। দেখল যে মরা পচা গলা সাপের মত আবার কুমিরের
মিশ্রন একটা জীব তার সামনে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে
যেন হাজারটা বিজলী একসাথে গর্জন করে উঠল।
-আমার বলি কোথায়!
– ক্ক.. ক্ক..ক্কিসেররর বল্ল…ল্লি! -কাজ করেছি আমি। আমার
বলি দে! -বলি তো নেই!
কথাগুলো বলতে গিয়ে যেন তার পেটের মাঝে হাজারটা শুঁয়োপোকা
ঢুকে গেছে। কিলবিল করছে সেসব শুঁয়োপোকা। আস্তে আস্তে
এগুচ্ছে রবিনের দিকে। সেই নারকীয় প্রেতটা। খামচা দিল তার বুকে।
বের করে আনল তার হৃদপিন্দ। কচকচিয়ে খেয়ে ফেলল।
তারপর এগুতে লাগল অলকের দিকে! ঘর্মাক্ত শীতল আতঙ্কে
আতঙ্কিত সেই অলকের চোখে ভাসছে রবিনের অবস্থা। একটু পর
তারও সেই অবস্থা হবে।
এগুচ্ছে সেই জীবটা। ধীরে… অতি ধীরে…………..