
কবিঃ মৃত্তিকা রাই
ঝিরি ঝিরি বাতাস আমার, মন নিয়ে খেলে।
ছুটছি আমি যাচ্ছি স্নানে, কখনো খালে বিলে।
ঘর গুলো শিল্পীর তুলিতে আঁকা, জীবন্ত কারুকাজ।
কে এমন সাজিয়ে দিলো, ইচ্ছে মতো রঙিন সাজ।
সবুজ ঘাস গাছ-গাছালী, কত শত জীবন্ত প্রাণ।
কোথায় যেন অনুভব করি, এতো মায়া এতো টান।
পাতায় পাতায় আওয়াজ যেন, পুরোনো বন্ধুদের আড্ডা।
কখনো বাতাস বইছে জোরে, কখনো আবার ঠান্ডা।
পাখিদের কিচিরমিচির, যেন মন ভোলানো সুর।
গাইছে দেখো নানান সুরে, লাগছে কি মধুর।
কাঠ বিড়ালী পেয়ারা খেয়ে, দেখো মুচকি হাসে।
এডাল থেকে ওডালে যায়, হাওয়ার তালে ভেসে।
বাঁশ বাগানের বাঁশ গুলো, কখনো বাজে মড়মড়।
তোমায় আমায় স্বাগত জানিয়ে, দুলছে কিছুক্ষণ পরপর।
সরষে ফুলের মাতাল গন্ধে, ভ্রমর আসে ছুটে।
পরাগায়ন আদান-প্রদান, এই মাধ্যমে ঘটে।
পায়রা গুলোর বাকুম বাকুম, হৃদয়ে যেন হুড়মুড়িয়ে উঠে।
কখনো যাচ্ছে বনে জঙ্গলে, কখনো ক্ষেতে মাঠে।
বর্ষা কালে নতুন জলে, হরেক মাছ আসে।
খালে বিলে জেলে ভাইরা, জাল হাকায় কসে।
কাঁচা মাটির পথ গুলো আমায়, নিয়ে চলে এঁকে বেঁকে।
কোন দিকে যাই, কোন পথে যাই, দ্বিধায় পরে থেকে।
কলশী কাকে ফুল কলিরা সব, নদীর পারে আসে।
ছল ছলানো নদীর জলে, জল কেলিয়ে হাসে।
বিছানা ছেড়ে, ঘুম পুষিয়ে, যখন উঠি আমি জেগে।
সকাল বেলার সূর্যের আলো, মিষ্টি গালে লাগে।
সেতো তোমার আমার, বাংলার গ্রাম, বাংলার প্রাণ।
শিল্পীর আঁকায়, কবির লেখায়, শেষ হবে না গুণগান।
১২/১২/২০১৯ ইংরেজি।
[লেখক মৃত্তিকা রাই সম্পর্কে কিছু কথা- উনি একজন ট্রান্সজেন্ডার, ট্রান্স উইমেন, রূপান্তরকামী নারী। উনি পুরুষ দেহে জন্মালেও, উনার মানসিক লিঙ্গ নারী।]