
কবিঃ মুন
তোমাকে ভুলে যেতে চেয়েও পারিনে,
তোমাকে স্মৃতির পাতা থেকে
মুছে দিতেও পারিনে!
কি করে পারবো বলো?
হৃদয়ের গভীরে যে দগদগে
ক্ষত রেখে গেছো চলে,
চাইলেই কি পারবো তা তুলতে সারিয়ে?
তোমার তরে সঁপেছিনু সব,
মন, প্রাণ, দেহ, আত্মা, মম সংসার-ভব,
দেবতার আসনে বসিয়েছিলেম
মম সত্ত্বা হারিয়ে!
আর পূজা শেষে অবহেলা ভরে
তুমি চলে গেলে মোরে ফেলে৷
তবুও তোমার অবহেলা
প্রসাদ রূপে নিয়েছি বুক ভরে!
কোন ফুলে পূজলে তোমায়
তুষ্ট হতে, তা আমি জানিনে
তুষ্ট যখন হওনি,
আর চাইনা করতে ভজনা তোমার
এখন আমি বিদ্রোহী “শয়তান”,
বিতাড়িত হয়েছি তোমারই স্বর্গ থেকে
অমন দমবদ্ধ স্বর্গসুখ আমি চাইনে,
এই বেশ ভালো আছি নরক যন্ত্রণায় পুড়ে
তবুও চাইনা করুণা কারো,
চাইনা শুনতে সহানুভূতির
“আহা, আহা” ধ্বনি
এখন আমি অনেক নিষ্ঠুর, অনেক পাষান!
এখন আমি ভুলে থাকতে পারি তোমায়,
পরপুরুষের শয্যা সঙ্গী হতে
আমার আর বাধে না,
নিজেকে বাজারের বেশ্যা বলে মনে হয়
কিন্তু এই বেশ ভালো,
অমন সতীপনার চেয়ে
কি মূল্য ছিল আমার সতীত্বের?
আমি এখন বেশ্যা হয়েই থাকতে চাই
তোমার তাতে কি আসে-যায়?
পূজোর ফুল যখন ফেলে
দিলে তাচ্ছিল্য ভরে,
তখন তা কে পায়ে মাড়ালো,
তা আর দেখোনা পিছন ফিরে
তোমাকে ভুলে যেতে চাই, কিন্তু পারিনে
দয়া করে এ মোহ-মায়া থেকে
মুক্তি দাও মোরে!
“হায়, ভগবান! এ কোন্
অভিশাপ দিলে মোরে!
পর জনমে মোরে পাঠিও
পূর্ণ “নর”, নয়তো পূর্ণ “নারী” করে!”
তখন আমিও তোমায় দেখিয়ে দেব
আমিও কত সুখী তোমা বিনে!