
লেখকঃ হোসেন মাহমুদ
মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল দিন আসে। এই স্পেশাল দিন গুলো আরও বেশি স্পেশাল হয়ে উঠে, যদি নিজের স্পেশাল কেউ পাশে থাকে। আমার আছে তেমন একজন। হুম ঠিকই ধরেছেন, আমার বাবুর কথা বলছি। বাবু আমার জীবনে আসার পর থেকে, বাবুর সাথে অতিবাহিত করা প্রত্যেকটা দিনই আমার কাছে স্পেশাল।
কাল ঈদ, দুজন মিলে শপিং করেছি বাবুর জন্য। আমার জন্য কিছু কেনা হয়নি এখন অবধি। প্রতি ঈদে আমার জামা বাবু নিজের পছন্দে কেনে। কিন্তু এই ঈদে কি হল কে জানে? বাবু একবার ও আমার কেনা কাটার কথা বলছে না। এই জন্য যদিও কিছুটা মনখারাপ, তারপর ও বাবুর কেনাকাটার হিড়িক দেখে নিজেকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করছি। বাবুর হাসি কিংবা কিঞ্চিৎ সুখ আমার নিজস্ব বলে গণ্য করা আমার ধ্যাতে সয়ে গেছে। তাই হয়তো নিজের জন্য তেমন ভাবছি না। কিন্তু তারপর ও বুঝতে পারছি না, বাবু কি ইচ্ছে করেই এই ঈদে আমার জন্য কিছু কিনছে না, নাকি ভুলে গেছে। ধুর, কি ভাবছি এই সব, আমার কথা বাবু ভুলে যাবে? প্রশ্নই উঠে না।
একবার ভাবলাম বাবুর হাতে টাকা নাই বোধহয়, বাবুর ক্রেডিট কার্ড তো ঐ দিন রি-লোড করে দিলাম, আর তার একাউন্টেও টাকা ঢেলে দিলাম। সুতরাং টাকা না থাকার প্রশ্নই আসে না। সেই যাই হোক, হয়তো ঈদের দিন সকালে কিছু একটা নিয়ে হাজির হবে। আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য আগ বাড়িয়ে কিছু বলেনি। বাবুর জন্য আড়ং আর অঞ্জন্স থেকে দুইটা পাঞ্জাবী আর একটা ফতুয়া কিনলাম। কিছু টি-শার্ট ও কেনার দরকার। বাবুকে বললাম সন্ধ্যায় বসুন্ধরায় যেতে। বাবু বলে, বসুন্ধরায় নয় নিউ মার্কেট যাবে সে। দর দাম করে টি-শার্ট কিনবে। তার মতে, কেনা কাটার আসল মজা হল দামাদামিতে। ফিক্সড দামে জিনিষ কিনে বড়লোক শ্রেণীর পবিত্র গাধারা। পবিত্র গাধা!! কথাটা শুনেই আমার হাসি পেল। এত দিন জানতাম পবিত্র গাভী, এখন সে মডীফাই করেছে গাধা। যাই হোক বাবুর কাছে নিজেকে পবিত্র গাধা বানাতে ইচ্ছে করল না, তাই বাধ্য হয়েই নিউ মার্কেট গেলাম। এক গাধা টি-শার্ট কিনল সে। বাবু দোকানদারদের সাথে এমন ভাবে দর কষা-কষি করল লজ্জায় আমি লাল হয়ে গেলাম। আমার চেহারা দেখে বাবু বলে, তুমি ঐ কর্নারে চলে যাও। ভাল গরুর দুধের চা পাওয়া যায় ওখানটায়, সাথে একটা সিগারেট মেরে দিও। আমি এসে পড়বো কেনাকাটা শেষ করে। মিনিট দশেক বাদে।
বাবুর মিনিট দশেক শেষ হল দুই ঘণ্টা ২৫ মিনিটে। বাবুর উপরে ক্ষেপে আছি, এমন ভাব মুখে ধরে বাসায় আসলাম। এরপর তার শুরু হল মেহেদী অত্যাচার। আরে পুরুষ মানুষের ঈদে মেহেদী দিতে হবে এমন কথা কোথাও লেখা আছে? যতসব পাগলামি বাবুর মাথায় ভর করে। আর আমি হলাম এই পাগলের উন্মাদ। ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়, তার কাজে আমাকে সায় দিতেই হয়। তা না হলে বেঁকে যাবে সে। আর বাবু যদি একবার বেঁকে বসে, তাহলে আমার সেরেছে দুই দিন লাগবে তাকে মানাতে। সেই যাক গে, এখন মেহেদী অত্যাচার থেকে বাঁচার উপায়ন্তর না দেখে সোফায় বসে পড়লাম মেহেদী লাগাতে। বাবু ইচ্ছে করেই একটা মেহেদী টিউব কিনেছে। প্রথমে সে আমাকে লাগিয়ে দিবে তারপর আমি তাকে। কিন্তু (থিম অ্যান্ড কন্ডিশন এপ্লাই)। সে যখন আমাকে মেহেদী লাগাবে তখন আমি হাতের দিকে তাকাতে পারবো না। মেহেদী আলপনার মাঝে, বাবু তার নাম ঢুকিয়ে দিবে। আমাকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে বাবুর নাম। যদি পারি সে আমাকে প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে, গুনে গুনে ১০ টা কিস করবে। আর না পারলে আগামী তিন দিন সে তার ঠোঁট আমাকে ছুঁতে দিবে না। ভারি বিপদে পড়লাম।
আমি কম্পিউটারে মুভি দেখছি “থর দ্যা ডার্ক ওয়ার্ল্ড” মুভিটা ভালই করেছে। প্রযুক্তির কারিশমা দেখে রীতিমত চমৎকৃত হওয়ার মত মুভি। ইতিমধ্যে বাবুর মেহেদী পরানো শেষ। বাবু হাত ঘড়ী নিয়ে আমার সামনে বসল, বলে টাইম স্টার্ট নাও।
আমি মিনিট তিনের মাথাতেই খুঁজে বের কলাম বাবুর নাম। এত দ্রুত নাম খুঁজে পাওয়ার বাবু চমৎকৃত হয়ে গেল। আমি বাবুর দিকে তাকালাম বাবুর চোখ আনন্দে টলমল করছে। বাবুকে আরএকটু ইমোশনাল করে দেয়ার জন্য বললাম, দেখলে আমার ভালোবাসার জোর কত বেশী? লক্ষ্য মানুষের ভিড়ে তুমি হারিয়ে গেলও তোমার ঘ্রাণ শুকে শুকে আমি তোমাকে খুঁজে বের করতে পারবো। কারণ অনেক ভালোবাসি তোমায় বাবু। তোমায় নিয়ে আমার পৃথিবী। আমার কথা শুনে বাবু চোখের পানি ধরে রাখতে পারল না । আমি জানি এই ছোট ছোট আনন্দ গুলো একটা সত্যিকার ভালোবাসার সম্পর্কের জন্য মূল্যবান সম্পত্তি। টাকা পয়সা কিংবা নামি দামী গিফট তো দুইদিনেই মিটে যাবে, কিন্তু এই সৃতি গুলো মেমোরিতে সেভ হয়ে সারা জীবন আনন্দ দেয়।
বাবু কে ইমোশনাল করে আমার লাভ হল, তার হাতে কষ্ট করে মেহেদী পরাতে হল না। সত্যিকথা বলতে কি, আমি জানিই না কি ভাবে মেহেদী পরাতে হয়। তারপর ও বাবুর মন রক্ষার্থে, বাম হাতের মাঝখানটায় মেহেদী দিয়ে লিখে দিলাম “বাবু, আমার বাবু” লেখাটা তার খুব পছন্দ হয়েছে। আমার সামনেই কয়েকবার দেখে নিল। আমি জানি কাল সকালে হাত ধোঁয়ার পর বাবু বার বার হাত ভোলাবে এই লেখার উপর।
আজ ঈদ।
সকালে বাবু আমার পুরাণ পাঞ্জাবী আরন করে দিল। তার এই কাণ্ড দেখে আমি রীতিমত নির্বাক। তারমানে সত্যি বাবু আমার জন্য কিছু কিনেনি? আমার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। তারপর ও বাবুকে বুঝতে দিলাম না। ঐ পুরাতন পাঞ্জাবী পরেই বাবু আর আমি ঈদের নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে দুজনে মায়ের বাসায় গেলাম। গরু কাটা শেষ। মা চা করে দিয়েছে আমি বাবু আর আব্বু তিনজনাতে চা ভোজন চলছে। বাবু হঠাৎ করে আব্বুকে সালাম করে বলে, আংকেল আমার সেলামি চাই। বাবুর কাণ্ড দেখে আব্বু মুচকি হেঁসে পাঞ্জাবীর পকেট থেকে একটা সাদা ইনভেলপ বের করল। আমি অবাক হলাম, ইনভেলপে বাবুর নাম লেখা। তারমানে আব্বু আগে থেকেই বাবুর জন্য সেলামী রেডি রেখেছে। বাবু খাম টা হাতে নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে রান্না ঘরের দিকে গেল। নিশ্চয় মাকে দেখাবে আর মার থেকে ও সেলামী ভাগীয়ে নিবে। যা ভেবেছি তাই, বাবুর হাতে দুইটা ইনভেলাপ দেখা যাচ্ছে, সাথে মাকে জড়িয়ে ধরে নিয়ে আসল আমাদের সামনে। বাবু বাচ্চাদের মত একবার এই খাম একবার ঐ খাম নিয়ে ন্যাড়া চড়া করছে। বাবুর পাগলামি দেখে আমি ও মাকে জড়িয়ে ধরে আব্বুকে উদ্দেশ্য করে বললাম, এইটা তো ভারী অন্যায়, আমার বাবা মা তোমরা, অথচ তোমাদের একমাত্র ছেলের জন্য কোন সেলামী নাই আর এই পিচ্চিটার জন্য দুই খামে সেলামী। বাবু খাম দুইটা টেবিলে রাখতে রাখতে বলে, মা দেখ দেখ আমাদের বাসায় একটা জেলাস বিড়াল ঢুকেছে। বাবুর কথা শুনে একটা ধমক দিলাম, আর হাত তুলে থাপ্পড় দেয়ার জন্য বাবুর দিকে এগিয়ে গেলাম। বাবু সাথে সাথে দৌড়ে গিয়ে আব্বুর হাত সরিয়ে বুকের মধ্যে ঢুঁকে গিয়ে বলে, আংকেল এই জেলাস বিড়াল থেকে আমাকে বাঁচান। আব্বু বাবুর কথা শুনে আমাকেই দিল একটা ঝাড়ি। বাবা মা সবাই মিলে এক চট হেঁসে উঠলাম। আর সাথে আমার বুক থেকে একটা বড় নিঃশ্বাস উপচে পড়ল। খুব বেশী কিছু চাই না জীবনে। বাবু আর বাবা মা মিলে চারজনাতে ছোট একটা সংসার। শত রাগ অভিমান, অভাব অনটনে ও ভালোবাসার কমতি থাকবে না পরিবারে। ঠিক এমনি এক স্বাপ্নিক পরিবারের স্বপ্ন আমার বহুদিনের।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই বাবু বলে তার যেতে হবে। তার বন্ধুদের সাথে কোথায় যেন ঘুরতে বের হবে। তড়িঘড়ি করে বাবু বেরিয়ে গেল। মা আমাকে যেতে দেয়নি। অনেক দিন ধরে ছোট খালার সাথে দেখা হয়নি। ছোট খালা আসছে তাই আমাকে থাকতে হবে। বাধ্য ছেলের মত মায়ের কথা মেনে নিলাম। বাবু বাসা থেকে বের হতেই মা রান্না ঘরে গরু সামলাতে চলে গেল। বাবা আরেকবার চা আনিয়েছে মাকে দিয়ে। বাবার জন্য আমাকে ও চা খেতে হচ্ছে পুনরায়। অবশ্য চা খেতে আমার কখনোই খারাপ লাগে না। বাবার মুখ দেখে বুঝতে পারছি বাবা আমাকে কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন। বাবা বলে, দেখ তুই আমাদের একমাত্র ছেলে, আমি আর তোর মা একা থাকি। তুই আমাদের সাথে থাকিস না। তোর কি উচিৎ নয় বৃদ্ধ বাবা মায়ের পাশে থাকা। আর একটা বিয়ে শাদী করে সংসারী হওয়া?
আজকে ঈদের দিন তাই বাবার মুড় খারাপ করতে ইচ্ছে করছে না। অন্য দিন হলে, কথার শাখা প্রশাখা দিয়ে বাবার কথার উত্তর দিতাম। আজ সুন্দর করেই বললাম, বাবা আমার কোম্পানির ফ্ল্যাট ফ্রি তাই ওখানে থাকি, তুমি নিজেও তা জানো। ফ্ল্যাটে না থাকলে ফ্ল্যাটটা মিছে মিছে পড়ে থাকবে, কোথাও যে ভাড়া খাটাবো সেই উপায় ও নেই। তুমি জানো ফ্লাটের জন্য কোম্পানি আমাকে অতিরিক্ত টাকা দিবে না। এখন নিশ্চয় বলবে তোমার আর মায়ের টাকা আছে, আমার টাকা নিয়ে না ভাবলে ও চলবে। কিন্তু তুমি জানো আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই আব্বু। আর বাকি থাকল বিয়ের কথা, আগেও বলেছি এখন আবার বলছি আব্বু আমি বিয়ে করবো না। আমি যে ভাবে আছি খারাপ তো নেই। পৃথিবীর সব মানুষকেই যে বিয়ে করে সংসারী হতেই হবে এমন তো নয়। আর একটা কথা আব্বু তুমি মা দুইজনেই উচ্চ শিক্ষিত, ছোটবেলা থেকে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছ আমি কিছুটা অন্যরকম, আমি আলাদা বাবা। কি ভাবে তোমাকে বোঝাবো? আমার কথা শুনে বাবা আমাকে চমকে দিয়ে বলে, তুই ইচ্ছে করলে বাবুকে নিয়েই থাকতে পারিস আমাদের কাছে। বাবা এই কথা বলে হেঁটে চলে গেল। বাবার এই কথার অনেক গুলা অর্থ হতে পারে। তবে আসল অর্থ বুঝতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত।
চোট খালার বকবকানির অত্যাচার থেকে রেহাই পেলাম রাত ৮টায়। ঈদের ছুটিতে ঢাকা এখন ফাঁকা। তাই বাসায় ফিরতে দেরি হল না। মিনিট দশেকের মাথায় বাসায় পৌঁছলাম। দরজা খুলেই বাথরুমের পানি পড়ার শব্দে বুঝতে পারলাম বাবু বাসায় চলে এসেছে। কিন্তু সে বাসায় কি করে? সে তো বলেছিল বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবে। যাই হোক রুমে গিয়ে বাবুর জন্য অপেক্ষা করছি আমি। বাবু আধ ঘণ্টা পর শাওয়ার নিয়ে বাথরুম থেকে বের হল। বাবুর গাঁয়ে সাদা টাওয়েল জড়ানো, বিন্দু বিন্দু করে পানি ঝরছে বাবুর চুল থেকে। বাবুর চিকন সফেদ শরীরের পানির স্পর্শে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। আমি বুঝতে পারছি বাবুকে এই অবস্থায় দেখে আমি উত্তেজিত হয়ে উঠছি। বাবুর শরীর আমাকে চম্বুকের মত টানছে। আমি কুকুরের মত গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে বাবুর কাছে গিয়ে, ভেজা শরীরে জড়িয়ে ধরলাম তাকে। বাবু হেই হেই বলে দূরে সরে গিয়ে বলে, এখন নয়। গোসলে যাও তোমার জন্য বার্থটবে হাল্কা গরম পানি ভরা আছে। আর হাঁ, আস্তে আস্তে সাওয়ার নিবে। বাবুর কথা শুনে বললাম, জো হুকুম জাহাঁপনা।
বাথরুমে গিয়ে দেখি অবাক কাণ্ড। বার্থ রুমে লাইট নয় পুরো বার্থ রুমে নানান রঙের মোম জ্বলছে। বার্থটবে পানি দেখা যাচ্ছে না সাদা ফেনার উপরে গোলাপের পাপড়ি ভাসছে। টবের পাশে ছোট একটা টেবিলে আমার পছন্দের আর বাবুর অপছন্দের রেড হর্স অ্যান্ড হেনিক্যান সাজানো, সাথে আছে ঈশপের গল্পগুচ্ছ। আই প্যাডে চলছে মিউজিক। এই সব দেখে মুখ থেকে বেরিয়ে গেল OMG।
এক ঘণ্টা শেষ করে বের হলাম বাথরুম থেকে। আমি টাওয়েল পেঁচিয়ে দরজা খুলে দেখলাম বাবু আরেকটা টাওয়েল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে। আমি বের হতেই মুখে কিছু না বলে আমার মাথা মুছে দিতে ব্যস্ত হয়ে গেল। আমি মনে মনে ভাবলাম আমাকে গিফট না দেয়ার ভুল নিশ্চয় এই তামাশা করে শুধরাতে চাচ্ছে। আমি চুপ করে উপভোগ করছি বাবুর কার্যকলাপ। বাবু আমার চুল আর শরীর মুছিয়ে দিচ্ছে। বাবুর স্পর্শে আমার শরীরের পশম দাঁড়ীয়ে আমাকে অজানা সুখের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমি ইচ্ছে করে আমার টাওয়েলটা খুলে ফেললাম। বাবু আমাকে ধমক দিয়ে বলে ছিঃ এই সব কি ধরনের অসভ্যতা? বাবু আবার আমাকে টাওয়েল পরিয়ে দিয়ে বলে, তুমি ডিউডরেন্ট কিংবা বড়ি স্প্রে কিছু লাগাবা না এখন, সোজা বিছানায় গিয়ে বস। বাবু এখনো জামা পরেনি সেই সাদা টাওয়েল জড়িয়ে চলাফেরা করছে। বুঝতে পারছি না পিচ্চিটা কি করতে যাচ্ছে? আমি বিছানায় বসে মোবাইল চেক করছিলাম। এমন সময় একটা ট্রে হাতে বাবু রুমে প্রবেশ করল। ট্রেতে যা দেখলাম তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমার পছন্দের রেড ওয়াইন!! আমি ড্রিংক করি বাবু তা একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আজকে সূর্য কোন দিকে উঠল? সাথে রাপিং পেপারে মোড়ানো একটা প্যাকেট। বুঝতে পারলাম ঈদের গিফট। আরও দেখছি বাবুর পছন্দের চকলেট আইসক্রিম ফুল বক্স। বাবু তার ল্যাপটপ ওপেন করে গান প্লে করল। বাবুর কাণ্ড দেখে কি করছে জিজ্ঞাস করতে যাচ্ছিলাম, এমন সময় বাবু এসে আমার ঠোঁট দুটো কামড়ে ধরল। আমি নড়তে পারছি না। আমি আধশোয়া অবস্থায় বিছানায়, বাবু আমার পেটের উপরে বসে আমাকে অবিরত কিস করে চলছে। আমি অভিমান করার সুরে বাবুকে রিপ্লাই দিচ্ছি না। সেই দিকে তার কোন খেয়াল নাই। কিচ্ছুক্ষণ কিস করার পর মুখ তুলে আমাকে বলে, রাগ করেছো, ঈদে তোমাকে গিফট দেইনি বলে? আমি বললাম না রাগ করবো কেন? বাবু বলে আমি জানি তুমি রাগ করেছ। বাই দ্যা ওয়ে তোমার গিফট আজ রাতের মধ্যেই পেয়ে যাবে। এখন ভাববার বিষয় হল, এই গিফট তুমি হজম করতে পারবে কিনা? আমি আর কিছু বলার আগে বাবু গ্লাসে রেড ওয়াইন ঢেলে নিল তাও দুই গ্লাসে। যে বাবু এলকোহলের গন্ধ সহ্য করতে পারে না সে নাকি আজকে ড্রিংক করবে? আমার হাতে এক গ্লাস ধরিয়ে নিজের তা নিয়ে আমাকে বলে চিয়ার্স। আমি ও চিয়ার্স বলে পুরো পেগ মেরে দিলাম। বাবু বলে, আরে আরে আস্তে সারা রাত পড়ে আছে তোমার জন্য। বাবু আইসক্রিমের কৌটা হাতে নিল এক হাতে, হাত দিয়ে আমার টাওয়েল খুলে নিল। আমি পুরোপুরি বস্ত্রশূন্য। বাবু আমাকে বলে চোখ বন্ধ কর। আমি তাই করলাম। মিনিটখানিকের মাথায় আমার শরীরের ঠাণ্ডা লাগছে দেখে চোখ খুললাম, বললাম আরে কি করছ? বাবু বলে একদম চুপ। আমি চুপ করে গেলাম। বাবু আইসক্রিমের কৌটা থেকে হাত দিয়ে আমার শরীরে, আইসক্রিম লেপছে। বুঝতে পারছি না পিচ্চিটার উদ্দেশ্য কি? শুধু বুঝতে পারছি আমার ঠাণ্ডা লাগছে। বাবু একমনে আমার সারা শরীরে আইসক্রিম মেখে নিজের শরীর থেকে টাওয়েল ছুঁড়ে ফেলে দিল। আমার পা থেকে শুরু করেছে আইসক্রিম চাঁটা। বাবুর ঠোঁটের গরম স্পর্শে আমি পুরোপুরি উত্তেজিত হয়ে গেলাম। আমার হাত দুইটা বাবু নিজের হাতে চেপে ধরে আমার শরীর থেকে আইসক্রিম ছেঁটে খাচ্ছে সে। আমার শরীরের সমস্ত পশম দাড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইবার পজিশনে। শরীরের কোন অংশ বাদ রাখেনি সে, পুরো শরীরে আইসক্রিম। সে যখন আমার পুরুষাঙ্গের উপর আসল, আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। ললিপপের মত বাবু চুষে যাচ্ছে একমনে। এ দিকে আমি উত্তেজনা সহ্য করতে না পেরে বালিশ কামড়ে ধরেছি।
এত উত্তেজনা আমি আগে কোনদিন দেখিনি আমার মাঝে। বাবু পুরো শরীর থেকে আইসক্রিম শেষ করল ৩০ মিনিট সময় নিয়ে। এই ৩০ মিনিটে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। আমি বাবুকে হ্যাঁচকা টান মেরে শুইয়ে দিলাম বিছানায়। ট্রে থেকে ওয়াইনের বোতলটার মুখ খুলে ঢেলে দিলাম বাবুর গায়ে। বাবুর মত করে আমি ও তার সারা শরীর চুষে হোয়াইন খেতে লাগলাম। দেখলাম বাবু আমার মত উত্তেজিত হয়ে সাপের মত মুচড়ে যাচ্ছে বিছানায়। আমিও ৩০ মিনিটের মত সময় নিলাম। ঐ ভাবে আরও কিছুক্ষণ চলার পর বাবু বলে, প্লিজ আমি আর পারছি না। আমি বললাম, একদম চুপ। শুরু তুমি করেছিলে আর শেষ করবো আমি। এইবার বাবুকে উপুড় করে শুইয়ে দিলাম। তার ব্যাক সাইডে আরও ওয়াইন ঢেলে দিলাম মদ আর বাবুতে আমি পুরোপুরি মাতাল তখন। কিস আর চুষতে লাগলাম বাবুর সারা শরীর। এইভাবে আরও কিচ্ছুক্ষণ পর বাবু আমাকে অনুরোধ করতে লাগল শেষ করার জন্য। আমি বললাম, এখনো তো আসল কাজটাই হয়নি সোনা। এইবার রেডি হও। বাবু মুচকি হেসে বলে আজকে ওটা না করলে হয় না। আমি বললাম, মাথা খারাপ? এমনিতেই আমরা সেক্স করি মাসে দুই একবার। আজকে আমার রক্ত মাথায় তুলে দিয়ে তুমি বলছ অফ হতে। মারবো এক থাপ্পড়। আমার কথায় বাবু হেঁসে ফেলে।
আমি বাবুর উপরে উঠার আগে তাকে আবার কিস করলাম। বাবুকে বললাম তুমি কি রেডি, সে মাথা নেড়ে সায় দিল। বাবুর পা দুইটা আমার দুই কাঁধে তুলে নিলাম। আমি আস্তে আস্তে বাবুর অঙ্গে প্রবেশ করছি। বাবু এক বার নড়ে উঠল আমি সাথে সাথে অফ হয়ে জিজ্ঞাস করলাম, ব্যথা পাচ্ছ বাবু? আমি পুরোপুরি বাবুকে পুষ করতে পারছি না, কারণ বুঝতে পারছি সে ব্যথা পারছে। প্রতিদিন সেক্স করলে হয়তো এতোটা ব্যথা পেত না। আমি আর বাবু, সেক্সের চেয়ে একজন আরেকজনের বুকে ঘুমাতে পছন্দ করি। তাই প্রতিরাতে সেক্স এই থিউরিতে আমরা বিশ্বাসী নয়। আমি পুরোটা বাবুর ভিতরে প্রবেশ করাতেই বাবু হু করে উঠল। দেখলাম বাবুর চোখ বেয়ে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ছে, আমি ঐ অবস্থায় স্টপ হয়ে বাবুর চোখে কিস করতে লাগলাম। চোখের পানি সাধারণত নোনতা হয়, কিন্তু বাবুর চোখের পানি আমাকে অন্যরকম এক টেস্টের যোগান দেয়। আমি একদম নড়াচড়া করছি না দেখে বাবু জিজ্ঞাস করে, কি হল বন্ধ কেন? আমি বললাম, তুমি ব্যথা পাচ্ছ সুতরাং বন্ধ করা উচিৎ। বাবু বলে, আরে না এই অশ্রু আনন্দ অশ্রু। বাবুর কথায় আমি আবার শুরু করলাম সেই আদিম খেলা। আমাদের খেলার তালে তালে পিছনে কেস্কাডার “এভরি টাইম উই টাচ” চলছে কম্পিউটারে,’
everytime we touch, I get this feeling.
And everytime we kiss, I swear I could fly.
Can’t you feel my heart beat fast, I want this to last.
Need you by my side.
‘Cause everytime we touch, I feel the static.
And everytime we kiss, I reach for the sky.
Can’t you hear my heart beat so…
I can’t let you go.
Want you in my life.
আমাদের খেলা সাঙ্গ হয়েছে। বাবু এখন আমার বুকের উপরে শুয়ে আছে। তার আর আমার সমস্ত শরীর ভেজা। বাবু তার আঙুল দিয়ে আমার মুখের উপর খেলছে, আমি আলতো করে কামড়ে ধরলাম বাবুর আঙুল। বাবু বলে রাক্ষস একটা। আমি বললাম, হুম, তবে তোমার রাক্ষস। দুইজনে হেসে উঠলাম।
বাবু আমার মুখের উপড়ে মুখ নিয়ে বলে, বলছিলাম না তোমাকে গিফট দিবো। এখন তোমার গিফট হল দুইটা। এক, রাপিং পেপারে মোড়ানো রাডো আর দুই তোমার বাবু। মানে আমি। এখন বল গিফট কেমন? বাবুকে হেঁচকা মেরে বিছানায় শুইয়ে আমি তার বুকের উপরে উঠে বললাম, আমার দুইটা গিফটের দরকার নাই। এই বাবুটাতেই চলবে। এর চেয়ে দামী অমূল্য গিফট আমার জীবনে পাইনি। আমি বাবুর ঠোঁটে কিস করে বললাম, থ্যাংকস বাবু ফর কামিং মাই লাইফ। আই উইল লাভ ইউ ফর এভার।
প্রথম প্রকাশঃ বাংলা গে গল্প। ১০ই অক্টোবর, ২০১৪।