সিনেমা: Maurice

লেখক : নিরালোকে দিব্যরথ

সার

সৈকতের বালিতে পুরুষাঙ্গ আর ভ্যাজাইনার সঙ্গমের প্রতিরূপ এঁকে শিশু হলের উদ্দেশ্যে তার শিক্ষক যৌনবিজ্ঞানের পাঠ দিয়ে জানাচ্ছিলেন- ‘কোনও পুরুষ কোনও নারীকে গ্রহণ করবে; বিয়ে এবং সন্তান নামের সামাজিক শৃঙ্খলে বাঁধা পড়বে, তার পেছনে শরীরের এই গুপ্তাঙ্গটির আছে বিশেষ ভূমিকা’।

সেদিন গ্রীবা তুলে হল প্রত্যুত্তর করেছিল- সে মনে করে, বিবাহ কর্মটি তার দ্বারা সংঘটিত হবে না। কেন? হাঁটুর বয়সেই সে ঠাওর করেছিল- শরীরে তার ঐ যৌনাঙ্গের অস্তিত্ব থাকলেও সেটি নারীদের কামনায় সক্রিয় হবে না একদম। তারপর? দেখতে পাই মাউরিসের বেড়ে ওঠা সম্বন্ধে দর্শক ওয়াকিবহাল হতে পারে না, প্রয়োজনও পড়েনি। নিপুণভাবে বয়ঃসন্ধির মনোটোনি পাশ কাটিয়ে Maurice hall (James Wilby) পর্দায় আবির্ভূত হবেন ক্যামব্রিজের আন্ডারগ্রাজুয়্যাট পড়ুয়ারূপে, ভারিক্কি বেশ, সৌম্য-শান্ত। দরকার বাদে খুব বেশি তর্কে জড়ানো স্বভাব নয় যার। কোনওদিন তেমন দরকার হলে সহপাঠী রিজলির অনুসন্ধানে গিয়ে কোইন্সিডেন্স ঘটবে রিজলির অভিজাত রুমমেট Clive Durham (Hugh Grant)-র সঙ্গে। পরিচয় হবে, জানাশোনা হবে। যৌথভাবে পিয়ানো চর্চার দৃশ্যটি সিম্বলিক যা ঘটনার বাঁক নিতে অহেতুক কালক্ষেপণ বাঁচাবে। এভাবে ব্যক্তিত্বের দুর্বার টানে কাছে আসা সম্পর্কটিকে নতুন বন্ধুত্ব নাম দিলেও সংশয়ের দোলাচল চলতে থাকবে,যা ঘটছে তা কি ঠিক!

ক্লাইভ যেদিন আবেগের আতিশয্যে ভালবাসা স্বীকার করে নেয়- ‘Don’t talk rubbish’ বলে ধমকি দিয়ে হল তা প্রত্যাখ্যান করলেও কারও আকর্ষণ বাঁধ মানেনি, খুব গোপনে চলতে থাকে অভিসার। সচেতনতায় ক্লাইভ কয়েক কাঠি সরেস, সজাগ- যেন কাকপক্ষীটি টের না পায়। অস্বাভাবিক (!) সম্পর্কটিকে সে প্লেটোনিক মনে করে স্বস্তি পেতে চায়। সংকট ঘনীভূত হয় রিজলি-কেন্দ্রিক উপকাহিনির অবতারণায়। রিজলিও একজন সমকামী, এতদিনেও ক্লাইভ-হলের সজ্ঞানে ছিল না এই ঘটনা । ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদে পড়ে রিজলির কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়।

উল্লেখ্য, ঘটনার প্লট সেই সময়কার ব্রিটেনের, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজেনি যখনও। সহমর্মিতার বদলে ব্রিটিশ কোর্ট সমকামকে ঘৃণ্য নিকৃষ্ট অপরাধ আখ্যা দিয়ে সাথে রিজলিকে জেলে পচে মরতে পাঠায়। রিজলির শাস্তির সঙ্গে ক্লাইভ-হলের অপ্রকাশিত সম্পর্কের কোনও সূত্র আপাতত যদিওবা নেই, তবু তার প্রতিক্রিয়াতে কেমন মোচড় দেবে দুই নায়কের ভবিষ্যত? ভীতুর ডিম ক্লাইভের আশঙ্কা নাকি হলের অবিচল প্রত্যয়, ধোপে টিকবে কোনটি?

Maurice ত্রিভুজ প্রেমের টুইস্ট। গদগদ আবেগ থলে গুঁজে ধীরেসুস্থে এবং মোক্ষম সময়ে যে ত্রয়ী সম্পর্ক চিত্রিত হয় সেটাই কাহিনির ক্লাসিক বা মহাকাব্যিক পর্যায়ে উত্তরণ ঘটায়। ক্লাইভের কর্মচারী (মাটির ভাষায় বললে ‘চাকর’) Alec Scudder (Rupert Graves) আলোচিত এই ত্রিভুজ প্রেমের তৃতীয় কুশীলব। কোনও গ্যারান্টি ব্যাত্যয়ে শুধু প্রেমিকের পতঙ্গ-আকর্ষণের প্রেরণাবলে আর্জেন্টিনায় অপেক্ষমাণ উজ্জ্বল ক্যারিয়ার মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে সে অনিশ্চিত ভবিষ্যত লন্ডনেই কাটিয়ে দেবে, কারণ ভালবাসা পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে দামী, হোক সেটি নিকৃষ্ট (!) সমপ্রেম। এই উপলব্ধির মুহুর্তটিরই প্রেষণা যোগাতে গল্পটি তিলে তিলে যেন কাহিনিকার ব্রাশ তার তুলিতে এঁকেছেন।কার সঙ্গে প্রেম হবে অ্যালেকের? কোন জুটি পাবে পরিণয়ের সুখ? এতসব প্রশ্নোত্তর এখন দেয়া অনুচিত। তবে এটুকু নিশ্চিত জানানো যাচ্ছে, বোকা সমাজের অজ্ঞানতার উপর মহান ভালবাসার জয়গান গাইতে সমান্তরালে দুটি সম্পর্ক পোর্ট্রেট করার কৌশলটি গ্রহণ করে শৈল্পিক দূরদর্শিতার পরিচয় ঘটে।

সৃজন

Maurice। ১৯৮৭ সালে Ismail Merchant-এর প্রযোজনায় James Ivory নির্মাণ করেন রোমান্টিক ড্রামা জনরার ব্রিটিশ এই ছবিটি। চমকপ্রদ তথ্য হল- Mourice-এর প্লটটি এডপ্টেড E M Forster-এর উপন্যাস থেকেই। Howards end, A passage to India, A room with a view এ সমস্ত কালজয়ী কথাসাহিত্যের স্রষ্টা E M forster বিংশ শতাব্দীতে আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের জরজিয়ান পিরিয়ডের শুরুতেই (১৯১৪) সমকামী প্রেমের উপর আলো ফেলে রচনা করেছেন Maurice। Maurice এর রিভিউ লিখতে গিয়ে মার্কিন চলচ্চিত্র-সমালোচক এবং সাংবাদিক Roger Ebart উপন্যাস এবং চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ দুচারটি কথা লেখেন, আংশিক উদ্ধৃত করে দিচ্ছি, যেটি স্বয়ং E M Forster-এর মর্মন্তুদ সমকামী জীবন সম্পর্কে ইঙ্গিতবহ- “This is the first film from the team of James Ivory and Ismail Merchant since ‘A Room with a View’, and is based once again on a novel by E.M. Forster. Both books are about the gulf between idealistic romance and immediate physical passion, but otherwise they could not be more dissimilar. Maurice, which was written in 1914, was Forster’s attempt to deal in fiction with his own homosexuality, and the novel was suppressed until after his death. The story takes place in the years before World War I, when homosexuality was outlawed in Britain and being exposed meant disgrace and ruin. A room with a view-র কাহিনি সঙ্গে মিল-অমিলের প্রসঙ্গে সমালোচকের নিজস্ব মন্তব্যটি বাদ দিলে, ক্লাসিক সিনেমার তকমা লাগাতে Maurice-র উদ্ধৃত শানে নুজুল অত্যন্ত উৎসাহউদ্দীপক। আইভরির পরিচালনায় ফস্টারের কথাসাহিত্যের চলচ্চিত্রায়ণও অনেকখানিই সফল। একাডেমি এওয়ার্ডে এটি অর্জন করেছে রূপসজ্জায় শ্রেষ্টত্বের পালক, যা প্রমাণ করে ঘটনা ঘটবার কাল ও কালচার এখানে ভাস্বর। পোশাক, সেট, ফ্রেমসহ গোটা আয়োজন আপনাকে সেকালের ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ঠিক বিপরীতে প্রজন্মান্তর ধরে ঘরে ঘরে একইরকম বঞ্চনার শিকার সমকামী ট্রাজেডির প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, তাই Maurice সমকালেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক। 

বিচ্যুতি

এই রিভিউতে যে পরিমাণে প্রশংসার ফুলঝুরি ঝরাতে হবে তার পাশে হাতেগোনা বিচ্যুতির উল্লেখ বেমানান ঠেকছে। তবু গোড়াতে একটা বদনাম করেই নিচ্ছি। নাম ভূমিকায় রয়েছেন জেমস উইলবি, যার ব্যক্তিত্ব নিয়ে একটা সংশয় থেকেই যায়, কারণ সহযোগী কুশলীদের গভীরতাকে ঠিক যেন ছাপিয়ে যেতে পারেননি। ঘটনার এক পর্যায়ে মাউরিসের চরিত্রের প্রকৃতি সম্পর্কে ভবিতব্য প্রেমিকের ভাষায় “Mr Hall’s a gentleman”- এই যে দৃঢ় প্রত্যয়টি ব্যক্ত হয়, একটা নিস্পৃহ কিন্তু ভেতরে পোড় খাওয়া সুপ্ত অগ্নিগিরি হওয়ার পরিবর্তে উইলবির ব্যক্তিত্বটি ঠিক যেন আঁচ করা যায়নি। সে অস্থির নাকি নিরুত্তাপ, উত্তর পাওয়া মুশকিল। তবু এই যৎসামান্য মুশকিল সম্ভবত নজরে পড়বে না, একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ সমকামী জীবন ও সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করতে চিত্রটি সফলতার সাথে উতরে যায়। তাছাড়া বিপরীতে ক্লাইভ চরিত্রটি অনবদ্য শিল্পদক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন গ্র্যান্ট। শ্রেণিগতভাবে কম রুচিসম্পন্ন অ্যালেকের চরিত্রে রুপার্ট গ্রেইভসের ভাষা অঙ্গভঙ্গির চিত্রায়নও নজরকাড়া। আরেকটি অসুবিধা লক্ষণীয়। মাঝের দিকে স্থানের ঐক্য বেশ কয়েকবার বিঘ্ন ঘটে; কারণ স্থানপরিবর্তন, বিদায় নেয়া, ফিরে আসার ধারাবাহিকতা ক্ষাণিকটা অগোছালো মনে হয়েছে। অবশ্য কাহিনি তাতে ঝুলে যায়নি।

তুলনা

উল্লিখিত “প্রজন্মান্তর ধরে ঘরে ঘরে একইরকম বঞ্চনার শিকার সমকামী ট্রাজেডির প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, তাই Maurice সমকালেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক।”… মন্তব্যটি ছেঁকে দেখতে তিনটি মাস্টারপিসের পাশে Maurice-কে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি।

প্রথমত, Brokeback Mountain (২০০৫), সম্ভবত সমকামী গল্পের সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র। পূর্ণমাত্রায় রোমান্টিক। কিন্তু গে কমিউনিটিকে যেন প্রতিনিধিত্ব করে না। কারণ একদিকে যখন ছবিতে দুই নায়কই দুই নারীর সঙ্গে সংসার ধর্মে মনোনিবেশ করেছে, সেই সময় মনেই হবে না তাদের অতীতে কোনও সমকামী সম্পর্ক ছিল, তারা আদৌ পুরুষকামী! অথচ ব্রোকবেইক মাউন্টেইনের ঐ লোমহর্ষক রোমান্সের সময়গুলোতে বোঝার কুদরত ছিল না, এরা উভকামী।

একইরকম অন্য এক ড্রামা জনরার দেখা মেলে ২০১৭-তে; মুক্তি পায় Call Me By Your Name। আগেরটির সঙ্গে পার্থক্য বলতে যুগলের বয়সের তফাত, আর ওটি ছিল গোটা জীবন, এটি আংশিক। এখানেও রোমান্সের ষোলআনা উসুল, যেন বাস্তবে নেমে এসে গেছে স্বপ্ন। তারপরেও কেন গল্পের মূল পরিণতিটি সন্দেহ জাগায়! সামাজিক অসুবিধা ঘটনায় স্পষ্ট আসে না বলেই ঐ পরিণতি অপ্রয়োজনীয় ঠেকে। আর গে লাইফে নারীসঙ্গের উপস্থিতির মাহাত্ম্যটা এখানেও একইভাবে অস্পষ্ট থাকে, যদিও হৃদয় নিংড়ানো আবেগঘন প্রতিটি ফ্রেম প্রলেপ দেয় ছিদ্রতে।

Maurice শ্রেষ্ঠ এখানেই। রোমান্টিক বিলাসের ফাঁকেতল দিয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্রশ্নের উত্তর পাশ কাটেনি একদম। প্রখর পর্যবেক্ষণে সামাজের মূর্খতার উপর আলোকপাত করে নারী চরিত্রের উদ্ভব, দায়ে পড়ে দায়গ্রহণ এ সমস্ত বাস্তবতার শতভাগ করেছে মূল্যায়ন।

দ্বিতীয়ত : Prayers for Bobby (২০০৯)। সুস্পষ্টভাবে সচেতনতাউদ্দীপক আবেগঘন একটি সিনেমা দেখতে চাইছেন; মানে একদিকে অমানবিক পরিপার্শ্বিকতা, সাথে ধর্মের নামে অযৌক্তিক ব্যাখ্যা, পরিবারের অশিক্ষিত দাবির বিরুদ্ধে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চান যে- সমকামিতা পাপ নয়, অস্বাভাবিক নয়, তাহলে আপনার জন্য Prayers for Bobby হতে পারে পয়লা পছন্দের। ট্রাজিক। আবার ট্রাজেডি থেকেই ফিনিক্স পাখির মত জন্ম নেবে আশা। অনুশোচনা তৈরি করবে দোষীদের মধ্যে। সমস্যা হল, এই ছবিটি বক্তব্যপ্রধান সুস্পষ্ট। শিল্পরসের নিগড় মান্য না করে উচিত, অনুচিত সব বলে কয়ে দেয়। দর্শকের সূক্ষাতিসূক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা নেয় না। অবশ্য শিল্পের ধরাবাঁধা কোনও ধাঁচ নেই তা মানছি। কিন্তু যেহেতু রোমান্স, সিম্বল, নিয়ন্ত্রিত আবেগ, সামাজিক অসুবিধার চিত্রায়ন ও সমাধান সবকিছুর মেশাপে সমপ্রেমকে প্রতিনিধিত্ব করতে Maurice একটা প্যাকেজ, সেখানে Prayers for Bobby অত উঁচুতে দাঁড়াতে পারে না। শুধু জর্জিয়ান পিরিয়ডে নয়, আজও Maurice-র আবেদন সমান আর যার সামনে বাকিদের মনে হবে বিচ্ছিন্ন অণুগল্প। Maurice বক্তব্যপ্রধান নয়; ধীরেসুস্থের চলচ্চিত্রের মধ্যেই আপনার মনে রেখা সৃষ্টি করবে- কেন কী হল, কী হওয়া উচিত। কিছুই জোর করে দেবে না বলে। কিন্তু আপনি বুঝে নেবেন। বড় কথা ছবিটিতে বিস্তর জীবন এবং ভুল সভ্যতাকে প্রতিনিধিত্ব করার একটি গল্প আছে, গল্পে টুইস্ট আছে, স্বকীয় স্বকীয় অসংখ্য চরিত্র আছে, প্রত্যেক চরিত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। মূল কাহিনির পাশে অনিবার্যভাবে আছে উপকাহিনি (রিজলির ঘটনাটির কথাই বলব)। আছে আবেগে গদগদ না হয়েও মিষ্টি রোমান্স। আয়নায় তাকিয়ে দেখা অতীত ভালবাসা অস্বীকার করার পর বিড়ালের গলায় স্ত্রী নামে ঘন্টা ধারণ করা কতটা হবে সুখের, ক্রিকেট খেলায় কার সাথে জমল পার্টনারশিপ, কার সাথে ভেঙে গেল-এরকম সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বহু ফ্রেম তৈরি করে মেধার স্বাক্ষর ছড়িয়ে দেয়া। আছে মান-অভিমান, কিন্তু বাড়াবাড়ি এক্সপ্রেশন নেই, খুব বেশি কান্নাকাটি নেই, তবু ভেতরকে নাড়া দেয়, কষ্ট হয়, আনন্দ হয়। মেইনস্ট্রিম সিনেমা হয়েও নিউডিটির দরকার মনে হলে সেটি উপস্থিত। মাউরিস, ক্লাইভ, রিজলি, এলেক প্রত্যেকেই সমকামী এই ব্যাপাত্রগুলো অভিনেতাদের চোখের চাহনি, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অভিব্যক্তিতে এমনভাবে ধাপে ধাপে প্রস্তুত, যাতে কাকতালীয় হয়েও ঘটনাগুলো প্রবাহ পাচ্ছে।

মোদ্দাকথা, একটা গল্পেই উঠে আসে সবগুলো প্রজন্ম, সবগুলো স্থানের সমকামী সংগ্রামের প্রতিনিধিত্বশীল দুঃখ-সুখের গাথা, আনন্দের বিষয়, কেবল সমস্যা নয়, এখানে সমাধানের পথ তৈরি করে।

প্রথম প্রকাশঃ ঠাহর (প্রথম সংখ্যা)

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.