
পরিশ্রান্ত পথিক
এইতো আজ আমি সবুজের অরণ্যে হেঁটেছি একাকি,
তোমার তো ভাল লাগে গভীর অরণ্য।
ভয় লেগেছে বৃক্ষরাজির সারি সারিতে,
তবুও প্রশান্তির ছোঁয়া হয়ত পেয়েছি
তোমা বিনে নিবিড়ে।
কদিন আগে সেদিন বেলাভূমিতে
হেঁটেছি পায়ের চিহ্ন এঁকেছি বাটে,
তোমার তো ইচ্ছে ছিল পায়ে পা মিলিয়ে তালে তালে ছন্দে ছন্দে হাঁটতে।
শুধু অনুভবেই ছিলে,
বহু কষ্টে সেদিন পাহাড়ে উঠেছিলাম,
কন্টক – কাঁটা বন ভেদ করে তোমার তো ইচ্ছে ছিল তাই।
তবে জানো কি?
চিৎকার করেছিলাম সজোড়ে,
প্রতিধ্বনিগুলো কেমন নিরামিষ হয়তো
তুমি পাশে ছিলেনা তাই।
সেদিনও গিয়েছিলাম অদূরস্পর্শী সেই
হৃদয়াকৃতি ঝিলের ধারে,
তোমার তো ইচ্ছে ছিল আরেকবার,
পাশাপাশি বসে থাকার আলস্যে।
যেখানে ফুটেছিল রক্ত শাপলা তবে কেউ মালা গেঁথে দেয়নি,
তুমি ছাড়া আছেইবা কে?
সেদিন আমি ঘন্টা দুয়েক ভিজেছিলাম
শ্রাবণের অঝর ধারায়,
তোমার ইচ্ছের মধ্যে পরে না তবুও যদি ভেজার ছলে তোমাকে ভিজিয়ে দিতে পারতাম সহসাই কাছে টানতাম উষ্ণতায়।
সেদিন বৃষ্টি শেষে হাঁটছিলাম নদী,
পাড়ে কেয়াবনের পথে রংধনু দেখেছি।
পুব আকাশে মনে পড়েছিল তোমায়,
বড্ড সাতরঙা বলয় দেখতে বসেছিলে।
দেখনি তুমি আমিই,
যে রংধনুর সাতরঙে রাঙানো।