
লেখাটি সমকামী বিষয়ক নাহলে আশা করি পোস্টটি এ্যাপ্রুভ করবেন।
শারিরীক ভাবে একজন ছেলে এবং আমার সেক্সুয়াল এট্রাকশনও মেয়েদের প্রতি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ফিমেল ড্রেস, সাজ সজ্জার প্রতি প্রচন্ড দুর্বল।অধিকাংশ পরিবারেই খেয়াল করলে দেখা যাবে খুব কম বয়সে মানে একেবারেই ছেলেবেলায় পোশাক নিয়ে তেমন বাছবিচার থাকেনা।ঠিক তেমনি আমারও ছিলো না। মা, বাবা দুজনই চাকরিজীবি হওয়ায় কাজিনের কাছেই বড়। ছোটবেলায় এমনও হয়েছে এখনও মনে পড়ে, যে কাজিনের ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে একই ড্রেস আমার জন্য ও তৈরি করাতো।
একবার মনে পড়ে বয়স তখন বোধহয় ৫ কিংবা ৬ মা হলুদ রঙের একটা শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন আরেক কাজিনের বিয়ে উপলক্ষে। মাহফিল কিংবা বিভিন্ন গ্রাম্য আয়োজনে চুড়ি কিনে দিত আব্বু। ছোটবেলায় ভালো ডান্স করতাম, ডান্স কিংবা অন্য সময়েই প্রায়ই এইভাবেই কাটতো।
এইভাবেই ফিমেল ড্রেসের প্রতি ভালোলাগা। নির্দিষ্ট একটা বয়সে পৌঁছালে আমাকে শেখানো হলও ছেলেদের পোশাক, মেয়েদের পোশাক কি, দেখানো হলো, বুঝানো হলো।
এমনটা অনেককে দেখেছি, ফিমেল ড্রেস পরতে চায়, নিজেকে মেয়ে ভাবে। আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন নয়, নিজেকে নারী রূপে ভাবিনা। কিন্তু নারী পোশাক পরতে ভালোলাগে, এখনও যখন সুযোগ পাই তখনই নিজের ভালোলাগায় ছুঁয়ে দিই। এখনও যে কনটিনিউ করি বিষয়টা মা আর বড় ভাবী জানে।
আমি শাড়ী, ব্লাউজ, পেটিকোট, লেহেঙ্গা, সালোয়ার কামিজ এসবেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু সমাজ ও পরিবারের ভয়ে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যববোধ কে কুরবানী দিতে হয় প্রতি মুহুর্তে।অনেক জানবার চেষ্টা করেছি আমি কি, পুরুষ না নারী না ট্রান্স। জানিনা এটা কোন সেক্সুয়াল বা হরমোন সমস্যা কিনা।
এইভেবে ভালোবাসার মানুষকে জানাতে পারিনা ভালোলাগার কথা ,ভালোবাসার কথা জানাতে পারিনা, ভয় হয় যদি সে বিষয়টা না মেনে নেয় তখন কি হবে, যদি হাসির পাত্র হই।
আজ অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছি মা আর ভাবী বিষয়টা জানলেও এখন সমাজকথিত নারী পোশাকে নিজেকে সাজাতে ভয় এইভেবে যদি তারা বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে না নেয়। সব মিলিয়ে হতাশার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছি না ভালোলাগে সমাজকথিত এই পোশাকের বিভাজনে পুরুষের পোশাক না পারি নারী পোশাক পরতে, না পারি সবচেয়ে পছন্দের নুপুর পায়ে কোন এক মাঠে ঘাসের উপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটতে। সবথেকে মুক্তি চাই।
Source: BAH ( Bangladesh Against Homophobia)