
কবিঃ মৃত্তিকা রাই
এই শহরের চাকচিক্য, বাড়ি ঘর,
দালান কোঠা সারি সারি।
প্রতাপ, যন্জাল, অহংকার,
রেসারেসিতে গিয়েছে ভরি।
রোগজীবাণু করছে খেলা,
ধুলোবালিছাই, করার কিছু নাই,
রুমালে মুখোশে নাকমুখ বন্ধ।
কোথাও আবার আবর্জনার স্তূপ,
হেঁচকি ওঠে নাকে,
উফ্ বিদ্রুপ, ভয়াবহ দুর্গন্ধ।
বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ,
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, চশমখোর অন্ধ।
কতো শত রক্ত মাখা রং।
ঘামে ভেজা নিশীথে সেজেছে সং।
যখন রাত ঘনিয়ে এলো,
কেউকি খোঁজ নিলো?
রাতের গভীরে ফেঁরে আসে।
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বাতাসে ভেসে আসে।
ভারি করে দেয়া মনের আবহাওয়া,
সাথে কতো শতো চাঁপা কান্না গুলো।
হৃদ নেই, শ্বাস নেই, দম নেই, ভালোবাসা নেই,
ইট পাথর দিয়ে তৈরি অট্টালিকা গুলো।
কোন অদৃশ্য জননী মুছেছে আঁচল দিয়ে,
পড়েছে যে আস্তর ধুলো।
গাছ নেই, প্রাণ নেই, সবুজ নেই, লতা নেই, পাতা নেই,
খুঁজছি কোথায় আমি, হারিয়ে ফেলেছি পথের বাঁক।
এখানে বুকটা মহা শূন্য, কন্ঠ চেপে আসছে আমার,
দিতে পারছি না চিৎকার করে একটু খানি ডাক।
মৃত্যুই বোধহয় চরম মুক্তি।
নিভে যায় সব শক্তি।
মাগো করতে পারিনি রিন সোধ,
তুমি কি হবে না ব্রত।
মাগো থেঁতলে দিয়ে মাথা করো অমর,
রক্তে রক্তে করো পবিত্র।
১০/১২/২০১৯ ইংরেজি
লেখক মৃত্তিকা রাই সম্পর্কে কিছু কথা- উনি একজন ট্রান্সজেন্ডার, ট্রান্স উইমেন, রূপান্তরকামী নারী। উনি পুরুষ দেহে জন্মালেও, উনার মানসিক লিঙ্গ নারী।