
লেখক :- অন্যস্বর
প্রতিবার পূজায় একবার করে ক্রাশ খাবো এইটা নিয়ম হয়ে গেছে। ক্রাশ তো অনেক খাই, কিন্তু পুজার ক্রাশেরা যেরকম আহত করে চলে যায় অমন কষ্ট কেবল অসুরের কষ্টের সাথে তুলনা চলে।
এইসব দূর্গারই কারসাজি হবে, “আমাকে শ্রদ্ধা ভক্তি করিস না বলে এই মালগুলো তোর চোখের সামনে নাড়িয়ে চাড়িয়ে চলে যাই, আমাতে ঈমান আন, তবেই চোখ জুড়ানো মালগুলো খেতে পাবি” – মায়ের মনে এমন প্যাঁচ থাকলে আশ্চর্য হবো না।
গেল বছরে মাশালডাঙিতে ঠাকুর ভাসাতে গিয়ে একজন অটোওলার প্রেমে পড়েছিলাম। ব্রীজের উপরে যে আধঘন্টা জ্যামে আটকে তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, সেই আধঘন্টার স্মৃতি পরে কত কত ঘন্টার কাল্পনিক প্রেমকাহিনীর জন্ম দিয়েছিল তার হিসাব নাই। অটো বেচে বাইক কিনে পাঠাও রাইডার, ঢাকায় ঘরসংসার উফফ কল্পনার ঘোড়া আর কতদিকে ছুটেছিল তার ফিরিস্তি দিলে লজ্জার শেষ থাকবে না।
এবার প্রেমে পড়েছি পুজার পুরুতের।কি কেলেঙ্কারি না? বয়স তার অতি অল্প, ক্লাস টেনে পড়ছে নাকি। কিন্তু বাড়ন্ত শরীর দেখে তা বুঝবার উপায় নাই। চোখদুটো সরু, কিন্তু এই সরু চোখের অন্যরকম সৌন্দর্য খেলেছে তার অনন্য ভ্রুভঙ্গিমায়। চুলগুলো ছোট করে কাটা, মুখে দাড়ির আভাসমাত্র নাই, ঠোঁটদুটো ভিষণ রসালো। এর কোনটাতেই তার সযত্ন মনযোগ নাই, তবু সবটা বনফুলের মত সুষম উজ্জ্বলতায় বিকশিত।
তার হাতের আঙুলগুলো সমীহ জাগানোর মত বড়।কাঁধ চওড়া, লম্বা পা দুটো হাঁটু পর্যন্ত সাদা ধুতির বাইরে দৃশ্যমান।ফর্সা পায়ে সোনালী পশমের পরিমিত চাষ। ব্রাহ্মণের পুষ্ট পাছা নিয়ে আলাপ করে পাপ কামাতে চাই না।
ইদানিং একটু ঝোঁক তৈরি হওয়ার মত অবস্থা হলেও, মোটের উপর কচি ছেলে আমাকে টানে না। কিন্তু কচিকাঁচাদের শরীরে জোয়ান ব্যাটার আভাস এলে তার মত কামোত্তেজক আর কিছু হয় না। আমাকে আকৃষ্ট করবার সম্পুর্ন আয়োজন মা দূর্গা তার পুরুতের শরীরে সাজিয়ে রেখেছেন।
এমন উন্নতদেহী ব্রাহ্মণ্যের চরনে শুধু পুষ্পার্ঘ্য কেন, দেহার্ঘ্য দিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
পুজা শেষ, এই এক বছরে আমার দেবতার আর দর্শন পাবো না ভাবলেই বিষাদে মন ভারী হয়ে যাচ্ছে।