
আমার পুরুষে আসক্তি আছে-
এবং আমি নষ্টাও।
সমাজের মানুষের ভীড়ে আমার চোখ শুধু পুরুষেই আঁটকায়- গাড়ির জানালার ফাঁকে আমার নজর শুধু শক্তপোক্ত পুরুষ মুখেই গিয়ে পড়ে।
যখন দুটি মানুষ প্রণয়লীলায় মত্ত, আমি অভিশাপ দিতে থাকি ঐসব বন্ধনগুলোকে, একপক্ষের পুরুষটাকে আমি গ্রাস করে ফেলতে চাই- সে একান্তই আমার।
আমি উত্তপ্ত হয়ে উঠি পুরুষ যখন অন্যের চুলে মুখ লুকায়- তারা আমাকে ছেড়ে অন্য কারোর বাহুডোরের বস্তু কেন হতে যাবে!
পুরুষ,শুধু আমার দিকেই তাকাবে।
দীর্ঘ কেশযুক্ত কোন রমণীর দিকে না-
রমণীরা রক্ত চুষে খায়।শুধু আমিই ভালবাসতে জানি পুরুষকে।ললনারা ছলনায় বাঁধে,কিন্তু আমি আঁটকাই অভিসারের মায়াজালে।
পুরুষের গালের নিচে খোঁচা খোঁচা অপরিচ্ছন্ন দাড়িতে যে কতটুকু নেশার উপদ্রবতা,সেই মাদকতা ক’টা মাতাল বুঝে! বোতাম-বদ্ধ শার্টের ভেতরে যে কিরকম অলৌকিকতা লুকিয়ে থাকে তা শুধু আমিই দেখি।
তাদের বুক আর নাভীর সরু পথের শেষ সীমানাটা যে কেমন রহস্যময়তায় গিয়ে মিশেছে এটা নারী বুঝে না-সরস ঐ পথটায় যে বিষাক্ত ওষ্ঠাধর ছুইঁয়ে পুরুষকে বশ করা যায় সেই কৌশল ক’জন জানে!
পুরুষ কেউ তোমার তৃষ্ণা বুঝে না-
তোমার গুটিয়ে রাখা শার্টের ফাঁকে বেরোনো হাতের ঘন পশমের প্রেমে কেউ পড়তে জানে না-
মসৃণ পিঠে কিভাবে আঙ্গুল চালাতে হয় আর খসখসে বুকে কিভাবে মাথা গুজতে হয় সেসব কেউই জানে না। সবাই অজ্ঞ! কেউ বুঝে না পুরুষের লোমহীনতা আর লোমশের গূঢ় অর্থ!
মানুষ পুরুষদের আলাদা করে বিমূর্ততায়-
আমি তাদের ভিন্নরূপে দেখি তাদের পুরুষত্বতায়-
তাদের হাতের কব্জিতে লটকানো কালো ঘড়িতে কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে ঘামের গন্ধে।
পুরুষ,তুমি কারো দিকে তাকিয়ো না-
তুমি ঘাড় ঘুরিয়ে শাড়ী পড়া কোন ছলনাময়ীকে দেখো না।
শুধু আমাতেই মগ্ন থাকো- আমার দেহের ভাজেই সুখ খুঁজো।
কারণ আমার পুরুষে আসক্তি আছে,
এবং আমি হিংসুটেও।
সমপ্রেমের গল্প ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত