
রাজ রেহান ও রুদ্রনীল
(দুজনের নাম দেখে কিছুটা অবাক লাগছে তাই না? আসলেই রাজ রেহান আর রুদ্রনীল মিলেই লিখেছে কবিতাটা। দুজনে মিলে একদিন মজা করতে করতে রাজ দুই লাইন আর রুদ্রনীল পরের দুই লাইন এভাবে লেখা হল। মজা করতে করতেই কাজটা হল। শেষে দেখলাম বেশ ভালোই তো হল, শেয়ার করা যায় বন্ধুদের সাথে। তাই দিয়ে দিলাম আজ তোমাদের জন্য। আশা করি ভালো লাগবে। আর আইডিয়া কিন্তু দারুণ!! দুজন মিলে এরকম যুগলবন্দী কবিতা হতেই পারে এখন থেকে। তোমাদেরটা কবে আসছে বন্ধু?)
মনের মাঝে বন্ধু তোমার অবাধ বিচরণ,
মন দিয়েই জানাই তোমায়, মনের আমন্ত্রণ।
মনের আমন্ত্রণে তোমার লেগেছে যে দোল,
মনের ডাকেই মন সাড়া দেয়, মনেরই হিল্লোল!
তোমার দোলায় জাগলো মনে হৃদয় হিন্দোল,
শান্ত এমন তোমার কথায়, উন্মাদ চঞ্চল।
চঞ্চল উন্মাদতায় মন কেবল হয় যে উদাস,
মনের মাঝে নিত্য সদা আছে সে, তারই বসবাস।
উদাস আর চঞ্চলতা একই সুতায় গাঁথা,
এমন করেই গড়ে ভালোবাসার নকশীকাঁথা।
নকশিকাঁথা! সে কি সবাই জানে বোনা,
ভালবাসার এ নকশা আঁকা অত সহজ হয় না।
তুমি আমার কাঁথা হবে, আমি যে সুঁই সুতা,
আষ্টেপৃষ্ঠে জর্জরিত তোমার আমার থাকা।
তোমার সাথে আমার থাকা হয় কী করে বল,
মনের মাঝে রাজ্য গড়া রাজা আছে আরো।
তোমার রাজ্যে নাইবা হল, এই অধমের ঠাঁই,
ভালোবাসার পাখি আমি, আপন মনে গাই।
একলা আপন মন যে তোমার অনেক বেশি দামি,
খুঁজে পাও মনের দাম দিতে পারা মন, দোয়া করি আমি।
মনের দাম দেয় না ত কেউ, মন দিয়ে কী হবে,
ভাঙা মনের দাম বল কে দিয়েছে কবে।
মন ভাঙে মন গড়ে এই তো নিয়ম, এই তো রীতি,
তাই তো বলি মন দিয়ো জেনে বুঝে, ভাঙা মনের হোক ইতি।
ভাঙা মনে হবে নাকো, ভালোবাসার ঠাঁই,
মিছেমিছিই ভালোবাসার গান গেয়ে যাই।
ভাঙ্গা মন বাঁধতে হবে ভালোবাসা দিয়ে,
ভালোবাসার জোরালো বান শক্ত করে নিয়ে।
ভালোবাসা সে তো হল, আলেয়ার আলো,
তাই তো আমি আর কখনো বাসব নাকো ভালো।
ভালোবাসা ছাড়া হায় বেঁচে থাকা দায়,
বলে কয়ে কারো সাথে কি ভালোবাসা হয় ?
জানি আমি, বলেই ত আজ এত্ত অভিমান,
ভাবছি যে তাই, গাইব না আর ভালবাসার গান।
ভালোবাসার গান গাও ঠিক মানুষ নিয়ে
বিশ্বাস রেখ, আস্থা রেখ ভালোবাসা ঘিরে।
উৎস: অন্যভুবন