
পঁচিশের কোঠা পার হয়ে যাবার পরেই বাসা থেকে চাপ দেবে বিয়ের জন্য। ছেলে হলে হয়তো আরো বছর পাঁচেক হেসেখেলে কাটানো যেত, কিন্তু মেয়ে হবার জন্যই হয়তো তোরজোরটা সবাই শুরু করে দিতে চায় আগে থেকেই। পরে বয়স চলে যাবে, তখন আর ছেলে পাওয়া যাবে না বিয়ের জন্য। সর্বোপরি, বেশি বয়সে বাচ্চা হবে না- এইসব বলে বলে বিয়ের জন্য প্রেশারাইজ করা।
আমি যাকে বিয়ে করতে চাই, তাকে আমার সমাজ মানবে না, ধর্ম মানবে না, পরিবারও মানবে না। কোন ছেলে না, জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি একজন মেয়েকে। পরিবারকে জানাতে পারব না কখনো।
গ্র্যাজুয়েশন শেষ, ক্যারিয়ার স্ট্যাবল, এখন বিয়ে করতে হবে, এই বলে পরিবারের সদস্যরা চাপ দেবে। তাদের মাথাব্যথা না থাকলে এই বিষয়ে মাথাব্যথা করতে হবে এটা মনে করিয়ে দেবেন আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি তথা সমাজ। তাতেও কাজ না হলে সর্বশেষ অস্ত্র আছে ধর্মের ভয় দেখানো। একদিকে এই চাপ, অন্যদিকে একে একে সমবয়সী বন্ধুবান্ধবদের বিয়ে করে সংসার শুরু করা দেখে নিজের দীর্ঘশ্বাসে অবশেষে নিজেরই শ্বাস নেবার বাতাস ভারী হয়ে আসে।
স্বপ্ন আমারও আছে। বউ সাজার স্বপ্ন। কনের সাজে আস্তে আস্তে হেঁটে আসছি সেই মানুষটার কাছে, যে আমার প্রতীক্ষায় আছে জন্ম জন্মান্তর ধরে। সেই মানুষটার সাথে সংসার করতে চাইলে চারপাশে বিধির বেড়াজাল। অথচ আরেকদিকে জোর করে স্রোতের সাথে চলার জন্য কী অপরিসীম চাপ মাথার ওপর!
এই স্রোতের উজানে সাঁতার দেয়ার চেয়ে এখন তলিয়ে যাওয়াটাই সহজ মনে হয়।
Source: BAH ( Bangladesh Against Homophobia)