হৃদয় মেশিন

লেখকঃ শুভ্র ভাই

সদ্য ঘুম ভাঙা চোখ মেললো তপু। তাকে ঘুম থেকে জাগতে দেখে পাশে এসে বসেছে হৃদয়। তপুর খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে গালে হাত বুলিয়ে বললো ঘুম কেমন হলো বাবুটা?

তপু ঠোঁটের কোণে দুষ্টুমির হাসি ফুটিয়ে বলে ঘুমুতে আর দিলে কোথায়! সারা রাত তো খোঁচাখুঁচি করলে। বয়স যত বাড়ছে ততই বাড়ছে তোমার পাগলামী।

হৃদয় ঝুঁকে পড়ে তপুর গালে ঠোঁট ঘষতে লাগলো, তুমি যদি বুঝতে বাবু সোনা কেন এমনটা করি! তোমাকে ছেড়ে এই দুটি বছর থাকতে আমার কি কষ্ট হয়েছে তা যদি বুঝতে।

তপু কন্ঠে বিস্ময়ের স্বর ফুটিয়ে বললো, কষ্ট তোমার একারই হয়েছে। আর আমি বুঝি গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরেছি!

হৃদয় তপুর পাশে শুয়ে পড়লো, যে টসটসা মাল তুমি শুধু বাংলাদেশ কেন এই আমেরিকার সব দামড়াগুলো তোমার জন্য পাগল হয়ে যাবে জান্টুস।

তপু হৃদয়ের চোখে চোখ রেখে বললো, তো কতগুলো দামড়ার সাথে তোমার মোলাকাত হয়েছে সত্যি করে বলো তো?

তপু হৃদয়ের লালচে ঠোঁটে হাত রেখে বলে, কসম কাটতে হবে না জানু। তোমার সব কথাই আমি বিশ্বাস করি। তুমি যদি বলো এটা ফ্লোরিডা না এটা হনলুলু তবে সকল যুক্তি তর্ককে উর্ধে রেখে আমি তাই বিশ্বাস করবো। তুমি জানো না এই দুই বছরে আমার কি কষ্ট হয়েছে। তুমি স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকা চলে এলে পড়তে। আমার দেহ পড়ে রইলো বাংলায় কিন্তু সারাক্ষণ তোমার কথা ভাবতাম। তোমার কাছে আসার জন্য আমিও উঠে পড়ে লাগলাম স্কলারশিপ পেতে। জিআরই কোর্সে ভর্তি হলাম। কিন্তু কোন কিছুতেই মন বসতো না। কিভাবে যে স্কোর তুললাম নিজেই জানিনা। ধ্যুর কেন যে আমি তোমার এক ক্লাস নিচে পড়তাম। এক সাথে পড়তে পারলে এক সাথে চলে আসতে পারতাম।

হৃদয় ছাড়ার বদলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। তপু হৃদয়ের শক্ত দন্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বললো, না সোনা না। এখন আর পারবো না। আমার বুঝি কষ্ট হয় না।

হৃদয় এই ভয়েসের সাথে পূর্ব পরিচিত। সে বুঝে গেছে কি হতে চলেছে। সে লক্ষী ছেলেটার মত চিত হয়ে শুয়ে পড়লো। তপু হৃদয়ের পুরুষাঙ্গের উপর নিতম্ব রেখে বসে ঝুঁকে পড়ে চুমু খেলো হৃদয়ের ঠোঁটে। আস্তে আস্তে হৃদয়ের ঠোঁট ফাঁকা হচ্ছে। তপুর জিভ হৃদয়ের জিভের ছোঁয়া পেলো। ঠোঁট ঠান্ডা থাকে কিন্তু চুমু খাওয়ার সময় জিভ অসম্ভব গরম থাকে। চুমু খাওয়ার সময়ে যার জিভ গরম না সে তোমাকে ফিল করছে না। মানব দেহের দুটি অংগে কোন হাড় নেই। এক জিভ দুই পুরুষাংগ। কিন্তু বিশেষ সময়ে এরা সাংঘাতিত রকম গরম হয়ে উঠতে পারে। তপুর জিভ আস্তে আস্তে হৃদয়ের চিবুক কন্ঠদেশ বেয়ে বক্ষদেশে এসে পৌছেছে। বামপাশের বক্ষমূল মুখে নিয়ে চুষতে লাগলো। একই সাথে হৃদয়ের হাফপ্যান্টের হুক খুলে ফেললো। দুজনের প্যান্টের অবস্থান এখন মেঝেতে। তপু পূর্বের অবস্থানে উঠে বসলো। দুজন দুজনের চোখে চেয়ে আছে।। একটু একটু করে হৃদয় মেশিন তপুর গভীরে হারিয়ে যাচ্ছে। হুউম। স্টাইল। বিদেশী স্টাইল।

যে স্টাইলই হোক না কেন এই মিলনে চোখের কোনায় যে অশ্রুকণা জমে তা কোন বেদনার নয়। এই বিন্দু বিন্দু জলের সাথে মিশে আছে একরাশ ভালো বাসা। তোমরা ধর্ম সমাজের রীতি নীতি অনুযায়ী যাই বলো না কেন মানব মনের আইন অনুযায়ী এই ভালোবাসা নিখাঁদ সত্য।

mondroadmin Avatar

Posted by

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.