আমার গল্প

সম্পর্কটা ঠিক কতখানি গভীর ভালোবাসা ছিলো জানিনা।

আমি ছোট বেলা থেকেই অনেকটা ইন্ট্রোভার্ট…

বাস্তবে আমার বন্ধু নেই বললেই চলে এমন না যে কেউ বন্ধুত্ব করতে চায় না!আমিই আগ্রহী করিনা,কারন বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে যেটা দরকার সেটা আমার মধ্যে নেই,আর এখন বন্ধু বলতে কিছুই নেই, ২% আছে তা সেটা কয়েকজনার ভাগ্যের ব্যাপার!  সুতরাং এখন আর বন্ধুর মত বন্ধু নেই।

যাই হোক,আমি একটি আইডি খুলেছিলাম, LGBT এর  পোস্ট এবং খুব একা লাগতো আমার খুব, তাই আইডি খুলে ছিলাম,এবং কয়েকজনের সাথেই পরিচয় হয়,কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এখানে প্রায় সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেটেড!  বন্ধুত্বর নামে ২দিন পর সেক্সচুয়াল ব্যাপারে জড়াতে চায়! এর কারন টা কি ঠিক জানিনা।

অনেকেই গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও,অন্যকারোর সাথে সেক্সচুয়াল সম্পর্কে জড়িয়ে পরে,এর কারন অনেক গুলো আছে,কারোর হয়তো চরিত্রের দোষ, আর কারোর বা মনের মত  গার্লফ্রেন্ড হয়না অথবা টক্সিন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারনেও এরকম টা হয়।

———————————-

আমি এইসবের মধ্যে নিজেকে অনেকটাই হেঁসে উড়িয়ে দিতাম, কারন বিশ্বাস করতাম, যদি আমার গার্লফ্রেন্ড হয় তাহলে অবশ্যই আমার ভালো থাকতে হবে,আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকে অনেক ভালোবাসবো যা হবে তার সাথেই হবে শুধু।

তার সাথেই থাকবো সারাজীবন।

আমি মধ্যেবিত্ত ঘরের সন্তান তাই ভালোবাসা গুলোও খুব মধ্যেবিত্তের মত!

কিন্তু সত্যিই যে সম্পর্কে জড়িয়ে যাবো ভাবতে পারিনি।

তোহ গ্রুপে একদিন মজার ছলে কেউ বলতে ছিলো আমাকে, তোমার দেশের একটা মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়! আমি বললাম ভালোই তোহ বন্ধু, সম্পর্ক করে নাও। তুমি তোহ সিঙ্গেলই!

তোহ এর কিছুদিন যাওয়ার পর, শীতল( ছদ্মনাম)  

সে আমাকে রিকোয়েস্ট দেয়,আমি জানতাম না ওই মেয়েটাই সেই মেয়ে, আমি কল্পনাও করতে পারিনি এর সাথে আমার সম্পর্ক হবে!

তোহ সে আমাকে নক দেয় ,

আমিও রিপ্লাই দেই, ওখানেই শেষ, তারপর সে আমাকে আরেকদিন নক দেয় বিকেল বেলা, আমিও রেসপন্স করি, সে আমাকে দেখতে চাইলো,আমি আমার ছবি তে স্টিকার দিয়ে তাকে ছবি দেই আমিও তাকে দেখতে চাইলাম সেও সেইম ওয়েতেই দিলো।

তারপর সে আমাকে বললো কল দিতে পারি? আমি বললাম দিন, তারপর সে আমার সাথে কথা বললো, ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো, অনেকটা ছটফটে স্বভাবের মেয়ে,কিন্তু তার কাছে যেটা মজার কথা ছিলো আমার কাছে তা বিরক্ত লাগতো, তখনকার সময়ে।

যাই হোক, আমি একদিন তার আরেক টাহ ছবি দেখতে চাইলাম কিন্তু সে আবদার করলো ভিডিও কলের জন্য, যদি সে এটা সবার সাথেই করতো পরে জানতে পারি।

যাই হোক আমি আসলাম সেও আসলো আমার ওই প্রথম ছিলো কোনো মেয়ের ভিডিও কলে আসা, তাকেই প্রথম দেখায় ভালো লাগলো,কিন্তু বিশ্বাস করুন অন্য রকম ভালো লাগা ছিলো, হঠাৎ একদিন কোনো কারন ছাড়াই তাকে, ভালোবেসেছিলাম!

তাকে ভাবতে লাগলাম,

আহ কি সুন্দর অনূভুতি!  ছিলো।

ভালোবাসা অন্ধ হয় জানেন তো?

কিন্তু আপনি অন্ধ বলে বা আপনি রিয়েল বলে কেউ আপনার সাথে রিয়েল হবে এমন টা না, আপনি কারন ছাড়া ভালোবাসতে পারেন তাই বলে অন্য কেউ এরকম সেইটা না,প্রতারণাও করে।

ঠিক সেটাই হয়েছিলো আমার সাথে।

সে আগেও অনেকের সাথে সেক্সচুয়াল ভাবে জড়িয়ে ছিলো, ব্যাপার টা বলছি দাঁড়ান!

____

আমি তাকে ডিরেক্ট প্রস্তাব দেয়নি প্রথমে, কিন্তু সে বুঝতো আমি তাকে পছন্দ করি,কিন্তু আমাকে কখনো হ্যাঁ কিংবা না বলতো না।

ঘুড়াতো এরও কারন আছে, যা আমি তার সাথে সম্পর্কের পরে জানলাম।

আমি তাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসতে থাকি,ওই যে বলেনা?

যাকে ভালোবাসো তাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসো,আমিও সেটাই করেছিলাম।

কিন্তু তার কাছে ভালোবাসা ছিলো একটা নাম মাত্র সম্পর্ক।

হয়তো তার জন্যই সে আমার সাথে জড়িয়ে ছিলো সম্পর্কে, স্বার্থের জন্য সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো।

সে সবাইকে বলতো আমি তার শুধু বন্ধু মাত্র, যার কাছে বলতো সে তার সাথে এমন আচারন করতো মনে হয় সে তাকেও পছন্দ করতো,মানে ফ্লাট আর কি।

একদিন তাকে আমি বলি, দয়া করে আমাকে ব্লক দাও,কারন তোমাকে অনলাইন দেখাচ্ছে কিন্তু এতরাতে তুমি অন্য একজনার কলে, সে বললো সে দিবেনা তারপর আমি জোড় করায় সে আমাকে ব্লক  দিয়ে দেয়।

আমি তারপরও তার কথাই ভাবতাম।  

ওহ আর একটা কথা, আমার এক LGBT বন্ধুর সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো তার, পরে যখন সে জানতে পারে, সে যে সেই আমার বন্ধু তখন তার সাথে কন্টাক্ট বন্ধ করে দেয়, তার সাথে নাকি বন্ধুর মত ছিলো কিন্তু পরে দেখলাম তার চ্যাটের ইনবক্স দেখলে বুঝায়, প্রচুর ফ্যাল্ট করা চ্যাট।

তোহ সে যখন আমাকে ব্লক করে দেয়, অনেকদিন পর সে আমাকে টেক্সট দেয় (.) এরকম আমিও দেই তারপর দেখলাম সে আমাকে বলে আমি তোমার প্রতি দূর্বল  অনুভব করি! তারপর এরকম করে করে আমার সাথে সম্পর্ক করে,সে আমার কাছে সতি সেজেই সম্পর্কে জড়ায়।

যাই হোক, আমি রিলেশন স্ট্যাটাস দিলে অনেকই শুভেচ্ছা জানায়,আর আমার আরেক বন্ধু হিংসায় পাগল হয়ে যায়। এবং আরো অনেকই,  এর কারন কি জানিনা।

তোহ তার কাছে পাসওয়ার্ড চাইলে সে আমাকে দেয়,বিশ্বাস করুন আমি প্রস্তুত ছিলাম না দেখার জন্য,আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে!

সে অনেকের সাথে ফ্লাট করে,এবং তার মধ্যে আরেক জন ছিলো তার সাথে সব আইডি দিয়েই সম্পর্ক রাখতো,  এবং সেক্সচুয়াল সম্পর্ক চ্যাট হতো, শীতল তার বেস্টফ্রেন্ড কে ভালোবাসতো সেও বাইসেক্সুয়াল ছিলো,

আর সে অনেক ছেলের সাথেও ফ্লাট করেছিলো, সে বলেছে এর কারন তার বন্ধু মহল কে দেখানোর জন্য সে সমকামী না, আমি মেনে নেই, কিন্তু তার আইডি তে এক টা ছেলের সাথে সেক্স ভিডিও করতে দেখি!  কিন্তু সে মিথ্যা বললো যে এটা নাকি সব বন্ধুরা মিলে ভিডিও কল দিতো ইত্যাদি ইত্যাদি আমি হাসলাম।

 যাই হোক

তোহ আমি ওকে প্রশ্ন করি এগুলা কি?

সে বলে বয়স অল্প তাই করে ফেলেছে এবং আরো ইমোশনাল আজগুবি কথা।

কিন্তু ক্ষমা করে দেই,কারন আমার কাছে মনে হয়েছে অতীত থাকতেই পারে,ভুল মানুষ করতেই পারে।

আমি করেছি, আপনি করেছেন সবাই করে থাকে।  

হয়তো শীতল আমাকে সত্যিই ভালোবাসে!

এই বিশ্বাস টা আমি করেছিলাম কিন্তু,

রিলেশন যত দিন যেতে লাগলো তার আচার-আচরণ পরিবর্তন হতে থাকলো, বিষাক্ত করতো সম্পর্ককে,আমি হতাশ হয়ে যেতাম, অন্ধকার করে তুলেছিলো।

আমি খুব ভালোবেসে ছিলাম।

কিন্তু সে,আমাকে কখনো বুঝতো না। আমার দুঃখ-কষ্ট, আবেগ, সমস্যা ভাগ নেয়া তো,দূরে থাক, বুঝতেও চাইতোনা,এবার এসে নাটক করে গিয়েছিলো

সেই ব্যক্তিই এখন নিজের মুখোশ আবার মেলে দিলো।

জানেন সম্পর্কের প্রথম থেকেই আমি কতশত কান্না করেছি তার শেষ নেই,এই নিকৃষ্ট শেষে  আবার কান্নার করাইলো তার মুখোশ খুলে, এরাই আবার দুইদিন পর এসে ভালোবাসার কথা বলে, ধিক ধিক ধিক  

আমার মনে প্রশ্ন আসতো,যার এত খারাপ অতীত, অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছিলাম সেই আমাকে? কষ্ট দেয়?

তারমানে ক্ষমা করা পাপ?

সে যাদের সাথে সম্পর্ক করেছিলো তাদের সাথে যেমন করতো, আমার সাথেও তেমন করে?কিন্তু যাদের সাথে করতো সব খারাপ, তারা ঠিক তার মতই ছিলো, মানে রতনে রতন চিনে আর কি!

কারন তাদের কাহিনি জেনেছি, তাদের চিনতাম

তারপর যাই হোক,

নিজেকে ঘৃনা লাগছিলো তখন।

ওর এসবে আস্তে আস্তে আমার মধ্যে চেঞ্জ আসে।

সে আমাকে এমন করে ফেলেছিলো!

একটা কথা কি জানেন?

সব খারাপ জন্ম থেকে হয়না, ২-১ টা খারাপ হয়ে যায় যখন তার পার্টনার নিকৃষ্ট হয়।

যখন সে ভালোবাসে এত তারপরও তারই সাথে এরকম হয়, সে খারাপ হয়ে যায়!

সে সবসময় আমার সাথে কেমন জানি একটা টেক্কাখেলা করতো,অর্থাৎ আমিও যা করবো সে ও করবে।আমার তখন বুকটা ফেটে যেত, যে তুমি আমাকে কখনো ভালো না বেসে, আমার সাথে প্রতিযোগিতা করো?

আমি কি যুদ্ধ করতে বসেছি তোমার সাথে?

সে আমার পরিবার নিয়ে গালাগালি করতো।

একটা সময় আমার ধৈর্যের সীমানা পার করলে,আমি ওর সাথে ইচ্ছে মত তাল দিয়ে গালি দিতাম।  

আর একটা টাইম এই আমিটাই ছিলাম যে, ভালোবাসার মানুষ কে গালি দিতে হয় না এটা একদিন ভাবতাম।

ওই যে বললাম ও সম্পর্কটাকে খেলা,যুদ্ধ, বিষাক্ত করে ফেলেছিলো।

একদিন ওর সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়,আমি গিয়েছিলাম ১মাস পর কান্নাও করেছিলাম তার উত্তর ছিলো অনেক টা এরকমঃ-

তুমি ইমম্যাচুয়র, তুমি এইটা সেইটা, আর কি ক্রোধ!  উফ

তারপর সব ঠিক হলে ২দিনের মাথায় আবার শুরু হলো,কেমন জানি সে আমার সাথে এমন ব্যাবহার করতো! কারোর বুঝার উপায় নাই যে,সে আমাকে ভালোবাসে।

একটা সময় বুঝে যাই, আমি তার অনেক গুলো অপশনের মধ্যে, একজন অপশন।

জানেন?আমার ভালো সময়ে সে পাশে থাকলেও, আমার খারাপ সময়ে সে কখনো পাশে থাকতো না,আরো কিভাবে সময় টাকে বিষক্রিয়ায় তৈরী করা যেতো সেইটা চাইতো।

এরপর তার সাথে আবার যোগাযোগ বন্ধ হইলো।

একদিন কল দিলো আমি ধরলামঃ, সে অসুস্থ আমি তাকে সঙ্গ দিলাম!  

যে মানুষ আমার অসুস্থতে বলতো আমি অভিনয় করি,আমার চুপ থাকাকে যে বুঝতো না।

জানেন আমি চাইতাম অনেক বড় হউক,পড়াশোনা করুক,নেটে থাকলে জোড় করে পড়তে বসার চাপ দিতাম,তার মুখের দিকে তাকালে অনেক মায়া লাগতো, ওর মুখের একটা পিমপেলের দাগ আমাকে ভাবাতো, চিন্তায় আছে নাকি শীতল কোনো? ও হাসলে আমার তখন ভালো লাগতো শান্তি লাগতো  , ও না খেলে কিছু আমার রাগ লাগতো, শাসন করতাম,যা ছিলো ওর কাছে খারাপ লাগা,তাই ওর খারাপ লাগবে বলে আস্তে আস্তে শাসন ছেড়ে দেই,সে আমাকে কষ্ট দিয়ে বন্ধু নিয়ে হৈ-হুল্লোড় করতো জানেন? তা আবার গোপন করতো আমার থেকে সেসব ছবি ভিডিও তার মানে কি দ্বারায় তার চিন্তাভাবনা?  এসব অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছিলাম জানেন? আমার কষ্ট আমারই থেকে গেলো, সে জানে যে ভুল যখন দ্বিতীয় বার কিংবা অধিক করা হয় তখন সেটা আর ভুল থাকেনা, সেটা হয়ে যায় অপরাধ, তাই আমি তার কোনো কিছুকে ভুল বলবোনা কোনোদিন কারন সে যা করেছে যেনে বুঝে সুস্থ মস্তিষ্কে করেছে।            

জানেন?  সব চেয়ে হাস্যকর ব্যাপার কি ছিলো যে সম্পর্কে এত গ্যাপ রেখে আসলো,আমাকে প্রতি নিয়ত কষ্ট যন্ত্রণা দেয়,

তাকে আমি পা ধরে কেনো, আনেনি?

কেনো আমার এত অভিযোগ সে আসার পর!  ভাবতে পারেন? তার কাছে মন, সম্পর্ক এগুলার মানেটা কি দ্বারায়?

———————————

যাই হোক,তারপর তার অসুস্থতায়

তাকে আমি সঙ্গ দিয়েছি। একবার না শুধু অনেক বার।

আমার মধ্যে কতশত অভিমান জমে আছে, সে সেগুলা না দেখে, তার অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা দিয়ে আবার আমাকে মানুষিক অত্যাচার শুরু করলো।

আমি তাকে বললাম৷ আমি সম্পর্ক রাখবোনা।

সে বলতে লাগলো বুঝছি তোহ তোমার ফেইসবুকে এখন কত কি হইছে। মানে ও যেমনটা করতে চায় সেটাই আমাকে দিয়ে বানাইছে।

এরপর মিথ্যা নাটক করলো, যে এরকম আর করবোনা।  একটা সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক চাই, আমি বললাম কেমন সুস্থ? তার কাছে উত্তর নাই। কারন সে কি করলো জানেন? গোপনে সেই আগের মত করে আমার পিছনে বসে অন্যদের ম্যাসেজ দিতো আর আমার সামনে সাঁঝতো ভালো মেয়ে, তারপর বললো ব্লক দিতে, ব্লক নিয়ে আমাকে মানুষিক অত্যাচার করতো!  কেনো করেছে জানেন?

সে এখন ফেইসবুকে ফেমাস হতে চায়, ছবি ছাড়ে,আরো আরো বেটার অপশনের জন্য।

সুন্দরী মেয়ে সে, সুতরাং  পেয়েও যাবে,

পেয়ে যাবে সে সেক্স পার্টনার,লাইফ-পার্টনার, বন্ধু।

সবই পাবে।

আবার আমাকেই অভিশাপ দেয়

আমাকে বলতেছে, কেন জ্বলে? আমি শেষে বলছিলাম একটুও জ্বলেনা।!

তুমি আমাকে সম্পর্কের প্রথম দিক থেকেই জ্বলিয়ে আসছো! আমাকে জ্বলাতে এসে আমার চোখেই নিকৃষ্ট খারাপ হয়ে গেলা। দিন কে দিন সম্পর্ক টাকে অসুস্থ করে দিলা, সেটা তোমার চোখে পড়লো না! আহ!

আমি আরো খেয়াল করলাম তুমি আমাকে জ্বলাতে জ্বলাতে নিজে কখন পন্য হয়ে গেছো! নষ্ট চরিত্রের হয়ে গেছো তা তুমি অনুভূতি করতে পারলেনা,আর পারবাও না কখনো।

কারন তুমি তো সম্পর্ক চাও, যে সম্পর্ক মুখে মুখে থাকবে i love u, সম্মান বিশ্বাস এগুলো থাকবেনা। যে সম্পর্ক দূরে থাকা যায় ভাঙ্গা যায়। এগুলো  থাকবে কারন তোমাকে তোহ আমি জানি, তাইনা?

কারন তোমার মত মেয়ের থেকে যা আশা করা যায় সেটাই করছো।

আমি তো আর ভাগ্যবান না,যে কেউ আমার জন্য গভীর ভালোবাসা নিয়ে, গভীর সম্পর্ক নিয়ে দিনের পর দিন আমার রাগ অভিমান ভাঙ্গিয়ে বুকে জড়িয়ে নিবে? সেই মেয়ে তো তুমি না।

জানো? খুব খারাপ হয়ে যাবো খুব। তোমার চেয়েও বেশি। কারন নিজেকে অনেক ধরে ধরে রাখতে ঘৃনা ধরে গেছে।

তুমি আমাকে তোমার উপর শুধু ঘৃনা করিয়ে রেখেছো, এখন আরো করিয়ে রেখেছো।

তোমার সুন্দর শরীরের সুন্দর চেহারার অনেকেই প্রেমে পড়বে,আবার ভাঙবে। কত ছেলে/ মেয়ে তুমি ঘুরাইতে পারো।

জানেন বন্ধুরা?  

আমাকে সে বলতো তোর মত ১০ টা মেয়ে আমি ডির্জাভ করি,তোর কি আছে? আমি বলছিলাম নাই কিছুই নাই। সুন্দর একটা মন ছিলো যা তুমি নষ্টের পথে নিয়ে গিয়েছো।

আমাকে সে খোঁটায় খোঁটায় রাখতো, আমার জন্য ২% সেক্রিফাইস করে সে যে কি খোঁটা

কি বলবো!

অভিশাপ তোমার না প্রিয়, অভিশাপ প্রকৃতি দিয়ে দিবে তার সময় মত

ভালো থেকো সময় এই জীবনধারা নিয়ে  

——————————————————–

সম্পর্ক ছিলো, ছিলো না মুগ্ধতা,ছিলোনা শান্তি, কান্না আর ডিপ্রেশনের উপর ডিপ্রেশন।

এখন আমি একা, যেদিকে তাকাই যৌনতায় সবাই বুদ হয়ে আছে।

আহ! কত সুন্দর!

কতশত বহুগামীর পথ তুমি আমাকে তৈরী করিয়ে দিয়েছো।

শিখিয়ে দিয়েছো,

ক্ষমা করা সবচেয়ে বড় পাপ।

শিখিয়ে দিয়ে গেছো,কিভাবে যুদ্ধ করে প্রতিযোগিতা করা যায় তাও আমার সাথে,

যার সাথে সম্পর্ক, তার সাথে!

তুমি আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছো, ভুল মানুষ কে ভালোবাসলে তার শাস্তি পেতে হয়।

আমি পেয়েছিও!

এই পাওয়া নিয়েই থাকলাম!

আমার জীবনে এই প্রথম বেশি কোনো খারাপ সম্পর্ক হয়েছে। কারন এর আগে আমি খারাপ হওয়ার চান্স পাইনি কেউ, আমার খারাপ চায়ও নি। চেষ্টায় কমতি ছিলো না!

আর এই সম্পর্কে জড়িয়ে আমি শিখেছি কিভাবে খারাপ থেকে খারাপ হওয়া যায়, আর বাকিটা তো বললামই।!

আমার এটাই জীবনের শেষ ভালোবাসা।

আর খারাপও হওয়ার প্রথম রাস্তা!

আমি তারই মত! তার মতই আমি!  

ভালো থাকবেন সবাই।

আর একটা কথা এই খারাপ ব্যাক্তিটি আপনাকে মনে করিয়ে দিয়ে গেলো, অল্পতে আঘাত পেলে খারাপ হয়ে যাবেন না, কোনো কিছু ভুলতে খারাপ পথে যাবেন না। প্রথম সম্পর্ক ভুলবার জন্য ২য় সম্পর্কে যাবেন না।

ভালোবাসার মানুষ ছাড়া সেক্স করবেন না, খারাপ মানুষ থেকে দূরে থাকবেন। স্বার্থপর বেইমানকে ক্ষমা করবেন না, সুন্দর এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে  মন দিয়ে ভালোবাসবেন না।

কারন সুন্দর চেহার হোক আর না হোক, সুন্দর মন দেখবেন।

মনে রাখবেন সোনাকে যত পোড়াবেন তত খাঁটি হবে, সে সত্যি কারের সোনা হলে খাটি হবে,আর মিথ্যা হলে নষ্ট হয়ে যাবে।

________

 সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আমার কথার শেষ বাক্যের, আগের বাক্যের সাথে কেউ অনুপ্রাণিত হবেন না।

কারন আপনার জীবন আমার জীবন একনা, সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করবেন।

লেখা গুলো লিখতে চোখে সমুদ্র এসে গিয়েছে।

কারন আরো লিখতে পারতাম বিষাক্ত সম্পর্কের কথা, কিন্তু আপনিও ঘৃনায় ফেটে পড়বেন, মানুষিক অসুস্থ হয়ে পড়বেন তাই সংক্ষিপ্ত  লেখা দিয়ে শেষ করলাম এক রাশ দুঃখ সাথে নিয়ে।

শেষে আরেকটা কথা শুধু মাত্র ভালো মানুষদের  জন্য, আপনি বলতে পারেন বেশি জ্ঞান দেয়

 হুম একটু স্বরনে রাখবেন!

কখনো মিথ্যা ডিপ্রেশন, মিথ্যা দূঃখের কথায় কারোর প্রেমে পড়বেন না। মনে রাখবেন নিকৃষ্ট ব্যক্তির প্রথম টার্গেট থাকে ছলনা করে কারোর জীবনে প্রবেশ করা।

তাই সত্য টা জেনেই তার সাথে সম্পর্ক করবেন। কারোর অতীত জানার আগে, সেই ব্যক্তির অতীত আগে জানুন যে সে কেমন?তার অতীতটাও বা কেমন? আমার লেখায় খেয়াল করুন অবশ্যই বুঝতে পারবেন। সে কি একটুতেই খারাপ হতে পারে?  বহুগামী মন?

এগুলা বিচার করেই সম্পর্ক করুন। কারোর সুন্দর পোষ্ট দেখে বিচার করবেন না, সত্যটা থাকে ইনবক্সে

যাই হোক, তাহলে আর কষ্ট পেতে হবেনা

________

লেখায় ভুল ত্রুটি থাকলে দুঃখীত  

________

হয়তো এটাই শেষ কান্না।

এটাই শেষ লেখা।  

ভালো থাকুন সবাই

_______

ভালো থাকুক সব বেইমান পারভার্ট গুলো

Source: BAH ( Bangladesh Against Homophobia)

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.