
কবিঃ মৃত্তিকা রাই
জন্ম আমার ভবের দেশে,
তাই ঘোর চক্র মোর কর্ম খেলে।
দেখবি যদি দেখ কিছু তোর,
তৃতীয় অন্তর চক্ষু মেলে।
চোখের পর্দায় দিয়েছে মুরু,
দাম্ভিকতায় সেইতো গুরু।
শেষ হয়েছে যেখানে তার,
মানবতা তাতে করেছে শুরু।
আবার নষ্টের গোড়া বিজ্ঞ লোকে,
কর্ম দোষে কয় রাম-রাম।
তারাই দেয় উপদেশ জানি,
সঠিক করেছে কোন সে কাম?
দূরে থাক সব আইন কানুন,
এসব জানি তা মানি না।
ধান্দার জোরে চলছে সব,
মান অপমানের বেঁচা কেনা।
সততার লড়াই করে বড়াই,
লক্ষ্য জানি তার আসলে গদি।
আম জনতার সুযোগ লুটে,
জাত বিচারে কয় ইহুদি।
জগত কর্তাকে মন্দিরে রেখে,
অন্তর মাঝে পোষে শয়তান।
কর্মের ফল কপালে লেপে,
দোষ দেয় ভাগ্যের কু-খ্যান।
করে সকাল সন্ধ্যা মানব ভক্তি,
যে জন চায় মানবতার মুক্তি।
সপে দিয়ে তার সকল শক্তি,
মানব সেবায় খোঁজে পরম শান্তি।
নিজ আরাম ভাই করে হারাম,
পর সুখেই যার মেটে ক্লান্তি।
সেই তো মানুষ, বিলিয়ে দিতে;
সদা প্রস্তুত, আদি হতে অন্তি।
জাগ্রত নয় মোর সৃতি ভাই,
পরিনত আমি এক মানব মুর্তি।
মগজে নাই অর্থ কোন তাই,
হবে কি বাজার জ্ঞান ভর্তি?
কেন যে হায় বৃথাই বকছি,
নাই হতে পারে এর কোন প্রাপ্তি।
তবুও এই প্রতিবাদী নেশা,
দেবে কি আমায় কখনো স্বস্তি?
প্রকৃতি চলছে প্রকৃতির নিয়মে,
বাঁধা ধরা নিয়ম কেউ কি মানতি?
কত রং ঢংয়ের লীলায় মগ্ন,
জন্ম পূর্বে কেউ কি জানতি?
০৫/১১/২০১২ ইংরেজি
লেখক মৃত্তিকা রাই সম্পর্কে কিছু কথা- উনি একজন ট্রান্সজেন্ডার, ট্রান্স উইমেন, রূপান্তরকামী নারী। উনি পুরুষ দেহে জন্মালেও, উনার মানসিক লিঙ্গ নারী।