
লেখকঃ আফনান সালসাবিল
চাঁদটা আজকে একদম পূর্ন ভাবে উদায় হয়ে পূর্ন জোসনা
দিচ্ছে।এখন হয়ত নদীতে ভরা জোয়ার।পূর্নিমাতে শরীরে
একটা প্রেম প্রেম ভাব বেশি কাজ করে।অথচ ব্যস্ততা সঞ্জকে
এমন প্রকৃতি সুখ উপভোগের সময়ই দেয় না।সারাদিন এত এত কাজ
আবার দিন শেষে নিজে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে ক্লাশের পড়া শেষ
করো আর হ্যাঁ সাথেত শেখরের খবর নিতেই হয়।সঞ্জয় তার এত
এত চাপের কথা ভাবতে ভাবতে একটা জোরে শ্বাস ছেড়ে
নিল।তবে সঞ্জয় নিজেকে অনেকটা ভাগ্যবান মনে করে কারন
সে সারাদিনে শেখরকে একটাও মেসেজ না করলে সে তার
সাথে একটুও রাগ দেখাবে না।সঞ্জয় বুঝতে পারে যে শেখর
মনে মনে ঠিকই রাগ করছে হয়ত তার সাথে দেখাচ্ছে না।
সঞ্জয় ভেবেছিল কলেজ লাইফে পড়া বেশি এখন শেখরকে
কম সময় দিবে। তবে ভার্সিটিতে যেয়ে সে সারাদিন রাত
শেখরের সাথে প্রেম আলাপ করবে।তবে সঞ্জয়ের এই
স্বপ্ন ভার্সিটিতে এসে গুড়ে বালি হয়ে গেছে।এখনও আরও
বেশি চাপ।সঞ্জয় শেখরকে আগের থেকেও কম সময় দিতে
পারতেছে।মাঝে মাঝে সঞ্জয় গভীর চিন্তায় পরে যায় এত কম
সময় দিলে তাদের সম্পর্ক মুজবুত হবে কি করে!
তাদের প্রেম সম্পর্কটা আজ একটা বছর শেষ করবে।কাল
দ্বিতীয় বছরে পা দিবে।তাদের সম্পর্কটা ছিল অন্য সকল প্রেম
থেকে আলাদা একদমই আলাদা।
সঞ্জয় ঘুমানোর জন্য বিছানায় চলে গেল কারন কাল সকালে উঠে
শেখরকে চমক দিতে হবে।শেখরের অবশ্য এসব দিবস টিসব
মনে থাকেনা…..
*সকালে ঘুম থেকে উঠেই সঞ্জয় শেখরকে ফোন দিল-
সঞ্জয়:Happy anniversary শেখর।
শেখর:Happy anniversary লক্ষ্মী।(শেখর আশ্চর্য শুরে
জিজ্ঞাসা করল)আমাদের দিন গুলো কিভাবে পার হইল মল্লিকা??
সঞ্জয়:ফোনে ফোনে পার হয়েছে।কেমন আছো?
শেখর:ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?
সঞ্জয়:হ্যাঁ ভালো আছি।
শেখর:সকালে খেয়েছ??ক্লাশে যাবে না?তুমিত আবার বকা খাওয়া
ছাড়া খাও না।
সঞ্জয়:তুমিত কাছে নেই,কাছে থাকলে খাওয়াইয়া দিতা।তখন তো
আর বকা শুনতে হত না।
শেখর: এখন নেই তো কি হয়েছে!!পড়াশুনা শেষ করে
চাকরী জীবন থেকে বাকী জীবনটাতো একসাথে
থাকার জন্য পরেই আছে।তখন তোমাকে দিনে অন্তত একবেলা
হলেও খাওয়াইয়া দেব।এখন খেয়ে ক্লাশে যাও লক্ষ্মীটি।
সঞ্জয়:আচ্ছা যাচ্ছি।
শেখর একটা চুমু দিয়ে লাইনটা কেটে দিল।
সঞ্জয় ফোনটা কান থেকে সরিয়ে নিল না।কারন শেখর লাইন কাটার
সময় ওপাশ থেকে যে একটা টুট টুট করে শব্দ
আসে,সঞ্জয়ের কাছে ঐ শব্দটাও খুব প্রেম মিশ্রিত মনে হয়।
কথার মাঝে মাঝে শেখর জোরে শ্বাস নেয় এটা শুনে
সঞ্জয় অনুভূতিহীন হয়ে কোনো এক প্রেম সাগরে হারিয়ে
যায়।
লাইনটা কাটার পর ফোনটা সঞ্জয় বুকে চেপে বলল,”শেখর
তোমার সঞ্জয় শুধু চাকরী জীবনের আগ অবধী নয়
তোমার জন্য সে তার মৃত্যু আগ অবধী অপেক্ষা করতে
পারবে।”
সঞ্জয় সকালে খেয়ে ক্লাশে চলে গেল।ক্লাশের ফাঁকে
ফাঁকেও শেখর সঞ্জয় কে মেসেজ করতেছিল কারন সঞ্জয়
শেখরের সাথে কথা না বলে থাকতে পারে না।
>>শেখরের বাসা মাগুরাতে আর সঞ্জয়ের বাসা বরিশালে।শেখর
এবার অনার্স তৃতীয় বর্ষে একাউন্টিং বিভাগে যশোর একটা
কলেজে পড়তেছে।আর সঞ্জয় অনার্স প্রথম বর্ষে
ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপ বিভাগে গোপালগঞ্জে পড়তেছে।
তাদের প্রেমটা আসলেই অন্যদের থেকে আলাদা ছিল কারন
সকল প্রেম গুলো পাশা পাশি ভবনের মাঝে ছিল।তবে তাদেরটা
ছিল অনেক দূরত্বে।তবে তাদের আত্না দুটো ছিল একসাথে এক
হয়ে।
শেখর প্রথম দিনই সঞ্জয়কে একটা নাম দেয়”মল্লিকা”।তব
ে সঞ্জয়কে বেশিরভাগ সময় লক্ষ্মী বলে ডাকত।আর সঞ্জয়
সব সময় শেখর কে সোনা বলে সম্মোধন করত।
>>আজকে ক্লাশ শেষে সবার সাথে ঘুরতে যেয়ে সঞ্জয়
একদমই ক্লান্ত হয়ে সন্ধ্যা করে বাসায় এসেছে।গোসল করে
খেয়ে পড়তে বসছে।শরীরে ক্লান্ত ক্লান্ত ভাব নিয়ে
কোনো ভাবে কিছুটা পড়ল।পড়াশেষ করে ফোনটা হাতে নিল।
রাত ১২.০০ টা বেজে গেছে।শেখর এইসময়ই ফোন দেয়।
তাদের সাধারনতন দিনে মেসেজে কথা হয় আর রাতে
ফোনে কথা হয়।রাত ১২/১ টায় কথা শুরু হয়ে ২/৩ টায় শেষ করত
কথা।
ওপাশ থেকে শেখর হ্যাঁ না ছাড়া কিছুই বলত না। আর এপাশ থেকে
সঞ্জয় বকবক করেই যেত।মাঝে মাঝে রাগ হয়ে সঞ্জয় চুপ
করে থাকত।তখন শেখর বলত,’চুপ করে আছো কেন
লক্ষ্মী’?
শেখরের হাসিটা খুব সুন্দর ছিল।যে কেউ পাগল হবে এমন।
এসব ভাবতে ভাবতে ১.০০ টা বেজে গেল অথচ শেখর
ফোন দিল না।সঞ্জয়ের ফোনে টাকা থাকে না বললেই চলে।
আর থাকলেও কি শেখরকেত কল দেওয়া যাবে না কারন সে
মেসে থাকে তাকে অনেক প্রশ্ন করে।এসব তার ভালো
লাগে না।তাই সঞ্জয়ও কল দেয় না।
সঞ্জয় বুঝতে পারছে যে শেখর তাকে ইদানীংকেমন যেন
এড়িয়ে চলতেছে।আগেও কথা হত না মাঝে মাঝে দু এক দিন।কারন
শেখর তখন অনেক ভারী চিন্তায় পরে থাকত।শেখর তার
পরিবারের একা সন্তান।এদিকে আবার সমপ্রেমি।একটা সময় তাকে তার
পরিবার বিয়ের জন্য চাপ দিবে তখন সে কি করবে??সামাজিক নিয়মে
যে তার পরিবার আবদ্ধ হয়ে রয়েছে।সে তার জীবন
সম্পর্কে কিছু বলতেও পারছে না ভয়ে।এসব চিন্তা নিয়া থাকত
শেখর।তবে ইদানীংশেখর আসলেই পরিবর্তন হচ্ছে আগের
থেকে অন্য রকমে।
ফোনে কথা কম বলে, মেসেজেও রিপ্লাই দেয় না আর
দিলেও অনেক দেরিতে।সঞ্জয়কে কেমন যেন এড়িয়
চলতেছে।
এদিকে সঞ্জয় তার সাথে কথা না বলতে পারলে পাগল হয়ে যায়।সব
কিছু তার কাছে বিরক্ত লাগে।
সঞ্জয় মনে মনে ভাবে,’শেখর কি বুঝে না যে তার মল্লিকা তার
জন্য পাগল হয়ে থাকে।তার ছোঁয়া পাবার অপেক্ষায় কাটায় তার প্রতিটা
প্রহর নিশি’!
এসব ভেবে ভেবে সঞ্জয় শেখরের একটা ফটো বুকে
নিয়ে ঘুমিয়ে পরেছে..।
>>শেখর কম কথা বলতে চায় তাই সঞ্জয়ও বেশি বাড়িয়ে কিছু বলে
না।দিন গুলো কেমন যেন তাদের বাহ্যিক ভাবে দূর করে
দিচ্ছে।অথচ সঞ্জয় শেখরকে তার প্রতিটি পলকে দেখতে
পায়।প্রতিটি নিশ্বাসে তাকে ফিল করতে পারে।আর পারবেই না
কেন সঞ্জয় শেখরের মাঝে যে রয়েছে পবিত্র প্রেম।
২ ফ্রেব্রুয়ারি সঞ্জয় শেখর কে কল দেয়। সম্পর্কটা আর
আগের মতন নেই জেনেও সঞ্জয় শেখরের কাছে একটা
আবদার করে-
সঞ্জয়:শেখর আমরা কি ১৪ ই ফেব্রুয়ারি দেখা করতে পারি?
শেখর:কেনো সঞ্জয়?
সঞ্জয়:ঐ দিনটা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।তাই দেখা করতে
চেয়েছিলাম।
শেখর:আমি ওসব দিবস টিবসে বিশ্বাসি নই।আর আমি ওমন প্রেমিকও না।
সঞ্জয় রাগ হয়ে ফোনটা কেটে দিল।
সঞ্জয়ের চোখ থেকে পানি পরতেছে।কি হয়েছে
শেখরের?সে কেন এমন করতেছে?সব কিছু সঞ্জয়ের
কাছে অস্পষ্ট হয়ে আছে।
সেরাতের পর আর কথা বলার ইচ্ছে থাকলেও সঞ্জয় কল করেনি।
>>বিকেলে সঞ্জয় একা একাই ঘুরতে বের হয়েছে।সন্ধ্যা হয়ে
গেল।লেক পাড়ে বসে আছে।সূর্যটা রক্তিম বর্ন ধারন করে
তলিয়ে যাচ্ছে।এদিকে বসন্ত হওয়া বইছে।পাশে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ।
ফুল পরে গাছের তলাটা লাল হয়ে আছে।হঠাৎ করেই শেখরের
কথা মনে পরল সঞ্জয়ের।অনেক দিন হল কথা হয় নি।ফোনটা বের
করে শেখরকে কল করল সঞ্জয়।নম্বরটা অফ পেয়ে আর দিল
না।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে শেখরকে
আবার কল করল।এখনও অফ।শেখর ফেসবুক আইডি অনেক আগেই
বন্ধ করেছিল।একে একে শেখরের সবগুলো নম্বরে ট্রাই
করে যাচ্ছে সঞ্জয় সবগুলোই অফ।তার পর থেকে সঞ্জয়
প্রতিদিন ট্রাই করে শেখরের সবগুলো নম্বরে। কিন্তু
সবগুলোই অফ।
এদিকে সঞ্জয় শেখরকে না পেয়ে পাগল হয়ে আছে।এখন
কাঁদে আর ভাবে তখন যদি শেখরের সাথে রাগ না দেখিয়ে
আরও একটু কথা বলতাম……..
সঞ্জয় পুরাই মাতাল হয়ে রয়েছে শেখরের প্রেমে।
ক্লাশের কারো সাথেই ভালো আচরন করতে পারছে না।
পরিবারের কারো সাথেই কথা বলতেছে না।তার কাছে এই জগত
তিক্ত লাগতেছে।সে সব কিছু অন্ধকার দেখতে পাচ্ছে।ছন্নছাড়া
হয়ে গেছে সঞ্জয়।
কোনো খরব পাচ্ছে না শেখরের।এদিকে তার
ডিপার্টমেন্টও খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয় কারন শেখরের অনার্স
শেষ।
সঞ্জয়ের সেই অপেক্ষারত প্রেমের ছোঁয়া কি সঞ্জয়
পাবে না!এসব ভেবে ভেবেঔ থ হয়ে থাকে সঞ্জয়।
সঞ্জয়ের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে।কারো সাথেই
ভালো আচারন করতে পারতেছে না সে।রুম মেটের সাথে
নিয়মিত ঝগড়া হব।রুম মেট চলে যায়।সে একাই পরে আছে।
>>সঞ্জয় মনে হয় অনেক দিনের ভালোবাসার ক্ষুধার্ত।সে
শেখরের প্রেমে পাগলামি করে করে দিন গুলো কাটালো।
বেড়ে গেল তার অপেক্ষা শেখরের একটা
মেসেজের,একটা কলের,একটা উষ্ণ স্পর্শের।সঞ্জয়ের
অনার্স শেষ করে এখন চাকরিতে প্রবেশ করেছে।সঞ্জয় সব
সময় ফোন পাগল হয়ে আছে।একটা মেসেজ আসলেও দৌড়ে
ফোনটা ধরে।একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলেও
অনেক আগ্রহ নিয়ে ধরে।এই বুঝি তার শেখর তার খবর নিতে
তাকে কল করেছে।
সঞ্জয় শেখরের জন্য একটা শাস্তি ঠিক করে রেখেছে।
শেখর যেদিন ফোন করবে সেদিন শেখর সঞ্জয়কে একশটা
চুমু দিবে।এতদিন তার খবর নেয়নি এজন্য এটাই তার শাস্তি।
সঞ্জয় একদিন একদিন করে শেখরের ফোনের একটা
মেসেজের অপেক্ষা করতেছে।সঞ্জয়কে তার পরিবার
বিদেশ পাঠাবে বলে ভেবেছিল কিন্তু সে যায়নি।কারন ওখানে
গেলে তার শেখর তাকে পাবে না।
>>অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনরে সঞ্জয় ৪০ এ পা দিল।এখনও সেই
আগের মতনই পাগল হয়ে আছে।সঞ্জয় আন্দাজ করতে
পারতেছে যে শেখর তাদের কোনো এক anniversary
তে, গভীর রাতে তাকে ফোন দিবে।দিয়ে লক্ষ্মী
বলে ডাক দিবে।
সঞ্জয় তার ফোন দুটো সব সময়ই তার হাতের নাগালে রাখে
যাতে শেখরের কল করে তাকে পেতে কষ্ট না হয়।শেখর
মনে হয় সঞ্জয়ের পুরো পৃথিবীটা জুড়ে বাস করত।তার চলে
যাওয়াতে সঞ্জয়ের পৃথিবীটা শূন্য হয়ে পরেছে।
নেমেছে ঘোর অন্ধকার।
সঞ্জয়ের সিম দুটো দু বার হারিয়ে গেছিল তবে সে দুটো
সিমই একদিনের মধ্যে তুলে এনেছে।নয়তে তার শেখর
তাকে পাবে না।
আর শেখর তাকে না পেলে তার সেই অপেক্ষারত
প্রেমের স্বপ্ন গুলো যে পূর্ন হবে না…।
>>সেই একটা ফোনের অপেক্ষা বসে রয়েছে সঞ্জয়।
প্রহরের পর নিশি আসে একরে পর এক পার হয় দিন, পার হয় মাস,মাস
পেরিয়ে বছর।একটা দুটো করে ধীরে ধীরে ২৮ টা বছর
পার হলে গেল তার অপেক্ষারত প্রেম সম্পর্কের। আর রাতে
২৯ বছরে পা দিবে তার অপেক্ষায় থাকা অগ্নি লাভা মিশ্রিত প্রেম।
সঞ্জয়কে বাহ্যিক ভাবে দেখতে বেশ সুস্থ মনে হলেও তার
ভিতরটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।সঞ্জয় এখন ৪৫ বছরের একজন মানুষ।
শুধুই মানুষ।সঞ্জয় বিয়েও করেনি কারন কাউকে দেবার মতন তার
কাছে কিছুই নেই।তার সবকিছুই সে শেখরকে দিয়ে দিয়েছে।
চাকরী জীবন শেষ সে এখন একাই ঘরে বসে দিন কাটায়।
শেখর এখনও দৌড়ে যায় একটা মেসেজ আসলে একটা ফোন
আসলে।এই বুঝি তার শেখর তাকে কল করেছে।
সঞ্জয় মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করে, ‘একটা মানুষ কিভাবে
তার প্রেমকে এভাবে ভুলে থাকতে পারে?কি দোষ ছিল
সঞ্জয়ের?’
এসব যেন তার প্রতিদিনকার প্রশ্ন।উত্তর মিলে না। তার প্রেম আরও
গভীর হয়ে গেছে।
সঞ্জয় তার ফোনটা চার্জে দিল।ফোনের ভলিউম সব সময় বাড়িয়ে
রাখে যাতে শেখরের কল আসলে বা মেসেজ আসলে তার
শুনতে কষ্ট না হয়।
সঞ্জয় যে একটা সুস্থ পাগল তাতে তার আশে পাশের লোক
গুলোর কোনো সন্দেহ নেই।কারন একটা মানুষ কিভাবে এমন
একা একা দিন পার করে যা পাগল ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
সঞ্জয় বিছানায় বসে ভাবতেছিল আজ তার প্রেমের ২৮ বছর শেষ
নতুন বার্ষতে পা দিবে।যদি শেখরের খবর পাওয়া যেত হয়ত কাল
সকালে ঠিক সেই ২৮ বছর আগের মতন করেই উইশ করত
শেখরকে।
সঞ্জয় তার চোখ থেকে পানি ঝাড়তেছে বুঝতে পারল।
সে শেখরকে নিয়ে গড়া সেই সোনালি স্বপ্ন গুলোকে
নতুক করে ভাবতেছিল।ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে
পরেছে মনে নেই।
হঠাৎ করে কানে শব্দ আসল ফোনে রিং হচ্ছে…..ক্রিং…. ক্রিং…..
হাতের পাশে লাইটটা অন করল, ঘড়ির দিকে তাকালো সঞ্জয়,
দেখল রাত ১২.০২ মিনিট বাজে।
ওদিকে নাচ্ছোর ফোনে রিং হয়েই যাচ্ছে।
সঞ্জয় জোরে করে বলল আসছি বাপু আসছি!!
এত রাতে কে আবার জ্বালাতন করতে কল করল…!!!
ওদিকে ফোন রিং হয়েই যাচ্ছে……
ক্রিং……..ক্রিং…….
(সমাপ্ত)
প্রথম প্রকাশঃ সমপ্রেমের গল্প