
লেখক – অজানা
তাকে ভালবাসার অধিকার আমার ছিল
তাকে ছুঁয়ে দেখবার অধিকারও আমার ছিল।
যেই প্রত্যয়ে তার অনুভূতির স্বত্ব আমার হয়েছিল,
যেই সত্যে ‘সে আমার’ বলে জানতাম,
সেই হেতুতেই তার শার্টের কলার খামচে ধরে দু’জোড়া ঠোঁট এক করার অধিকার ছিল।
শ্যামবর্ণের যুবকটাকে হারানোর আগেই তার মাঝে মুখ ডুবানোর সুযোগ আমার ছিল।
ব্যাডমিন্টন আর ক্রিকেট খেলা শক্ত হাত গুলোর বিষাক্ত স্পর্শ আমার পাওনা ছিল,
পাওনা ছিল মাঝেমাঝে সিগ্রেট খাওয়া আর কাঁটার মত দাড়ি ঘেরা ওষ্ঠাধরের অবাধ্য কিছু লালার-
আমার এও পাওনা ছিল,
রোদে পোড়া তামাটে রঙের ছেলেটার নগ্ন শরীরটা দেখার।
প্রণয় বলে যেই বিশেষণে সে-আমি জড়িয়েছিলাম,
সেই প্রণয়ের দাবিতেই আমার ঘাড়ে তার কামড়ের দাগ থাকার কথা ছিল,
গভীর নিশীথে দু’দেহের ব্যথা-সুখ আর অস্ফুট কিছু শব্দের দোলাচলের প্রমত্ততা শেষের ভোরে উস্কুখুসকো চুলে ‘গাল লাল কেন?’ প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার কথা আমার ছিল।
প্রতিজ্ঞা-প্রতিশ্রুতির সীমা ছাড়িয়ে আজ সে অন্যের দরোজা বদ্ধ ঘরে অবৈধ এক সুখে চোখ বুজছে,
তার তৃপ্তি আর কামনা ভরা ঘন পুরুষালি নিশ্বাসটা আজ কার স্পর্শে নির্গত হচ্ছে,
সেসব আমার জিজ্ঞেস করার ছিল।
তার আর আমার রাতজেগে কথা বলার স্মৃতিগুলো নেড়ে তাকে এটা বলার ছিল-
‘তুমি আজ আমার থাকার কথা ছিল।’