
সজল আহসান
এই সে শহর,
যেখানে সম্পর্কের আড়ালে খেলা করে নীল নকশা,
দেহবিলাসী সম্পর্ক খোঁজে শরীরী উষ্ণতার সামগ্রী।
দিনের আলোতে সে সম্পর্ক দেখে মানুষ নাক ছিটকায়
আর পর্দার আড়ালে ঠোঁটের নিশানায় চুম্বনের নেশায় তার জিভ ভিজে যায় শিৎকারে,
উত্তেজনার ঘোরে তার মুখ থেকে নিঃসৃত হয় ক্ষণিক অনুরাগের উষ্ণধ্বনি,
দু আঙুলের ফাঁকে জায়গা করে নিতে চায় আরেক আঙুল।
দূরত্ব ডিঙিয়ে ফাঁদপাতা প্রেম মন থেকে শরীরে একাকার হয়ে যায়,
আদরের ভেতরে খুঁজে পায় এক যুবক ভালবাসার শ্রেষ্ঠ বাণী।
অতঃপর প্রেম খুলে বসে স্বার্থের পাতা দেহ বিলাসের শেষে,
বিশ্বাসের বুকে অবিশ্বাসের শাণিত আঘাতে যতনে রাখা যুবকের শুভ্র প্রেম হয়ে যায় ঝাঁঝরা।
সে নীরবতার মাঠে শূন্যতা আঁকে অপূর্ণতার আঙুল দিয়ে,
কখনো বেদনা লুকায় বুকের পাঁজরে কখনোবা তার কষ্ট ধরা পড়ে চোখে।
বেলা ফুরিয়ে গেলে কালরাত্রি নেমে আসে প্রেমহারা কোন এক প্রেমিকের শয্যায়,
প্রেমহীন কোন এক বালকের মনপোড়া স্মৃতির অন্ধগলিতে প্রেম হেঁটে যায় একলা,
দ্বিপ্রহরে জেগে ওঠা তার ছলছল বিষাদভরা আঁখি করে তরল প্রেম বিসর্জন।
এই সে মুখোশের শহর,
যেখানে শরীর ছুঁয়ে কেউ ছুড়ে মারে ইচ্ছে পুতুল নামে কোন এক মনপাগল প্রেমিককে,
কেউবা বিরহের বিষ পান করে মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতে অজানা চৌরাস্তায় দাড়িয়ে হতে চায় যাযাবর।
মুখোশের এই শহরে সবকিছুতেই যেন মুখোশের কারসাজি,
ভাললাগায় থাকে অধরা কল্পনার মুখোশ, ভালবাসায় বাস করে ব্যর্থতার মুখোশ,
প্রেমিকের মনে গুপ্ত থাকে ধোঁকা আর স্বার্থের মুখোশ, সুখের পিঠে থাকে কষ্টের মুখোশ,
চেনা চোখের আড়ালে থাকে অচেনার মুখোশ।
তাইতো এ শহর এক মুখোশের শহর।
উৎসঃ অন্য ভুবন