
লেখকঃ অরিত্র হোসেন
ছোট ছোট মোমবাতি দিয়ে পুরো ঘর সাজানো। কয়েকটা মেঝেতে। কয়েকটা কাঠের ওয়ারড্রবের উপর। চারটা হলুদ স্পট লাইট জ্বলছে। চারটা চার কোণায়। স্পট লাইট আর মোমবাতির আলো মিলিয়ে অদ্ভুত এক পরিবেশ ঘরে তৈরি হয়েছে। আজ কোন ঝিলিমিলি বাতি জ্বালানো হয়নি। সবসময় এ বাড়িতে সব আয়োজনে রঙিন বাতি থাকবেই। রঙধনু বাতি।
সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে। কেউ সোফায়। কেউ মেঝে। আর কেউ দাড়িয়ে আছে। মেঝেতে একজন হাত পা ছড়িয়ে লাশের মতো শুয়ে আছে। আরেকজন তার পাশে বসে বিলাম সুরে কান্না করছে। যেন কেউ সত্যি সত্যি মারা গেছে। তার শোকে সে আসলেই ভীষণ কাতর।
আরে! তারা অভিনয় করছে! বিনোদন দেওয়ার জন্য ‘খালা যদি মরে যেতো’ নামে একটি মজার নাটিকা পরিবেশনের চেষ্টা করছিল ওরা। ‘খালা’র লাশের পাশে বসে তার বন্ধুবান্ধব কেমন আচরণ করতো তা অভিনয় করে দেখানো হচ্ছিল। যাকে নিয়ে মজা করা হচ্ছিল তিনি আর কেউ নন খোদ জুলহাজ মান্নান। তিনি ঘরের এক কোণায় সোফার পিছনে পর্দায় হেলান দিয়ে মুখ টিপে হাসছিলেন। হাসি দেখে মনে হচ্ছিল তিনি জোর করে হাসছেন। নকল হাসি। তার চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। এই মৃদু আলোতেও আমার চোখে পড়ছিল। তাকে সবাই আদর করে খালা ডাকতো। এখনও ডাকে। কারণ তার ভালোবাসা ছিল খালার মতন।
সেদিন তার মৃত্যু নিয়ে মজা করা হচ্ছিল। কারোর কাছে একবারের জন্য মনে হয়নি তিনি চলেন যাবেন আমাদেরকে ছেড়ে। খুব দ্রুত।
ঠিক এক মাস পর ২৫শে এপ্রিলের সন্ধ্যায় তিনি খুন হন। নিজ বাসায়। নৃশংসভাবে। দরজার সামনে। ঠিক এক মাস পর!
কাকতালীয় হয়ে গেলো না ব্যাপারটা? যেন এক লিখিত নির্মম ট্র্যাজেডি। কোন অভিজ্ঞ লেখকের মাথা থেকে এক আসা এক শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার বিবরণ।
২৫শে মার্চ আমি শেষবারের মতো জুলহাজ ভাইয়ের বাসায় পা দিয়েছিলাম। এক জন্মদিনের উৎসবে। তার কাছে বন্ধুদের জন্মোৎসব তিনি নিজের বাসায় করতে পছন্দ করতেন। প্রায় ৩ মাস পর সে বাড়িতে যাওয়ার কারণে আমার মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। দূরত্ব দূরত্ব ভাব। যেন ৩ মাসেই সব ধরণের সম্পর্ক ছিঁড়ে তন্নতন্ন হয়ে গেছে। তবে বাসার পরিস্থিতি বদলায় না। মানুষ বদলাই। পুরনো চলে যায়, নতুন কেউ আসে। কেউ টিকে কয়েক মাস, কেউ টিকে কয়েক বছর। আবার কেউ টিকে একটি মাত্র দিনের জন্য। বাসায় দেখতে পেলাম সব চেনা পরিচিত মুখ।
সেদিন জুলহাজ ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তিন বাক্যে। কিছু জিজ্ঞাস করলেও উদাসীন ভঙ্গিতে জোর করে উত্তর দিয়েছেন। পুরোটা সময় মুখ ভার করে ছিলেন। আমি প্রায় মজা করে বলতাম, যতক্ষণ তিনি মদ খান না ততক্ষণ তিনি খিটখিট করেন। মদ খেলো আর মুড ভালো! তিনি অবশ্য সে মজা গ্রহণ করেনি। উলটো ধমক দিতেন!
ড্রয়িং রুমে তার মৃত্যু নিয়ে মজা করা সময় আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি মানুষের চেহারা পড়তে পারি না। সেদিন পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। আচ্ছা সেদিন কি তিনি একবারও কি তার মৃত্যুর কথা সত্যি সত্যি কল্পনা করেছিলেন?
ঠিক এক মাস পর তার মৃত্যু হল।
মাঝেমধ্যে আমি হিসাব করতে বসি। কতো দিন হল? ১০ দিন? ১৫ সপ্তাহ? ৬ মাস? আর কতো মাস পর এক বছর হবে?
প্রথম প্রথম ঘোরের মধ্যে ছিলাম। ঠিকমতো বুঝতে পারছিলাম না জীবনে কতো বড় পরিবর্তন চলে এসেছে। যখন ঘোর কাটিয়ে একটুআধটু বোঝার চেষ্টা করতে শুরু করলাম তখন বড় বড় দীর্ঘনিঃশ্বাস বুকে জমতে শুরু করলো। আমাদের পুরো জগত বদলে গিয়েছে। আচমকা এক ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে গিয়েছে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জুলহাজ আর তনয়ের স্মরণে লিখতে বসবো সেটা কল্পনা তো দূরের কথা, ভুলে ভাবতেও পারিনি। মৃত্যু নিয়ে আমি কখনই ভয় পেতাম না। নিজেদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কখনও মনে হয়নি সাংঘাতিক কিছু ঘটতে পারে। যখন কাছের আপন মানুষজন মুহূর্তেই খুন হল তখন বুঝলাম নিষ্ঠুর দুনিয়ায় সবই সম্ভব।
সুখের ঘটনা লিখতে বসে দুঃখের গীতি শুনাচ্ছি। অবশ্য জোরজবরদস্তি করে স্মৃতিচারণও করা হয় না। অনেক সময় হাজার হাজার শব্দ মাথায় ঘুরে কিন্তু লিখতে ইচ্ছে করে না।
জুলহাজ ভাইকে চিনি প্রায় আড়াই বছর হবে। এক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে তার সঙ্গে পরিচয়। আমি ‘প্রণয়নামা’ অনুষ্ঠানে জন্যে একটা নাটক লিখেছিলাম। তারা আমায় বলল নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হই তবে আমার ধারনায় ছিল না কিসে রাজি হলাম! যখন রিহার্সাল শুরু করলাম তখন কোন কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না। কিভাবে করবো? নাটকে মাত্র দুটো চরিত্র। আমার সাথে যে অভিনয় করবে তাকেও আমি চিনি না। এই দুর্দিনে আমাদের উদ্ধার করলেন জুলহাজ ভাই। তিনি নাটকের দিকনির্দেশক হিসেবে আবির্ভূত হলেন। তখন থেকেই তার সঙ্গে পরিচয়। অনুষ্ঠানের কয়েক সপ্তাহ পরে আমরা সবাই গেলাম বান্দরবানে। সম্পর্কে দারুণ উন্নতি ঘটলো!
এরপর রূপবানে ঢুকলাম। দেড় বছর কাজও করলাম। তখন ব্যক্তিগত সম্পর্ক পুরোপুরি কাজে রুপান্তর হল। আর তার সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি ‘রূপঙক্তি’তে। ২০১৫ সালে জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে জুলহাজ ভাই ঘোষণা দিলেন তিনি একটা কবিতা সংকলনের বই বের করতে চান। যৌন সংখ্যালঘুদের কবিতাই এখানে প্রাধান্য পাবে। আর দায়িত্ব দিলেন আমার উপর। আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। বইমেলা হল সামনের মাসে! একমাসে কাজ শেষ করবো কি করে? আর হাজারো ঝামেলা তো আছেই। অনুরোধে ঢেঁকী গিলার মতো দায়িত্বটা নিজের মাথায় চেপে বসলাম। মনে মনে বললাম, এবার মরতে নামলাম!
বিজ্ঞাপন বানাও, মানুষদের কবিতা দেওয়ার জন্য গুঁতাগুঁতি করো, কবিতা যাচাই করো সবমিলিয়ে আমি হিমসিম খাচ্ছিলাম। এপ্রিল মাসে আমার এইচ এস সি পরীক্ষা আর আমি এখন বসে বসে কাজ করি! তবে প্রতিটি সময় তিনি আমার সাথে ছিলেন। আমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। আবার মনোমালিন্যও হচ্ছিল। আমাদের কাজের মধ্যে অমিলগুলো ঝিলিক মেরে উঠছিল। ফলাফলঃ কথা কাটাকাটি! শত বাধা পেরিয়ে আর তনয়ের শেষ মুহূর্তের অসাধারণ সাহায্যে কবিতার সংকলন বের করতে সক্ষম হই আমরা। তবে আমি মোড়ক উন্মোচনে যাই নি। আমাকে একবারও ডাকা হয়নি। মোড়ক উন্মোচনের আগেরদিন অভিজিৎ রয়কে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কি আমি ভয় পেয়েছিলাম? জী, উনিশ বছরের ছেলে নিজের জীবনের ভয় পাচ্ছিল না। পাচ্ছিল নিজেদের নিয়ে। তারপরও মোড়ক উন্মোচিত হয়। সম্পাদক হিসেবে কাজ করেও শেষমেশ সামিল হতে পারলাম না। তারপরের দিন রূপবান ইউথ লিডারশীপ প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে ব্রিটিশ কমিশনারের বাসায়। আমাকে জুলহাজ ভাই বললেন স্যুট-প্যান্ট পরে চলে আসেন! আমি বারণ করেছিলাম। আমি বলেছিলাম আজ ২৮শে ফেব্রুয়ায়ি। আজ শেষ দিন বইমেলার। আমি আজ যাবো, নিজ হাতে বইটি কিনবো। নিজের নামখানা দেখবো। আমিই তাই করেছিলাম। বইমেলা থেকে ফিরে এসে দেখি রাতে ওখানেও মোড়ক উন্মোচিত হয়। শুধু আমি ছিলাম না।
আবার ঠিক একমাস পর ‘কবিতা পাঠের আসর’ আয়োজন করা হয়। আমাকে উপস্থাপক আর আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন অনুরোধে ঢেঁকীও নয়, রাইস মিলও নয়, যেন হাজার বস্তা চাল গিলে বসলাম। অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২৫শে মার্চ, ২০১৫।
আবার কাকতালীয় হয়ে গেলো ব্যাপারটা। তাই নয় কি?
গেলো তো কাজ করার স্মৃতি। এখন বলি কাজের বাইরের কথা। আমি হাতেগোনা খুব অল্প সময় কাটিয়েছে তার সঙ্গে। তবে কাটানো সব মুহূর্তই আমার প্রিয়। আমরা চরম মাত্রার বৃক্ষপ্রেমিক। প্রায় বেশিরভাগ সময় গাছ নিয়ে কথা হতো। ২০১৫ সালে জুলাইয়ের কথা। রোজার মাস। আমি এইচ এস সি পরীক্ষার ঝামেলা চুকিয়ে অনেকদিন পর তার বাসায় গেলাম। সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গত এক সপ্তাহ ঢাকা শহর পানিতে ভেসে গেছে। আমি তাকে বারবার বলে রেখেছিলাম বৃক্ষমেলায় যদি যাই তাহলে একসঙ্গে যাবো। তিনি কথা ফেলে দেননি। আমি মাঝেমধ্যে তার বাসায় গেলে গাছের চারা নিয়ে যাই। অবশ্য সবসময় না। সেদিন কিছুই নেইনি। কারণ আজ তো ব্যাপক গাছ কেনা হবে!
বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো। তিনি আর আমি ড্রয়িং রুমে বসলাম। এই ঘরের জানালা দিয়ে তার কিছু গাছ দেখা যায়। আমরা দুজনে উপুড় হয়ে গাছ নিয়ে গবেষণা শুরু করলাম। তিনি মেঝেতে অনেকদিন ধরে ঘাস লাগাতে চাচ্ছিলেন। সময়ের অভাবে পারছেন না। তার মাল্টা গাছ দিন দিন বেড়েই চলছে তবে ফলের কোন নামগন্ধ নেই। তিনি তার অনার্সের সময়কার ঘটনা হঠাৎ করেই বলতে লাগলেন। আমি কখনই জোরজবরদস্তি করে তার জীবনের কাহিনি জানতে চাইনি। যখন তার মনে হতো তখন টুকরো টুকরো ঘটনা শুনাতো। আমি জানতাম না তিনি রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে পড়তেন। আমার নানা সেখানকার টিচার ছিলেন এবং তিনি তাকে চিনতেন। ভয়ও পেতো পোলাপানরা আমার নানাকে দেখে! তবে তিনি বেশি একটা ক্লাস পাননি তাই ঝাপসা ঝাপসা দু একটা কথা এখনও মনে আছে।
গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই বেড়িয়ে গেলাম বৃক্ষমেলার উদ্দেশ্যে। রোজার মাস, ইফাতারের আগেই বাসায় পৌছাতে হবে। রিক্সা ঠিক করে কিছুদূর পেরোতেই দেখলাম রাস্তা পানিতে ভেসে গেছে! জুলহাজ ভাই পানি দেখে হেসে বললেন, কুয়াকাটা ট্রিপে তোমার যাওয়া উচিত ছিল! রাতের বেলায় ওরা ডাকাতের ভয়ে ঘুমাতে পারেনি। সব ঘুরঘুর করে রাতে ঘুরে বেড়িয়েছে। একজন তো সিঁড়ি দিয়ে রঙঢঙ করে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়ে গেছে। আমি তো কিছুই জানতাম না। সব সকালে উঠে শুনেছি!
হঠাৎ করে সুনসান নীরবতা। কথা বলার জন্য কোন বিষয় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তিনি মাঝে মাঝে কিছু প্রসঙ্গ তুলার চেষ্টা করেন, আমি হা-হু করে জবাব দেই। আমরা কখনও একনাগাড়ে কথা বলতে পারতাম না। ১০-১৫ মিনিট পর আপনাআপনি কথার খৈ হারিয়ে ফেলতাম। আর নিজের অতি ব্যক্তিগত ব্যপার নিয়ে কখনও কথা হতো না।
রিক্সা থেকে নেমে দ্রুত হেঁটে গেলাম মেলার ভিতর। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে এরমধ্যেই একের পর এক গাছ দেখেই যাচ্ছি। অবশেষে প্রায় ১৫টার বেশি গাছ কিনে আবার রিক্সায় উঠলাম।
ঝুমিয়ে বৃষ্টি নামলো।
এতোগুলো গাছ নিয়ে দু’জন রিক্সায় জড়সড় করে বসার ছাড়া উপায় ছিল না। আমার এখনও সেই দৃশ্য মনে পড়ে। সারা রাস্তা জুড়ে আমাদের কথা হচ্ছিল নানা বিষয় নিয়ে। তখন মাত্র এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে, বাসা থেকে মেডিকেলে পড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আমি পড়তে চাই না তবুও বাবা-মা মানতে নারাজ। সে নিয়ে আমি প্রায় জুলহাজ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতাম। তিনি কখনও পরামর্শ দেননি। হঠাৎ কথা বলতে বলতে তিনি আমায় বলেছিলেন, আসলে বাবামারা চায় সন্তানের ভালো হোক তবে আমি জানি তাদের সব আবদার অবশ্য পূরণ করা সম্ভব হয় না। তুমি যেটা চাও সেটাই পরো, প্রেসার নিও না। যেটা পরে তুমি তোমার মতো হতে পারবে তাই তোমার করা উচিত হবে।
সেদিন তিনি আমাকে সারাদিন তুমি করে ডেকেছিলেন।
তার সঙ্গে পরিচয় হবার পর সেই একদিন তিনি আমাকে তুমি বলে ডেকেছিলেন। তিনি সবসময় আমাকে আপনি ডাকতেন, সেদিন নিজের নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন!
মাঝেমধ্যে নিয়ম ভঙ্গ করে মানুষ প্রমাণ করে তারা নিজেদের থেকে একটু হলেও অবসর চায়। তিনি আজ নেই ভাবতে কষ্ট লাগে। তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে নিজের যোগ্যতা নিজে যাচাই করে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়।
মাঝেমধ্যে সকালে উঠে দেখতাম ফেসবুকে তিনি মেসেজ দিয়েছেন। ম্যাডোনার গানের লিংক। তিনি অসম্ভব ভক্ত ছিলেন। তিনি প্রায়ই বলতেন ম্যাডোনার Vogue গান শুনতে শুনতে তার মৃত্যু হবে।
আমি জানি না সেদিন তিনি গানটা শুনছিলেন কিনা।
প্রথম প্রকাশ ধী ব্লগ, একটি বয়েজ অফ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগ। কপিরাইটঃ বয়েজ অফ বাংলাদেশ। অনুমতি ছাড়া পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
ইতিহাসের পাতায় এগুলা না থাকলেও গুগল এ তো এগুলা সংরক্ষণ থাকবেই। এরকম সত্য ঘটনা পড়তে ভয় ভীতি ক্রোধ সব কাজ করছে।