কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বন্ধু ভালোবাসা

এই গল্পের সব চরিত্র, ঘটনা, গবেষনা ধর্মী বর্ননা সবই কল্পনা। বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই।

২০৭১ সালের আজ ৫ই নভেম্বর অনু সূর্যসেন হলের ১২ তালার ছাদের উপর রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে। উত্তরের দমকা বাতাস তাকে শীতল করে দিচ্ছে। তার এক হাতের মাঝে একটা হাত নেই। কেন নেই সেই হাতখানা? রাতের কিরন আছে অথচ বস্তবের কিরন অধরায়।

অনুর বন্ধু কিরন, তাদের বন্ধুত্ব অনেক দিনের সে বলতে গেলে প্রাইমারি স্কুল থেকে । পৃথিবীর সব একদিকে তাদের বন্ধুত্ব ছিল আর একদিকে । প্রথম শ্রেণীতে যখন অনু স্কুলে ভর্তি হয়েছিল কিরন অনুকে তখন বলতে গেলে দেখতেই পারত না। প্রতি ২ ঘন্টায় এক বার করে মারামারি লেগে যেত। এরপর চলে গেছে ১৫ বছর । বয়সন্ধি কালের শুরু থেকে এমন একটি দিনও যায় নাই যেদিন তারা গাড়ি নিয়ে ঘুরতে না গেছে কোথাও না কোথাও। সন্ধে গরিয়ে পরত কিরন আর অনু তখনও কার্জন হলের ছাদের রেলিং ধরে গল্প করছে। কিন্তু বয়সন্ধি কালিন সময় কিছুটা পার হয়ে আসে আর তখনি দুজন কে দু দিকে ঘুরিয়ে দেয়। কিরন যে কিনা মেয়েদের জন্য মরিয়ে হয়ে থাকে । আর আনু তার মেয়েদের একদম ই পছন্দ না। ইদানিং কিরন মেয়েদের সাথে প্রেম করার বাহানায় অনুকে লুকিয়ে থাকে । মাঝে মাঝে সে ডেটিং এ বের হয়। তখন অনুকে সে একদমই ভুলে যায়। কিন্তু অনু মনে মনে ধারন করে আছে কিরন কে। সে ভাবে কিরণই তার সব কিছু। দেখতে দেখতে এভাবে কেটে যায় আরও ১০ বছর।

ছয় দিন আগে কিরন তার বউ কে নিয়ে মধু চন্দ্রিমায় গেছে। ১৫ দিন হল তাদের বিয়ে হল। ছেলে হিসেবে কিরন এক রোখা । বদ মেজাজি। কিন্তু বন্ধুত্বের জায়গায় একদমই আলাদা। অনুর বারাবারি তাকে বিরক্ত করলেও অনুই তার এক মাত্র বন্ধু যাকে সে এত বেশি চেনে। অনু নিজের মধ্যে যে ভালবাসা কিরনের জন্য লুকিয়ে রেখেছিল তা সে শুধু নিজেই যানে। আর সে তা কখনোই কিরনকে বলতে চায় না। কেননা কিরন তার মত সমপ্রেমি না। আর কিরনও তাকে কাখনোই বুঝতে পারে নাই। ড. ইলা ও তার সন্তানের এই দুঃখ কখনোই বুঝতে পারে নাই। সে যানে তার ছেলে একজন সমকামি কেননা সে একদিন বলেছিল। তার মেয়েদের একদমই পছন্দ না। সে যাকে ভালবাসে সে এক পুরুষ । আর তার সাথেই সে চিরদিন থাকবে। ড. ইলা অনুকে অনেক জিজ্ঞাসা করেছে সে কাকে ভালোবাসে। সে তাদের মেনে নিবে এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে । কিন্তু মনে মনে সে কখনোই চায়নি কিরন একজন সমকামি হিসেবে বেচে থাকুক। সে মনে করে ভালোবাসাও মানুষের শারীরিক অভিযোজন গত বিষয়। বিজ্ঞানের কল্যানে তারও নানা রকম বিকাশ ঘটানো সম্ভব। কেউ সমকামি হলে তাকে বিষমকামী করে তুলতে পারা যাবে। তিনি নিজেকে সেটা প্রমান করে দিতে চান।

২০৭১ সাল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০০ বছর পুর্তি। আগামি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এক নতুন অধ্যায় সুচনা করবে আশা করছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃত্রিম মানব মস্তিস্কের নির্মানের সফল এক অধ্যায় সুচনা করবে বাংলাদেশ। ডা. ইলা যানে না তার প্রজেক্ট এর মধ্যে শেষ করতে পারবে কিনা। একদিকে তার সন্তানের মানুষিক অবস্থা ভাল না, অন্যদিকে তার প্রজেক্ট । তার সহকারি ড এ টি মুলতান তার প্রজেক্টের অন্যতম সদস্য। তিনি গত বছর চিকিৎসায় নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। চিকিৎসা বিঞ্জানে ড. এ টি মুলতান এক অন্যতম পরিবর্তন ঘটিয়েছেন বিশ্ববাসিকে।

হাইড্রা এমন এক ধরনের প্রাণী যাদের কোন অঙ্গানু দুর্ঘটনা বসত কেটে গেলে সেখান থেকেই তা আবার পুনরায় গজিয়ে উঠে। ড. এ টি মুলতান জানালেন তার গবেষনায় হাইড্রার শরিরে এমন কিছু টিস্যুর সন্ধান পেয়েছেন যা অনেকটা মানব টিস্যুর মতই। তিনি সেসব টিস্যুর জ্বিন গত বৈশিষ্ট দেখে দেখতে পেলেন তারা এক লিঙ্গ প্রানী কোন মানব টিস্যুতে এমন জ্বিন গত মিলও পাওয়া যায়, কিন্তু এক লিঙ্গ প্রানীদের পুলিঙ্গ আর স্ত্রী লিঙ্গ বলে কিছু নেই। কিন্তু এমন অস্তিত্ত থাকার অর্থ কি । ভাবনার জগতে তা নতুন কিছু নয় ।ক্লোন করা এখন অনেক প্রাণী আমাদের সামনে ঘোরা ঘুরি করে। শুধু মাত্র এক বিন্দু রক্ত থেকেই কোষ বিভাজনে তৈরী হচ্ছে হুবুহু আর একটি প্রাণী। তাও আবার শুধু এক লিঙ্গ প্রাণী থেকে বহু লিঙ্গের প্রাণী। ড এ টি মুলতান তার গভেষনায় এমনই এক টিস্যুর ব্যাখ্যা উপস্থাপন করলেন যা মানব শরীরে স্থাপন করলে তার হারনো অঙ্গকে আর প্রতিস্থাপন করতে হবে না। হাইড্রা ইন্টার মিডিয়াম কোষ কে রক্তে প্রবেশ করলেই হারিয়ে যাওয়া অঙ্গটি নতুন করে ফিরে আসবে । পরিক্ষামুলক ভাবে তিনি তার নিজের একটি আঙ্গুল কেটে পরিক্ষা করে দেখলেন। ঠীক ১ মাস পরেই তার হারানো আঙুলটি নতুন করে গজিয়েছে। তার এই আবিষ্কার জগতের কত মানুষের যে জীবনকে বদলে দিয়েছে তা আর বলার বাকি কি আছে।

অনু গত ৬ দিন ধরে তার মায়ের সাথে কথা বলছে না। আজ সে ঠিক করল নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরবে , যেদিকে দু চোখ যায় সেখানে হারিয়ে যাবে । বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মানুষিক বিভাগের অধ্যাপক ড আয়নাল হক বলেছেন অনুকে কখনোই যেন বাইরে একা না যেতে দেওয়া হয়। তার মানুষিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে সে যেকোন মুহুর্তেই একটা ভুল করে বসতে পারে। অথচ ডাঃ ইলা সন্তানের ব্যাপারে মোটেই চিন্তিত নয়। সে জানে গত ২৫ বছরে দেশের মানুষের চিন্তা ভাবনা অনেক বদলে গেছে। তার সন্তান যা চাইবে সে তা ই মেনে নিবে। কিন্তু কিছু ব্যাপার আছে যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। একজন মা হিসেবে তারও একটা ইচ্ছে আছে। নিজের একদিকে স্বামি নেই। একমাত্র সন্তান সে একদিন বিয়ে করে ঘরে বঊ আনবে , আর তার ছেলে কিনা আন্যের বউ হবে। তার কাছে এটা বড়ই দুঃখ জনক ব্যাপার।

অনু রাত ২ টায় বাসায় ফিরেছে। ড ইলা রেগে আগুন হয়ে আছে। সাথে নিয়ে এসেছে হ্যাঙলা পাতলা একটা ছেলেকে। ছেলেটাকে নিয়েই সে তার নিজের রুমে ঢুকে পরে। এত রাত অব্দি সে খাবার টেবিলে বসেছিল। অথচ কিছু না খেয়েই অনু তার রুমে চলে গেল। ড ইলা অনেক কষ্ট পেলেন। ভালোবাসা নিজের মনে পুষে রেখে রেখে সে তার সন্তানকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। যেমন তার সন্তান করেছে তার ভালবাসার সাথে। এই অবস্থা আর কতদিন চলবে? সে মনে মনে ঠিক করল অনুকে বিয়ে করিয়ে দিবে।

অনুঃ এই ছেলে কি চাস আমার কাছে? যা ভাগ আমার থেকে।

ছেলেঃ এমন করে বলে না বেবি। তুমি কত হ্যান্ডসাম। উম্মাহ…।।

অনুঃ তুই কি ভাবছিস আমি কামাতুর তোর মত। আয় আমার পা টিপে দে তো।

ছেলঃ পা কেন শুধু, তুমি বললে আমি তোমার জিনিসটাও টিপে দিব।

ছেলেটা অনুর বুকে হাত দিতেই অনু তাকে একটা লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দেয়।

ছেলঃ আহহ!!!!

অনুঃ মা মা মা । (অনু চিৎকার করে উঠে)

ছেলের চিৎকার শুনে ড. ইলা দ্রুত অনুর রুমে চলে আসে।

মাঃ কি হয়েছে বাবা।

অনুঃ এই ছেলেকে বল এখান থেকে চলে যেতে।

মাঃ এই ছেলে তুমি চলে যাও কি চাও ওর কাছে? কে তুমি? চলে যাও বলছি।

ছেলেঃ আমি একটা গে বারে কাজ করি। আমি আপনার ছেলেকে বারে মাল খেতে দেখছিলাম। তারপর বাড়ি ফেরার সময় ওকে দেখি রাস্তার মোরে পরে আছে। তারপর ওকে নিয়ে বাসায় আসলাম।

মাঃ আচ্ছা বুঝলাম, তুমি এই মুহুর্তে এখান থেকে চলে যাও।

ছেলেঃ যাই বেবি। আপনার ছেলে একটা খসা মাল। হা হা হা!! (কোমর দুলাতে দুলাতে সে বেরিয়ে গেল)।

ড. ইলাকে অনেক চিন্তিত মনে হল। সে বার বার ছেলের মুখের দিকে তাকাচ্ছে। ইতমধ্যেই অনু ঘুমিয়ে পড়েছে। ড. ইলা তার মধ্যে আবারও একটা ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে দিল। নিজের মনকে সে আর কিছুতেই বেধে রাখতে পারল না। সে মনে মনে ঠিক করল অনুর ব্রেন ট্রান্সফারেশন করে ফেলবেন। আবার নতুন করে সাজাবেন অনুর জীবন। যেভাবে অনু দিন দিন ভেঙে পড়ছে তা আর হতে দেয়া যায় না। এর জন্য নিশ্চই ওর সমকামি মানুষিকতাই দায়ী।

বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরাল সার্জারি বিভাগের ল্যাবে অনুকে নিয়ে আসল ড. ইলা প্রিভিশিয়ন পদ্ধতিতে তাকে কোমায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন ডাক্তারের একটা টিম পরিক্ষা মুলক ভাবে আজকে অনুর শরীরে কৃত্রিম মানব মস্তিষ্কের প্রতিস্থাপন সার্জারি করাবে। ড. ইলার তৈরী নকল ব্রেন যার হাইপথ্যালামাস অংশটি লিথাল নিউরনের এক নব বিক্রিয়া ঘটাবে যা কিনা মানুষের ভাল লাগা নিয়ন্ত্রন করবে প্রথাগত হরমনের বিরুদ্ধে। তাই নব ব্রেন কখনোই অনুকে সমকামি মনোভাব আসতে দিবে না তার শরীরের হরমন। যা অনুকে সাজাবে নতুন বুদ্ধিমত্তায়। কৃত্তিম এই বুদ্ধিমত্তা তাকে করে তুলবে আরো সৃজনশীল।

একটা মাইক্রো মেমরি চিপে এ যাবত কালে অনুর জীবনে ঘটে যাওয়া সব স্মৃতি গুলোকে দ্বি নকল করে কপি করা হল। নতুন ব্রেনের মাঝে তার সৃতির আনুলিপি প্রতিস্থাপন করে দিল অন্য একজন ডাক্তার।

প্রায় ৭ ঘন্টা ব্যাপি সফল অস্রপাচার চলার পরে অনুকে নিয়ে গেল । ড. ইলা অনেক চিন্তিত নিজের ইচ্ছায় সে তার সন্তানের ইচ্ছার মৃত্যু ঘটাল আজকে । না জানি কি হয়। সেদিন রাতে তার এক ফোটাও ঘুম হল না। প্রায় ৩ দিন পরে অনুর হুশ আসল। সে দেখল তার সামনে দাড়িয়ে আছে তার মা।

ড. ইলা আর তার দল আনন্দে আত্মহারা হয়ে একে অন্যে ফুর্তি করতে শুরু করল। অনু অনেকটা অবাক হল, সে কিছুই জানে না। সে বলল,

মা এসব কি হচ্ছে? আমি এখানে কেন?

কিছু না তুমি একটু অসুস্থ ছিলে আর কি। আমরা তোমার একটা সার্জারি করেছি বাবা । এখন তুমি সুস্থ রয়েছ। তুমি চাইলে আজকেই বাড়ি যেতে পারবে।

পৃথিবীর বিভিন্ন মিডিয়াতে ইতমধ্যে সে খবর ছড়িয়ে পরেছে। বাংলাদেশের বিঞ্জানিরা চিকিৎসা বিঞ্জানকে আবারো তাক লাগাল।

আজ রাতে অনুর স্বপ্ন দোষ হল। জীবনে এই প্রথমবার সে কোন মেয়ে নিয়ে স্বপ্ন দেখল। অবাক ব্যাপার তাহলে কি সে আর সমকামি নয়। সকালে গোসল সেরে নাস্তার টেবিলে যেতেই দরজায় কে যেন নক করল। অনু দরজা খুলেই দেখল কিরন তার বউ নিয়ে এসেছে। অনু মোটেই অবাক হয় নাই। সে কিরণকে জরিয়ে ধরল। কিরন বলল

আমাকে তো ভুলেই গেলি, এতদিন হানিমুনে ছিলাম একটা ফোনও দিলি না। আমি তোকে ফোনে অনেক নক করেছি। ফোন ধরলি না আমার। আমার বিয়েতে যে গেলি আর তো এক বারও আমার খবর নিলি না। টীভিতে দেখলাম তোকে। কি হয়েছিল তোর?

না কিছু না। অনুর মন আবারও খারাপ হয়ে গেল।কি কারনে মন খারাপ হল সে নিজেও বুঝতে পারছে না, সে কিরন কে কতটা ভালবাসে তার পরিনাম কি করে দিল তাকে। সে যে তার সব কিছু। তার জীবনে এত কিছু হয়ে গেল শুধু তারই জন্য।

দুপুরে কিরন ,অনু আর কিরনের বঊ একসাথে খেয়ে দেয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরল। অনু কিরন কে বলল চল আমরা সেই জায়গায় যাই যেখানে প্রতিদিন যেতাম আমরা।

তার ইউনিভার্সিটির সুর্যসেন হলের ১২ তলার ছাদের উপর থেকে ঢাকা শহরটা অনেক স্পষ্ট ভেসে উঠে। মনে হয় পৃথিবীর রাজা আমিও। ওরা তিনজন ছাদের রেলিং ধরে গল্প করছিল। হানিমুনে ঘুরে বেরান মজার মজার সব ঘটনা এক এক করে বলতে শুরু করল কিরন। অনুর মনের মাঝে বিরক্ত খেলা করছে। সে এইভাবে আর কত শুনবে। এত রোমাঞ্চ তার নাই কেন। সে এখনো এত একা কেন। নিজকে আর সে সামলাতে পারল না। কথার মাঝে কি বলেতে না বলতেই সে চিৎকার করে বলতে শুরু করল আমি তোকে ভালোবাসি কিরন। তুই আমার সব কিছু। তুই আমাকে কেন বুঝলি না বল। এই বলেই সে কিরণকে এক ধাক্কা দিয়েই রেলিং থেকে নিচে ফেলে দিল। একটা মুস্কি হাসি দিয়ে তাকিয়ে রইল কিরনের বোউ এর

দিকে । তারপর নিজেও ঝাপিয়ে পরল ১২ তালার একদম নিচে।

ড. ইলা ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে হাজির হল যখন তখন রাত ১০ টা, অনুর হাতে রক্ত মাখা একটা চিরকুট পাওয়া গেল। ড ইলা সেটা নিয়ে পড়ল

“মা তুমি আমার ব্রেন কে পরিবর্তন করে আমাকে নতুন করে পেতে চেয়েছিলে না, চেয়ে দেখ আমি আর সমকামি নই ,আমি নতুন হয়েছি।তুমি আমার সব নতুন করেছিলে ঠিকই কিন্তু আমার সৃতি গুলোকে করতে পার নাই। কেননা তুমি জানতে আমার সৃতি মুছে ফেললে আমি যে তোমাকেই ভুলে যাব, আমি আর সমকামি নই মা, আমি সমপ্রেমি, আর তাই আমি কামনায় নয় আমি প্রেমের কাছে হার মানলাম”

ড. ইলার চোখের কোটরে এক ফোটা পানি গরিয়ে পরছে। অনুর রক্ত লাল চোখ তার দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে সে বলতে চাচ্ছে ভালোবাসা লিঙ্গে নয় ভালোবাসা মনের।

*****(সমাপ্ত)*****

উৎস: অন্যভুবন

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.