
চন্দ্র কমল
ওহে রোদ্দুর, কিসের এত গরিমা তোমার?
বিবর্ণ তেজ, দহন জ্বালা, ঝাঁঝালো আগুন-
দেখতেই যা!
কিছু কি তোমার?
সূর্য কে দেখ!
অনঙ লাজে বাধ্য হয়ে
তোমারে ত্যাজে।
বোঝ কি তুমি?
মিথ্যে বড়াই প্রদর্শনের, ধরনীর বুকে অমর
হবার ব্যর্থ প্রয়াস!
ক্ষণকাল পরে রিক্ত হস্তে, বর্জ্য রূপে
নিঃশেষ হও।
ভাব তো এবার?
আত্মতৃপ্ত, অসংযমী এই তোমারই হীন
পরাজয়।
অথচ দ্যাখ- এই তোমারই কনক শিখায়,
প্রস্ফুটিত কৃষ্ণচূড়ার স্বর্গারোহন।
তোমায় ছাড়া কৃষ্ণচূড়ার হবে কি বোধন?
চৈতি চিতার বহ্নিশিখায়
ভস্মীভূত, অহংকারী গনগনে রোদ
দিগ্বিদিক আজ জ্ঞানশূন্য।
রক্তবর্ণ রঙে আজ স্নিগ্ধ হতে,
কৃষ্ণচূড়ার রৌদ্রকে তাই নব আবাহন!
উৎস: অন্যভুবন
উৎসর্গ: ভোরের স্নিগ্ধ রোদ।