নদীর ওপারে ঘন কুয়াশা

মায়াবতী হ্যা আমার মায়াবতী ৮টি বছর যে আমাকে পরম ভালবাসায় আগলে রেখেছিল।আমার থেকে আমাদের রিলেশন নিয়ে অই অনেক সিরিয়াস ছিল।আমি ছিলাম খামখেয়ালি মনভুলা একজন।আমাদের দেশে তার আমার সারাজীবন পাশে থাকা একরকম অসম্ভব। তাই বিদেশ পাড়ি দি।একটা সময় অকেও নিয়ে আসবো বলে।যখন সে বাসায় রাজি করায় এক রকম সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল ঠিক তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা!এরপর আর বাসায় আর রাজি হয়না বিদেশে পাঠাতে।প্রেশার আসে বিয়ের। তার কথা মতে হঠাৎ তার বিয়ে হয়ে যায় কোন প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই। নিজের চেয়েও যাকে বিশ্বাস করি কেন জানি খটকা লাগে।ওর ফ্যামিলি ভালই বড়লোক এভাবে একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেয়ার কথা না!তার পরও তাই বিশ্বাস করলাম যদিও বন্ধুমহলে কেউই বিশ্বাস করল না।বিয়ের পর আমি একরকম পাগল হয়ে যাই তাকে ম্যাসেজ করতাম যে আমার পক্ষে এসব মেনে নেয়া সম্ভব না তুমি ফিরে আসো ডিভোর্স দিয়ে দাও।সে আমাকে একরকম ফিরিয়ে দেয়।প্রশ্ন তুলে আমি নাকি এতো ভালবাসা বিয়ের আগে দেখাইনি!🙂🙂এখানেই শেষ নয়!  এর পর সে আমাকে বুঝায় সে আমাকে ছাড়া ভালো নেই।কখনো ওদের ম্যানেজ করতে পারলে আমার কাছে চলে আসবে কিন্তু এখন নাহ!মানে আশা দিয়ে রেখেছে হয়তো আরো কিছুদিন যাবার পর বলবে পারিনি! আমি তাকে যে এতোটা ভালবাসি যে আমি নিজেই অবাক।কখন যে এত্তো বেশি ভালবেসেছি নিজেও জানিনা।তার জন্য দেশে ফেরত যেতেও রাজি এমন কি তাকে নিয়ে আসতে ১০লাখ টাকাও না থাকা স্বত্তেও দিতে রাজি হয়ে গেছি।এখন সে আমাকে হেয়ালি করে কথা বলে কোন কথার ঠিক উত্তর দেয়নাহ🙂

জানি তুই এখানে নেই তবু বলি তোকে আমি প্রচন্ডরকম ভালবাসি এখনো। হয়তো বেসেই যাব!তুই আমার গার্লফ্রেন্ড হলে এতো কষ্ট হতো না তুই যে আমার বউ ছিলি যাকে নিয়ে অজস্র স্বপ্ন ছিল কিন্তু পূর্ণ হলো না। তুই সত্যি ভাগ্যবতী যে তোকে তোর পাগলটা এত্তো বেশি ভালবাসে।ভালবাসতে শিখিয়ে মাঝপথে হাতটা ছেড়ে দিলি জরি!

তোর শুভ্র

Source: BAH( Bangladesh Against Homophobia)

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.