
লেখকঃ-পৃত্থুজ আহমেদ
উৎসর্গঃ-ফারহিন আরুশ(অর্ক)
অনিন্দ্য সুন্দর যে অনুভূতি-
তুমি ফেলে এসেছ বলে হতাশ হচ্ছ!
যার মোহে বিহ্বল হয়ে উন্মাদচিত্তে শেষের কবিতা বুনছ!
তার কুৎসিত স্বরূপটা দেখনি তুমি অদ্যপি?
আশ্চর্য!
তুমিত এমন গুবরাটে ছিলেনা।ছিলে কী?
তার সুডৌল নেত্রের চাহনিতে সাড়া দিয়েছিলে কভু?
উপেক্ষার ছলেও কখনও দৃষ্টি মিলন ঘটেনি?
তার কোমল চাহনির অন্তরালে-
কামার্ত তৃষ্ণার্ত দৃষ্টির সীমানা সদা বহমান পাহাড়ি ঢলের মতই খরস্রোতা।
সেই হিংস্রাত্মক দৃষ্টি বয়ে চলে দেহের প্রতিটা খাঁজে-
নাভিমূল হতে নিম্নদেশের লোমশ সরু অঞ্চল বেয়ে,
বক্ষস্থলের নরম উত্থিত মাংসপিন্ডের অঞ্চল জুড়ে,
মেরুদন্ডের নিম্নদেশের শেষপ্রান্তে গিয়েও সেই দৃষ্টি ক্ষান্ত হয়না।
দখলে নেয় নসিকাগ্রন্থির পাদদেশে মখমলের ন্যায় অতি সূক্ষ্ম ওষ্ঠাধর;
তার অপারগ হস্ত যুগল নেড়েচেড়ে ঘুরতে চায় শরীরের সেসব আবেদনময়ী আবেদনে-শুকনো লালাবিহীন ঠোঁট লালাসিক্ত হয়ে প্রাণ ফিরে পেতে চায় সেই মখমলের পবিত্র লালারসে।
আর তুমি!
প্রতিনিয়ত শিকার হয়েছ তার কলুষিত কামের,
তোমার নিষ্কলুষ শরীর জ্বলেছে প্রত্যহ তার বিষাক্ত চাহনির প্রতিবাদে-
প্রতিনিয়ত তুমি ধর্ষিত হয়েছ তার বিকৃত কামের উত্থিত পিন্ডে।
তবু কেন?
কেন এই অনুরাগ তার প্রতি?
বাসনার দুর্গন্ধরা যেন শত পুষ্পের পরিমল তোমার কাছে।
কামনার চোখে ধর্ষিত হয়েও-
কেন ফিরে চাও পেছনে?
কেন মিশে যেতে চাও সেই অপবিত্রের বন্ধনে!
কেন তুমি খোঁজ তাহাতে নতুনের আহ্বান?
নিজেই হয়ে বারংবার নিজের পিছুটান।
সমপ্রেমের গল্প