
লিখেছেনঃ দিব্বু দত্ত
অশুচির বিধান আগামীর কর্ণধারকে বিন্যস্ত করে,
মন্ত্র পাঠ শেষে,
পুনঃ পুনঃ মুহুর্তে আস্ফালন ও থেমে যাওয়া।
এখন নেই এই ক্ষণে।
ক্ষণ হয় নদী।
প্রকট বোধগম্যতা কর্ণ ছিড়ে মগজ কে টানে।
“কামড়িয়ে ছিড়ে কয়েদি বানাবো!”
আর ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মুহুর্তেই ছাড়।
বর্তমান শরীর দিয়ে ফুঁড়ে বর্তমানকে টানে।
কী করে এই শাস্তির যোগ্য হলাম কে বলবে!
নিজেই নিজের মৃত্যু দেবতা হয়ে মৃত্যু গ্রহণ করতে অক্ষমতা!
“আমার সিনায় গলাঃধকরণ করানো হয় আগুনের ফেরেশতা।”
অস্বাভাবিক শক্তির ভার দুর্বল করে ফেলে ক্রমশ।
এই অনুভব কি করে সঞ্চালন করব অন্যে?
নিস্তার লাভের প্রচণ্ডতায়; সব নেই করার সময়েই,
এগিয়ে গিয়ে পিছনে ফিরে দেখি এক রঙ্গে অনেক রঙ্গ,
আর তার নেশায় আক্রান্ত হয়ে শরীর ঘুরালেই..
“আত্মা ছিড়ে শূন্যে তুলে প্রাণ কে কোটি টুকরো করে আবার পুনর্জীবন দানই নিয়তি!”
ভুলে যাই স্মৃতি।
কীসের প্রদর্শনে ভীতি জমে শীতল হয়ে স্নায়ু কাটে?
“কিছুতেই মনে আসে না।”
প্রচন্ড আলোয় চোখে অগ্নিচূর্ণ,
আর আগুনেই বাস্তবের বাস।
তখন..
এগিয়ে গিয়ে পিছনে ফিরে দেখি এক রঙ্গে অনেক রঙ্গ,
আর তার নেশায় আক্রান্ত হয়ে শরীর ঘুরালেই..
“নিজেকে অতিক্রম করার প্রয়াসের পুনরাবৃত্তি প্রতিবারই কাল হয়েই দাঁড়াবে। অসংখ্য বার।”
চক্রে আবদ্ধ অযান্ত্রিক যন্ত্র।
সেই যন্ত্র যে চৈতন্য লাভ করেছে।
আর তারপর নিজেকে যন্ত্রের স্বয়ংক্রিয়তায় ফেরাতে গিয়ে আটকে পড়ে থেকে গেল।
তীব্র জীবিত থেকে নির্জীব জীবিত যন্ত্র দের দেখে ক্রমাগত আতঙ্কিত হওয়া।
আর তা ত্রাস ছড়ায়।
কয়েদি মহাকালের।
আমি।