
লেখক – *
ইলশেগুঁড়ি কিংবা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির দিনে আমি ঘর ছেড়ে বেরোই না।
অথবা যে রাত গুলোতে খুব একটা জোছনা থাকে।
জোছনা আর বৃষ্টির প্রতি আমার এককালের অদম্য ইচ্ছেকে আমি কেন বালিচাপা দেই তাও কারো কাছে বলা হয় না।
আজকাল নিরবতা আর অসাড়তাই যেন আমার আনুষঙ্গিক হয়ে গেল।
কত কথার ঢালি নিয়ে বসে থাকা মানুষটার অকস্মাৎই সবকিছু না বলার হয়ে গেল।
কেন হল?
সেটাও কেউ জিজ্ঞেস করার নেই।
এত এত শূন্যতার মাঝে আমি নির্বিকার হয়েও বৃষ্টি থেমে গেলে কাদামাখা রাস্তায় নামি।
আলোবিহীন রাতটায় সুক্ষ্ম পা ফেলে আমি অগম্যই এগিয়ে যাই।
এমন উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটার সমাপ্তি ঘটে কোন কোন এক বেলা, যখন বুনো এক গন্ধ এসে আমার নাসারন্ধ্র ছুঁয়ে দিয়ে যায়।
পিচ্ছিল সেই পথের কোন এক কিনারায় পাওয়া বুনো গন্ধটা আমার তোমার শরীরের গন্ধের মত মনে হয়-
তোমার ঘাড় কিংবা অপরিচ্ছন্ন শার্টে পাওয়া গন্ধটার মত।
কেউ কেউ আমার এই বোহেমিয়ান হাঁটাচলাকে উন্মাদনা বললেও আমি তো জানি,
পথের পর পথ হেঁটে এক বিন্দু বুনো গন্ধে আমি কি খুঁজি,
আমি কি মেটাই সেই ভেজা ভেজা গন্ধ শুকে।
জোছনা আর বৃষ্টিও জানে,
তাদের প্রতি এই ঘৃণার কারণ,
কিংবা ভালবাসায় সন্নাসী হওয়া মানুষটার অতীত।
সমপ্রেমের গল্প ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত