
প্রদীপ রায়
এই ফেসবুক একটা নষ্ট বাগান। থ্যাতলানো গুল্ম, ছিন্ন লতা, কুটিকুটি করা ফুল আর পচতে থাকা সব সবুজ দেহ। আমি যদিও তোমাদেরই একজন। তবুও মানুষের অপরিসীম স্বাধীনতার বরাতে আমি তোমাদের একজন না এবং তোমরা সকলেই এমন। এখানে আছো আবার এখানেই নেই। যাদের দার্শনিক কোন আগ্রহ নেই, তাদের কাছে কথাটা অর্থহীন মনে হবে। কিন্তু এটাই সত্য। যাই হোক, এই নষ্ট বাগানে অপচয় ছাড়া নিজের স্নিগ্ধতা ও সৌরভ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, স্বাভাবিকভাবেই এমন মহৎ মানুষ কম। আমিও নষ্টামি ছড়াই, পচনের ভাইরাস ভাসিয়ে দেই পরবর্তী তরুতে। আমার প্রকৃতির পজিটিভ এনার্জির কারণে কয়েকটি ধূসর করুণ মায়াবী ফুলও ফোটাতে পারি।
এখান থেকে চলে যেতে প্রায়ই মনস্থ করি কিন্তু আবার ফিরে আসতে হবে যে, এই জেনে থাকি। যখন আমার প্রেমিক ছিল, পাঁচ বছর এখানে আসা হয়নি। এখন বেঁধে রাখার কেউ নেই, তাই আবার রোপণ হয়ে যাই দিবাস্বপ্নে, এই নষ্ট বাগানে। তো সবার মতো এখানে আমারও অনেক দঃখ। দুঃখের কারণ যতখানি মালীর ও মালিকের; আমাদের নিজেদের তার চেয়ে কম নয়। যখন প্রথম ব্যক্ত হওয়া প্রেমে মর্মান্তিক ভাবে অবহেলিত হয়ে বুঝলাম, প্রেমের যোগ্যতা আমার হয়নি। কেননা প্রেমের জাদু-মুহূর্ত ছাড়া আমি সেই স্বার্থপর, আত্মপর একজন মানুষই। প্রেমিকের দুঃখ দূর করার ক্ষমতা না থাকায় এই এক-পাক্ষিক প্রেমে আমি ভীষণ পরাজিত। কোনো মহৎ স্মৃতি রেখে ফিরে আসতে পারলাম না। বাসনার কণ্টকিত ঝোপে-ঝাড়ে নিজেকে রক্তাক্ত করলাম। টেনে আনলাম তাকেও, তার বাসনার দুর্বলতা জেনে গিয়ে। যেই বিবর থেকে তাকে রক্ষা করার কথা ছিল বা তাকে রক্ষা করলে আমাকে আজীবন শ্রদ্ধা করতে পারত, সেই বাসনার বিবরেই তাকে শক্ত করে আঁকড়ে রাখলাম। কিন্তু এটাই তার শাপে বর। আমাকে উল্টে দিয়ে, প্রত্যাখ্যান করে, কঠিন অবহেলা ও উদাসীনতা দিয়ে দূরে ঠেলে সে গর্ত থেকে সাঁতরে চলে গেল। আমার জবরদস্তির বিরুদ্ধে তার বিদ্রোহ তাকে শক্তিশালী করেছে, তা আমি জানি। কিন্তু এর প্রাপ্য তো আমি নই। তাই স্মৃতিগুলিতে আমি পেরেক ঠুকে রেখেছি। যেন সে উড়ে এসে আমাকে এই জটিল জলে অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মস্বরূপ দেখাতে না পারে। সেই সজীব প্রাণগুলি ধীরেধীরে শক্ত হয়ে, মুড়মুড়ে হয়ে, গুঁড়ো হয়ে মিশে যাচ্ছে বাতাসে। সেগুলো উদ্ধার করার সাহস বা সামর্থ্য নেই আমার। তবে মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় ধুলো হয়ে যাওয়া স্মৃতির অস্থিগুলিতে প্রাণ সঞ্চার করি। এর বাস্তবতাকে সম্যকভাবে ধারণায় নিই। আর একটি অনাহূত পঙ্কিল প্রেমের কাব্য রচনা করি। আচ্ছা, পৃথিবীর সব প্রেমই কি পঙ্কিল?
এই প্রেমের অবসেশন থেকে মুক্তি পেতে গিয়ে ধর্ম আর অধর্ম একসাথে ধরি। বৈরাগ্য আর আসক্তির জটিল ঘূর্ণিতে যেন দোল খেয়ে খেয়ে অতি নীচে নেমে যাই। আবিষ্কার করি একটা নির্দিষ্ট ট্যাবলেট না খেলে আমি প্যানিকড হয়ে যাই। শ্বাসকষ্টে ভুগি। কিন্তু নেশা হিসাবে নগণ্য। বছরের পর বছর এই বিস্মৃতির ট্যাবলেট আমি রক্তে ঢুকাই। আর তিল তিল করে খুন করতে থাকি নিজের সকল স্মৃতি, বিবেক, কাণ্ডজ্ঞান, সরলতা, সৌন্দর্য, উদ্যম।
এই নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘসূত্র হত্যার মাঝেও ভালোবাসার ফুল ফুটে উঠে। পাঁচ বছরের তিক্ত-মধুর সম্পর্কের মাঝেও আমার গোপন প্রিয়তম ছিল ঐ ট্যাবলেট। সুলভ সস্তা নেশা। সেই নেশার কাছে আমি বেশ্যার মতোই বিকিয়ে দিতাম আমার মাঝে যা কিছু সুন্দর সম্ভাবনা ছিল তার সব গুুলোই! ঘৃণা করতাম নিজেকে। আর নতুন প্রেমিকের সোহাগে আমি ছিলাম কনডম পড়া লিঙ্গের মতো! অনেক প্রেম ঘোরাঘুরি আর মান-অভিমানের পর একসময় দেখলাম যে, আমি তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রেম থেকে বন্ধুত্ব গায়েব। কেবল অবিশ্বাস, সন্দেহ, আর জেরা। আমার মগজ চিবিয়ে খেয়ে নিচ্ছে এই প্রেম।
কিন্তু তখন যতটা রূঢ় সে হয়েছিল তার থেকে আমিও কম হইনি। কিন্তু আমার জন্য সে যতটা আআত্মত্যাগ করেছে আমি তার এক বিন্দুও করিনি। তার স্ত্রী ও পরিবারের সাথে লড়েছে। সন্তান-সন্ততিসহ ডিভোর্সের উপক্রম। তার পরিবারের আমাদের এই সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে যাওয়া এবং সবশেষে তার আত্মহত্যার চেষ্টা; আমাকে ভীষণ ভয় পাইয়ে দেয়।
আমি ছিলাম নিরাপদ অবস্থানে। তাই তার কাছ থেকে দূরে সরে আসতে চাইলাম। কিন্তু সে চাইছিল আমি তার সাথে থাকি। লড়াই সে একাই করবে। কিন্তু আমি যেন সাহস হয়ে পাশে থাকি। হয়তো আমি তা করতাম। কিন্তু প্রতিনিয়ত তার আমাকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা আমার স্বাধীন চেতনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছিল। আমার ভিতরে ঘুরপাক খাচ্ছিল একটা বিদ্রোহ। তবু আমি অভিনয় করে গেছি। বুদ্ধি দিয়ে ভালবেসেছি কিছুকাল। বুদ্ধির পিছনে কি হৃদয় ছিল? নাকি হৃদয়ের নাটাই ছিল? না ছিল নেশার ধীর দীর্ঘ প্রভাব বিস্তার? কী ছিল আবেগসমূহের পিছলা পতনের পিছনে? সে আমার বিচরণ ক্ষেত্রে তার উপস্থিতির বীজ বপন করে গেছে। আমার বেডরুম, আমার গোসলখানা, আমার স্কুল, আমার ট্রেনিং সেন্টার, আমার মামাবাড়ি, ভাইয়ের বাসা, আমাদের গ্রামের উৎসব, আমার জন্মদিন, আমার পূজা, তার ঈদ; সব কিছুতে সে নিজের স্মৃতির বীজ ছড়িয়ে দিয়েছে। একজন সফল প্রেমিকের ট্র্যাজিক পরিণতির গৌরব নিয়ে এখন সে কেমন আছে? সে কি আমাকে ঘৃণা করে? বা তার চেয়ে ভয়ানক কিছু? হয়ত শীতলতায় আমাকে রেখে দিয়েছে সে তার ডিপ ফ্রিজে। যেখানে কোনো উষ্ণতা নেই। সেখানে আমার মৃত্যু অনিবার্য।
আমাকে সে আর খুঁজে না। কিন্তু সে অপেক্ষা করেছিল একটা পরিণতির। আমার বিয়ের। আমিও মুক্তি চাচ্ছিলাম তার ভালোবাসার সামন্ত ন্যায় অত্যাচার থেকে। তার পরিবারের কাছ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে। নিজ পরিবারের হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে আর নেশার কারণে বিবেকটা হারিয়ে যাওয়াতে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেই ফেললাম।
বিয়ের পর ওর ডেস্পারেট ভালোবাসার কারণ বুঝতে সক্ষম হলাম আমি। কিন্তু ততক্ষণে আমি একটা সংকট থেকে মুক্তি পেতে ঝাঁপিয়ে পড়েছি আরো বড় একটা সংকটে। আমি বিয়ে করে ফেলেছি অচেনা-অজানা এক মেয়েকে। প্রথম বাসরে যার গায়ের গন্ধে আমার বমি এসে যাচ্ছিল। যার প্রসাধন, যার নগ্নতা আমার কাছে কাঁচা মাংসের মতো বিতিকিচ্ছিরি লাগছিল। বিয়ের কিছুদিন পর একরাতে স্বপ্নে দেখি অন্য অনেকের সাথে বসে আমি কাটা চামচ দিয়ে কাঁচা মাংস খাচ্ছি। সবাই এটা স্বাভাবিকভাবেই খাচ্ছে, আমি খাচ্ছি কিছুটা ঘৃণার সাথে। তবু এতটা কি শরীরে সয়? প্রথম রাত থেকেই সে আর দাঁড়ায় না। কীভাবে দাঁড়াবে? ট্যাবলেট খেয়ে খেয়ে সেক্স হরমোন কমিয়ে ফেলেছি। আর প্রবল আবেগ থেকে যে কামনা জাগবে তার সম্ভাবনা তো গোড়াতেই রদ। আমার বুকে নেভা আগুন। শরীরে ভেজা বারুদ।
বাঙ্গালি নারীর ধৈর্যের কারণে আর ইরেকশন প্রবলেমের চিকিৎসা থাকাতে এটাও অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে। মনে অনুভূতি নেই, তবুও ঔষুধের প্রতাপে তিনি দাঁড়ায়। যান্ত্রিক আর আনন্দহীন মুহূর্ত পার করি মিথ্যা আদরের অভিনয়ে। খুব কষ্ট হয়। যখন সে ঠোঁটে চুমো দিতে চায়, দেয়। আমিও সাড়া দিতে বাধ্য হই। কি ভীষণ সামাজিক সেক্স! আহা!
এখন এই নষ্ট বাগানে থেকে একটা কালো গোলাপে মন আটকে গেছে। সে পাশের বাগানের। আমাদের প্রতিবেশী। বাইসেক্সুয়াল; অথবা পুরোপুরি তাও নয়। সে আমার তৃতীয় প্রেম হবে না। হবে হয়ত একটা নির্লজ্জ মোহ, যেটাকে তোমরা ক্রাশ বলো। যা অনেকবার আমার জীবনে ঘটে গেছে। তবুও যেটাতে অভ্যস্ত হওয়া যায় না। বরাবরই, ভালোবাসার আশ্বাস নিয়ে আসে, কিন্তু যে আমার তালে তাল মিলায় না। প্রান্তে রাখে। দয়া করে নয়, কখনো প্রয়োজন পড়তে পারে এই ভেবে বা কৌতূহল থেকে বা জানি না কেন। কিন্তু আমি মুছে ফেলতে হবে জেনেও স্বপ্ন আঁকি। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে মেঘের নীচ দিয়ে পাহাড়ি পথে একসাথে হাঁটার আর তার রোমশ কালো মাণিক্য ন্যায় সৌন্দর্যের সাথে প্রকৃতিকে একাত্ম করে এক অসম্ভব প্রেমের স্বপ্ন দেখি। আমি তার কাছে হয়ে যাই নিবেদিত। রাজকুমার আমাকে মনোযোগ দিয়ে দেখবে না। সে চলে যাবে তার বিবিধ আগ্রহে প্রবাহিত হয়ে। কিন্তু আমি তবু তারই জন্য রচনা করব আমার আবেগের নির্যাস দিয়ে সুগন্ধি বাক্য। পুষ্পের মতো অঞ্জলি দিবো তাকে। কিন্তু সে এতটাও পূজ্য কিছু নয়। একজন সুদর্শন সুবচন লম্পট। কিন্তু লম্পট তো কৃষ্ণও। কিন্তু আমি কি তার রাধা হতে পারব?
কোনোদিনই নয়। তবু তাকে আমি ছেঁটে দিতে পারছি না। এত সুন্দর কালো গোলাপ কিভাবে ছেঁটে দেই? উদ্বেগে জীবন আচ্ছন্ন করে তাকে রাখি। রাখি কারণ প্রেম না পেলেও তার কামরাঙ্গা রূপ দেখতে চাই। যদিও তা প্রেমের শৃঙ্গার নিয়ে উন্মোচিত হলে আমি তৃপ্তি পেতাম। কিন্তু তা হয়তো হবে না। আমাকে হতে হবে তার শিকার, দিতে হবে ড্রাকুলার মতো রক্ত পান করতে। তার স্পর্শ, তার চুম্বন, তার হিংস্রতা; অবশেষে তার অবহেলা। হয়ত এই নিয়মেই আসবে আমার আকাঙ্ক্ষার পরিণতি। যদি নিজেকে উঠিয়ে না নেই, সরিয়ে না নেই; তার চৌম্বকত্ব থেকে। কিন্তু আমি বোধহয় তা সহ্য করতে রাজি আছি, কারণ আমি যে ভীষণ গ্ল্যামার ভালোবাসি। তবে আমি অনিশ্চিত। আর তার জন্যই আমি আমার প্রেম আর বিয়ে নিয়ে পর্যালোচনায় বসেছি। সাথে তোমারাও পড়ছ।
জানি অনেকের কাছেই নিজের এইসব অতি ব্যক্তিগত সত্য ও সমস্যা এভাবে পাবলিকলি প্রকাশ করা সুরুচির মনে হবে না। সত্যি বলতে আমার নিজেরও তা মনে হচ্ছে না। আর এটা তো সাহিত্যও নয়। তবু তা কেন করছি? কারণ আমার কিছু করতে ইচ্ছে করছে। নিজেকে ল্যাংটা করতে ইচ্ছে করছে তোমাদের সামনে। যাতে করে তোমরাও এক রৈখিক বাস্তবতার মায়া ত্যাগ করে জীবনকে জীবনের মতো মেনে নিতে পারো। যাতে তোমাদের গোপন সত্যগুলি যে আসলে গোপন নয় তা দেখে চমকে উঠো। কারণ আমরা সবাই কাছাকাছি অভিজ্ঞতা নিয়েই বেড়ে উঠেছি। আমরা একা হয়েও এক।
কালো গোলাপের কাছে নিবেদন শুনে, মর্ষকামী ইচ্ছার কথা শুনে আবার ভেবো না যে আমি নারী প্রকৃতির। তোমরা যাকে বলো পিউর বটম। হ্যাঁ, নারী প্রকৃতি আমার মাঝে আছে। কারো প্রতি নারীর মতো নিবেদিত হতে ভালো লাগে ; কারো প্রতি পুরুষের মতো রূঢ়, বিরক্ত, ভোগী হতেও ইচ্ছে করে। এই দুই প্রকৃতিই পুরুষের জন্য। নারীর জন্য কোনো প্রকৃতি নিতেই ভালো লাগে না আমার। বা নারীর কাছে নারী প্রকৃতি নিয়ে থাকাটাই সাচ্ছন্দ্যের ।
আর তোমাদের টিপিক্যাল ধারণা এই, যে বটম রোল প্লে করে তাকে অবশ্যম্ভাবী ভাবে নারী প্রকৃতির হতে হবে। এটা ভুল ধারণা। টপ প্লে করেও কেউ নারী প্রকৃতির প্রতি ভালোলাগা রাখতে পারে।
নষ্ট বাগানের ফুলকলিরা, আজ জানলাম আমার বাবা হতে কিছু জটিলতা আছে। এ্যান্টি ডিপ্রেশন ট্যাবলেট দীর্ঘদিন সেবনের ফলে এবং এখনো তা বন্ধ করতে না পারার ফলে আমার স্পার্ম উৎপাদন অনেক লো হয়ে গেছে। যেটি পরিমাণে ১ মিলিমিটারে ৫ লাখ। যার গড় অনুপাত হওয়ার কথা ছিল ২০/১০০ লাখ। কিন্তু এটারও নাকি চিকিৎসা আছে। যদি পুরাপুরি সন্তান জন্মে ভূমিকা রাখতে অক্ষম হয়ে যাই, তবে পথে আসতে আসতে ভাবছিলাম একটা বাহানা পাওয়া যাবে ডিভোর্সের। যে আমি এইরকম সন্তানহীন দাম্পত্যজীবন অব্যাহত রাখতে পারবো না। বাবা হতে না পারাটা কিছুটা বিষাদ দিবে নিশ্চয়ই কিন্তু এতে কি খুব দুঃখ হবে আমার; যদি শেষ অবধি চিকিৎসায় কাজ না হয়? উত্তরপুরুষ রেখে যাওয়ার উদগ্র ইচ্ছা আমার মাঝে নেই। তিল-তিল করে এই সম্ভাবনাকে ধ্বংসের পথে এনে দাঁড় করিয়েছি তো আমি নিজেই। কিন্তু এজন্য আমার একদমই কোনো অপরাধ বোধ হচ্ছে না। কারণ উত্তর পুরুষ চায় আমার পরিবার, আমি নই। আমি চাই কেবল দাম্পত্যজীবন সহনীয় রাখতে একটা আশ্রয়। সেটা যদি আগেই গুঁড়িয়ে দিয়ে থাকি; তাহলে লাফিয়ে-লাফিয়ে হাততালি দেওয়া ছাড়া আর কী উপায়? কখনো কোনো পাগলকে তা করতে দেখেছেন কি? আমার আসলে পাগল হয়ে যেতে কোন আপত্তি নেই।