
ইমরান হোসাইন
মেঘ গুলি জমেছিল দূর আকাশে এক অনন্য সুবাস ছিল বাতাসে। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, মনে আছে? অই দেবদারু গাছটার নিস্মৃতিপটচে।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর দমকা বাতাসের ছটা আকাশে বদ্রি মেঘের গরজ আর বিদ্যুতের ঘনঘটা হটাৎ চোখ পড়লো কে যেন ধেয়ে দৌড়ে আসছে মনে হচ্ছিল, তাকে বিদ্যুৎ তাড়া করেছে হটাৎ ই ঝুম বৃষ্টি,আর ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডব যেমনটি শ্রাবণে আষাঢ়ের পরব
সেকি বৃষ্টি
আর ঝড়ো হাওয়া, সেকি মূর্ছনা। একটি সরু গাছের নিচে দাঁড়িয়ে দুজনা, অপেক্ষা করছি, কখন থামবে, কিন্তু কমছে না। দুজনেই ভিজে একাকার,
মনে মনে ভাবলাম কথা বলি একবার। প্রথমে আমি hi বলে সম্বোধন করে হাত বাড়িয়ে দিলাম, সেও ভেজা হাতটি এগিয়ে দিলো দেখলাম সেও ভিজে গেলো।
মৃদু হাসি, আর দুজনের নামের আদান প্রদান, খুবই সুন্দর নাম তার আহান। পুরপুরি খেয়াল করলাম
চোখ বাঁকিয়ে তাকিয়ে তার পানে দেখলাম। ভেজা অবস্থায় এক অপরূপ স্বর্গপুত্র দাঁড়িয়ে আছে, চোখে ফেরাতেই যেন কষ্ট হচ্ছে।
হটাৎ আমাকে জাগিয়ে দিলো কেমন যেন ঘোড় ময় লাগছিল। এখনো বৃষ্টি
সে তার হাত দিয়ে গা থেকে পানি ঝাড়ছে আর হাসছে।
বলতে লাগলো দেখেছেন প্রকৃতি আর হয়তো ক্ষেপেছে। আমি মনে মনে বললাম,
প্রকৃতি ক্ষেপেনি, খুশিই হয়েছে। চললো কিছু মৃদু আলাপন, দুজনার কিছু স্মৃতি চারন। প্রায় দেড়ঘন্টা পাড় হয়ে, তারপর যেন আকাশ একটু শান্ত। বৃষ্টি কমলো,
আমি বললাম- আহান
সামনেই একটা চায়ের দোকান
চা খেয়ে গা গরম করি, চলুন।
তারপর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি নতুন এক গল্পের সৃষ্টিতে আমরা পা বাড়ালাম।
সেই চায়ের দোকানটি,
তেমনই আছে, সেই চেয়ারটি, আজোও সেই বৃষ্টি হয়,
লোকজন আসে, যায়।
শুধু তুমিই নেই- আহান।
সমপ্রেমের গল্প