
নক্ষত্রালো
সে আমার সামনে দিয়ে গেল
টকটকে লাল এক বসনে,
একরাশ সুগন্ধি ছড়িয়ে।
ভাবলাম ভদ্রঘরের কোন নারী
এই সময়, প্রায় মধ্যরাতে
এখানে হাটার কথা নয়।
আর আমাদের এই শহরেতো
নারী-পুরুষের সমান
চলাচলের সুযোগ নেই।
তার হাটা আর চাহনিতে
মনে হল, সে, নারী নয়
নারী হতে আগ্রহী কেউ।
আমি আছি ওভারব্রিজটার উপরে।
নিয়ের মতো পুরুষদের
পৌরুষ খেলায় মত্য।
নিজেকে সবসময় এভাবে প্রকাশের হয় না তো।
এভাবে কিছুসময় কাটিয়ে
নিচে নেমে আসি,
গৃহে ফিরবো বলে।
কিছুটা পথ হাটতেই
সেই লাল বসনা নারীকে
আবার দেখি,
পথের বাঁকে একা বসে আছে।
কাছাকাছি আসতেই দেখি
একজন পুরুষ রাস্তার পাশের একটা পরদার আড়াল থেকে প্যান্ট ঠিক করতে করতে
বেরিয়ে আসছে।
তার পিছন পিছন বেড়িয়ে
আসে
একজন নারী,
সে ও কাপড় গোছাতে ব্যস্ত।
আমি এগিয়ে যাই নিজের
গন্তব্যে
একবার ফিরেও তাকানো হয়
না।
আমি যে ভদ্রমানুষ।
খারাপ হলেও,
এতটা খারাপ না।
তার জর্দা মিশ্রিত পানের
খুশবুটা
বারবার মনে পরছে।
আর একটা প্রশ্ন বারবার মনে উকি দিচ্ছে,
সেকি মনের না পেটের টানে
নারী হয়েছে।