
সজল আহসান
অনিমেষ দা’র কথা খুব মনে পড়ে,
তার পৌরুষদীপ্ত চোখ, বাঁকা চাহনী, উশৃঙ্খল হাসি,গোলাপরঙা ঠোঁট-
ছিল আমার অতি প্রিয় আকাঙ্ক্ষার খোঁড়াক।
ভরাট গলাট যখন আমাকে পিছুডাক দিত, ‘অনন্ত শোন।’
আমার বুকের সমস্ত স্পন্দন যেন ধীরে ধীরে ধাবিত হত তার দিকে,
চোখের নিমীলিত ভাষায় থাকত তাকে পাওয়ার অনিবার্য পিপাসা
আমার বেভাগ সুখে সে যেন অযাচিত ভাগ বসিয়ে বেদখল করত সমস্ত প্রেমাবেগ
প্রেমবাহিত মনে জাগিয়ে তুলত নৈসর্গিক ত্রিলোক।
অনিমেষ দা যেদিন প্রথম বলেছিল,
‘অনন্ত তোকে একটা দিনের জন্য আমি চাই।’
তারপর অট্টহাসিতে কাঁপিয়ে দিত আমার প্রেমী বুক…
বলত, ‘তোর চোখের পাতা কাঁপতেছে।চোখ বন্ধ করে রাখ অনন্ত ‘
আমি মূহুর্তের স্তব্ধ হয়ে যেতাম;
মনে হতো, আমার বেঁচে থাকার দিনগুলো তাকে ছাড়া নির্বিকার,সুখহীন
আমার ভালোবাসাগুলো অসহায়, অতৃপ্ত পূর্ণবান এই মানুষটির জন্য।
.
কে জানে তখন কীভাবে নিজেকে সামলিয়ে নিয়েছিলাম!
হয়তো অনিমেষ দা সত্যিই আমাকে চেয়েছিল
নতুবা ঠাট্টার ছলে দেখিয়েছিল খুদিত ভালোবাসার মলিন স্বপ্ন।
শুনেছি, অনিমেষ দাকে আমি ভুলে গেছি- এটা জেনে সে খুব সুখ পায়
তাই তাকে ভেবে আমিও দুঃখিত হই না এখন।
আমার না হোক!
অনিমেষ না হয় অন্য কারো বুকে আকাশ হয়ে থাক
অন্যকারও জন্য অনিঃশেষ ভালোবাসা বিলাক।