
পরিশ্রান্ত পথিক
অস্ত রবির তোরণের দিকে ছুটছে ট্রেনখানি মৃদু কম্পনে,
অজানা আগন্তুকের ভীরে আনমনে আছি বসে।
চুপটি করে হরদম কোলাহলে,
সোনালি আলোর বাতিটার রঙ ও কি দুলছে?
কিছু জিঘাংসার হয়না মীমাংসা।
সারি সারি ঘর বাড়ি, গাছপালা পেছনে ছুটছে,
কি জানি? সর্বজীবের ছুটার ক্ষমতা তো নেই।
কিছু ফেলে আসা দিন গুলোর মতন,
জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে।
কিছু স্মৃতি নাকি সেগুলো বিস্মৃতি,
পরের স্টেশনে; থেমে গেল লৌহ চাকা।
কিছু আগন্তুকের নেমে যাওয়া,
কিছু নতুনের আগমন।
সকলের মাঝে ‘তুমি’ অন্যতম
সহসাই এসে বললে,’তুমি?
সেই পুরোনো অভ্যেসে মুচকি হেসে বললাম হুম,আমিই মূর্তিমান।
কোথায়,কেন,কিজন্য কিছু প্রশ্নের বেড়াজালে আটকে দিলে আমায়।
কথায় কথার নটাঙ্কনড়িতে আমি,
খুঁজে চলেছি আমার অস্তিত্ব।
সংকাশের আশংকায় ঠিক খুঁজে পাচ্ছিনা,
আমার অবয়ব বাহিরে-ভিতরেও বৈকি!
সম্বিৎ করেই বললেম,”মনে আছে আমায়”?
নাকি ভুলে গেছ চেইন ছেড়া হাত ঘড়িটির মতন?
তুমি অবাক করা স্বরে বললে,
“চাইলেই কি আর সব ভুলা যায়,
কিছু মানুষ তালাবন্ধ থাকে ঠিকই,
তবে সযত্নেই থাকে লালিত।
হাজার কথার ভীরে’ তোমায় পেলাম আমাকে নয়’।