
মাসুদ ইসলাম
“নিজের প্রতি যত্ন নিও। এমন অবহেলা আর করোনা। জন্ডিস বাঁধিয়ে এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো।’’ অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে গিয়ে এমনি সব উপদেশ বাণী শুনিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়ে ঢাকায় ফেরত আসার প্রস্তুতি নিলাম।
আখাউড়া আজমপুর থেকে ঢাকা আসার পারাবত ট্রেন সন্ধ্যা ৭টায়। এখন প্রায় সোয়া ছয়টা বাজে। তাই খুব দ্রুত ষ্টেশনের দিকে রওয়ানা দিলাম।
বন্ধুর বাসা থেকে ষ্টেশনের দিকে একটা শর্টকাট রাস্তা থাকায় সেদিক দিয়েই পায়ে হেঁটে যাত্রা করলাম। যদিও ঐ পথটা কিছুটা জঙ্গলে।
সেই পথে কিছুদূর যেতেই একটা বট গাছ পড়ে। সন্ধ্যা হলে সেখানে ভূতের ভয়ে কেউ সহসা যাতায়াত করেনা। আমার কাছে মনে হয়েছে ব্যাপারটা যতনা ভৌতিক তারচেয়ে বেশী অন্য কিছু।
আমি দ্রুত হেঁটে চলেছি আর চারপাশের অবস্থা খেয়াল করছি। জনমানব তো দূরের কথা কোন প্রানীর শব্দও শুনতে পেলাম না। বাতাসও বইছে না। কেমন থমথমে অবস্থা। সেই বট গাছের কাছে যেতেই শুনতে পেলাম, ‘‘মাসুদ! একটু দাঁড়া।’’
কাউকেই দেখতে পেলাম না। কিছুটা ভয়ও লাগছে। কিছুটা বললে ভুল হবে ভয়ে গায়ের সব লোম দাঁড়িয়ে গেছে।
‘‘তুই ঐ বোতলটা ভেঙ্গে আমাকে মুক্ত করে দিয়েছিস। আমি অনেক দিন ঐ বোতলে বন্দী ছিলাম। আমি আজ স্বাধীন। অনেক আনন্দিত। তুই আমার কাছে তিনটা ইচ্ছে প্রকাশ কর, যা পূর্ণ হয়ে যাবে।’’ এমন সব কথাই আমার সামনে দাঁড়িয়ে সাদা অবয়বের মত কেউ একজন বলছে।
আমি সেই অবয়ব দেখেই ভয়ে অস্থির। কি চাইব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। জীবন যেখানে ওষ্ঠাগত অবস্থা সেখানে কিছু মনে না আসাই স্বাভাবিক।
আমি ভয়ে বলতে লাগলাম, ‘‘এখনি বলতে হবে? পরে চাইলে হবেনা?’’
‘‘যা চাইবি তা আগামী ৩ ঘন্টার মধ্যে চাইবি, আর অবশ্যই তা তোর মন থেকে আসতে হবে।’’ এমন সব বলেই সে সাদা অবয়বটা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
ভয়ে আমার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। সমস্ত শরীর ঘামে ভিজে একাকার। তারপর ও ঠিক সময় মত ষ্টেশনে এসে পৌছালাম।
দেশ যে কিছুটা এগিয়েছে তা ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে আসা দেখেও কিছুটা অনুমান করা যায়। চ-বগির ৩৮W সিটে গিয়ে বসলাম। ভয় তখনও আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল।
তিন ঘন্টায় কি চাইবো? এমন সব নিয়েই ভেবে যাচ্ছিলাম। ভাবতে লাগলাম টাকাই সবচেয়ে বেশী দরকার, তাই টাকা আগে চাই। বিশাল অঙ্কের টাকার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। সে কি! টাকা আসছে না। বরং শুনতে পেলাম, ‘‘তোর মন থেকে যে চাওয়া আসবে সেটা পূর্ণ হয়ে যাবে।’’
এমন শুনে মনে মনে সেই সাদা অবয়বকে গালি দিয়ে তার গুষ্ঠি উদ্ধার করলাম। নিজেই বলতে লাগলাম, ‘‘টাকার জন্য কামলা খেটে যাচ্ছি, আর বেটা বলে কিনা মন থেকে আসতে হবে। আরে সাদা বলদ টাকাই আমার মন থেকে চাওয়া। ভূতেও ভেজাল। শালা ফরমালিন দেওয়া ভূত।’’
নিজের রাগকে কিছুটা প্রশমিত করে আশে পাশের মানুষদের কর্মকান্ড দেখতে লাগলাম। নানান পেশার, নানান বর্ণের, নানান শ্রেণীর মানুষ।
ট্রেন ভ্রমণে আমি বেশীক্ষণ বসে থাকিনা। এক বগি থেকে অন্য বগিতে হেঁটে বেড়াই। যদিও রাগে সেটা ইচ্ছা করছিলো না, তারপরও উঠে পড়লাম।
কিছুদূর যেতেই সেই বগির গেইটের দিকে সিটের দিকে নজর গেল। বোধহয় একই পরিবারের লোকজন ছিল সবাই।
সেই সিটের কাছে যেতেই কর্তা ব্যক্তির মুঠফোনে কল আসলো। সে রিসিভ করেই তার পাশে বসা মহিলা কে ফোনটা দিয়ে দিল। সে রিসিভ করতেই কান্না জুড়ে লাউড স্পিকারে বলতে লাগলো, ‘‘ও আল্লাহ! খিতা হুনাইলা। ভাইসাবে আর নাই যে।’’
এমন হৃদয় বিদারক কান্না আর কেউ চলে যাওয়ার খবরে মনটা বিষন্ন হয়ে গেল। হঠাৎ খেয়াল করলাম পাশে বসা যুবতী মেয়েটি কিশোর ছেলেকে বলছে, ‘‘ মায়ের এই কান্নার ছবিটার সেলফি তুলে দ্রুত ফেইসবুকে দে।’’
ছেলেটি আর মেয়েটি দ্রুত মায়ের দিকে মুখ করে ৩২ খানা দাঁত কেলিয়ে সেলফি তুলে ফেইসবুকে দিতে ব্যস্ত হয়ে গেল।
যেখানে মায়ের কান্নাই তাদের মনকে গলাতে পারেনি সেখানে একজন মামার প্রস্থানে তাদের কি এমন যায় আসে।
ইচ্ছা করছিল এমন সব মানসিক রোগীদের ধরে চিকিৎসা করতে।
হঠাৎ শুনতে পেলাম, ‘‘তোর এই মনস্কামনা পূর্ণ করা হল।’’
ঠিকি দেখতে পেলাম সেই ছেলেটি এবং মেয়েটি তার মায়ের দুঃখে সহমর্মিতা জানাচ্ছে।
বুঝতে বাকি রইলোনা যে আমার প্রথম ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে। নিজেকে সান্ত্বনা দিতে লাগলাম এই ভেবে যে, ‘‘যে টাকা ডিমান্ড করেছিলাম তা এই সমস্ত মানসিক রোগীদের ঠিক করতে ব্যয় হয়ে গেল।’’
ট্রেনটি এসে ভৈরব ষ্টেশনে এসে থামল। আমি নিচে নেমে একটা বেনসন হোয়াইট নিয়ে সুখটান দিতে শুরু করলাম। আহ! কি মন ভরে বিষের ধোঁয়া নিজের ভিতর নিচ্ছি।
এইটা আমার দ্বিতীয় ইচ্ছা ছিলনা। হবেও না কোনদিন। কারণ সিগারেটের সেই সুখটান দিতে যে আমার বেশ ভালোই লাগে। আর নিজের ভালো লাগাকে কি আর ত্যাগ করা যায়?
এমন সময় মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় এক সুদর্শন যুবক আমার পাশে উপস্থিত। তার মোবাইলে কথা বলার ধরনে মনে হচ্ছিল সে তার প্রিয় মানুষের সাথেই কথা বলছিল।
তার কথোপকথন শুনে ভালোই লাগছিল। ওপাশ থেকে কি বলছিল তা শুনতে পারছিলাম না যদিও তারপর ও ছেলেটির কথা বলার ধরনে বুঝা যাচ্ছিল কি বলছে বা জানতে চাইছে।
এমন সময় ছেলেটি কে বলতে শুনি, ‘‘বেইবি! তুমি বুঝনা কেন? আমি এখন মহাখালীর জ্যামে আটকে আছি। তাছাড়া কালকে আমার এক্সাম আছে। আমি যদি এখন তোমার কাছে আসি তাহলে কি আমার এক্সাম ভালো হবে? যদিও আমি এক্সামটা পড়ে চাইলে দিতে পারবো। তাছাড়া আমিও চাই তোমাকে আমার বাহুতে আবদ্ধ করে আদর করতে। এবার তুমি বল।’’
জানিনা ওপাশ থেকে কি উত্তর আসছে। উত্তর যে কি হবে সেটা সহজেই অনুমেয়।
ছেলেটি যে দেহভুক প্রাণী সেটা বুঝতে আর বাকি থাকল না। ইচ্ছা করছিল এমন সব ভন্ড দের যারা ভালোবাসার আড়ালে দেহ ভোগ করে যায় তাদের গায়ের সব কাপড় সব সময়ের জন্য গায়েব করে বিশেষ রঙের বিশেষ অন্তর্বাস পড়িয়ে সবার সামনে ঘুরাতে।
সাথে সাথে শুনতে পেলাম, ‘‘তোর দ্বিতীয় ইচ্ছাটিও পূর্ণ করা হল।’’
ঠিকি দেখতে পেলাম মোবাইলে কথা বলতে থাকা ছেলেটির গায়ের সব কাপড় গায়েব হয়ে কচি কলাপাতা রঙের বিশেষ অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। কিভাবে কি হল ছেলেটি তার কিছুই বুঝতে পারলোনা। শেষে নিজের আব্রু রক্ষার্থে পাশের একটা পুকুরে গিয়ে নামলো। ট্রেন থেকে এমন আরো দুই একজনকে নামতে দেখলাম যাদের কারো পড়নে ছিল গোলাপী রঙের বা কটকটে হলুদ রঙের বিশেষ অন্তর্বাস। বুঝতে পারলাম আমার দ্বিতীয় ইচ্ছাটিও পূর্ণ হয়ে গেছে।
ভাবতে ভালোই লাগছিল এই ভেবে যে, পৃথিবীর বুকে থাকা কিছু জঞ্জালদের লজ্জা কি সেটা বুঝাতে পেরে, যারা চাইলেই আর সভ্য সেজে ফিটফাট হয়ে আর কারো সামনে অভিনয়ের জন্য দাঁড়াতে পারবেনা।
ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করল। আমি ইচ্ছাকরেই ট-বগিতে উঠেছি।
ট্রেনটি প্রায় নরসিংদী পাড় করছিল। আমি বগির গেইটের পাশে দাঁড়িয়ে চারপাশ দেখছিলাম।
এমন সময় প্রায় ৩০ হবে এমন একজন যুবক এসে আমার সামনে দাঁড়াল। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছিল যে তার মন এক শঙ্কায় আচ্ছন্ন। কিছু নিয়ে খুব গভীর চিন্তা করছে।
আমি নিজ থেকে যেচেই তার সাথে কথা বলে তার মন খারাপের কারণ জানতে চাইলাম।
সে আমার আগ বাড়িয়ে কথা বলাতে কিছুটা বিরক্ত হচ্ছিল।
আমি বললাম, ‘‘শেয়ার করেন দেখবেন হালকা লাগবে।’’
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই সে বললো, ‘‘ আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি।’’
তার কথা শুনে আমি তো হাসতে হাসতে শেষ।
সে আমার উদ্দাম হাসি দেখে জিজ্ঞাস করলো, ‘‘এতে হাসির কি হল?’’
আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘‘সিনেমায় দেখেছি নায়িকার বিয়ে ঠিক হলে, মানে নায়ক বাদে অন্য কারো সাথে ঠিক হলে বাড়ি থেকে পালায়। তা আপনি কি কারণে পালিয়েছেন?’’
‘‘আমিও বিয়ের ভয়ে পালিয়েছি।’’ সেও হাসতে হাসতে বললো।
আমি হাসতে হাসতে তার কাছে আবারও কারণ জানতে চাইলাম।
‘‘আমি একজন সমকামী। আমার ভালোবাসা, কামনা সব পুরুষে জাগে, কোন মেয়েতে না। আমি যদি বিয়ে করি প্রকারান্তরে একজন মেয়েকে ধোকা দেওয়া হবে। নষ্ট হবে আমার, সেই মেয়েটির আর আমার ভালোবাসার জীবন। অপশন দুইটা ছিল। হয় আত্মহত্যা করবো, নাহয় বাড়ি থেকে পালাবো। কি করবো বলুন? সমাজ সংসার তো আর আমাদের ইচ্ছা কে মেনে নিবেনা।’’ করুন সুরে সে কথা গুলো আমাকে বলে গেল। তার চোখের কোণে জল দেখতে পেলাম।
শুনেছি নির্মল ভালোবাসায় নাকি চোখে জল আসে। ছেলেটির চোখের জলই প্রমাণ করছে তার অব্যক্ত ভালোবাসাকে।
আগে বিশ্বাসই হতোনা যে একজন ছেলে অন্য একজন ছেলেকে এতটা ভালোবাসতে পারে। অবচেতন মনে নিজের চোখেও জল চলে আসলো। আসবেই না কেন, আমিও যে একজন ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে চলেছি।
ছেলেটার অবস্থার কথা মনে হতেই নিজেকে সেখানে রেখে ভাবতে শুরু করলাম। না! এই দৃশ্য আমি ভাবতেও পারছিনা। খুব করুন সেই অনুভূতি।
নিজের মনেই বলতে লাগলাম, ‘‘ইস! সমকামিতায় যদি আর বাঁধা না থাকতো।’’
সাথে সাথেই শুনতে পেলাম, ‘‘তোর শেষ আর তৃতীয় ইচ্ছাটি পূর্ণ করা হল।’’
সাথে সাথেই দেখতে পেলাম ছেলেটিকে তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে। ছেলেটি তার ভালোবাসার মানুষটি কে বলছে, ‘‘বাবা- মায়ের কাছে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি। তুমি তাদের কাছে আমাদের বিয়ের প্রস্তাব দিও।’’
বুঝতে বাকি রইলোনা যে আমার শেষ ইচ্ছাটিও পূর্ণ হয়েছে। নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছিল এই ভেবে যে, সমস্ত দুনিয়ায় সবাই কত সংগ্রাম করেও এই অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, আর আমি শুধু ইচ্ছা প্রকাশ করেই এই অসাধ্য সাধন করে ফেলেছি।
কে বলেছে অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্তের কাজ? এখন থেকে সবাই বলবে মাসুদের কাজ।
এমন সব ভাবনা আর নিজ মনে হাসতে হাসতে কখন যে কমলাপুর এসে পড়েছি তা খেয়াল করিনি।
ট্রেন থেকে নেমেই কিছু দূর যেতেই দেখতে পেলাম কয়েকজন লীলাবালি আমার দিকে ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে।
লীলাবালি বুঝলেন না? আররে ঐ যে কি যেন বলে, ও হ্যাঁ, কতিবন্দী ধরনের ছেলে।
তারা দ্রুত আমাকে ঘিরে ফেললো। আমার গায়ে বিশেষ জায়গায় স্পর্শ করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে লাগলো।
“তোমরা এমন করছো কেন? এমন দেখলে আশেপাশের লোকজন তোমাদের পাশাপাশি আমাকেও সমকামিতার জন্য সামাজিকভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।” তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে ভয়ার্ত হয়ে এসব সেই লীলাবালিদের বলতে লাগলাম।
আমার এমন কথা শুনে তারা হাসতে হাসতে অস্থির। এমনভাবে হাসতেছিল যেন মনে হচ্ছিল তা তা থৈ থৈ নৃত্য করছিল। “এই জান! তুমি বুঝি জানোনা যে সমকামিতা এখন আর অবৈধ নেই। দুষ্টু কোথাকার!”লীলাবালিদের একজন নৃত্যের তালে তালে কথাগুলো আমাকে দেহে হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো।
হঠাৎ করে তাদের মধ্যে থাকা একজন বলতে লাগলো, “মালটা কে এভাবে যেতে দেওয়া যায় না। ঐ সুস্মি, বিপস…. তোরা কি আমার সাথে মালটাকে খেতে যাবি? যদি চাস তাহলে আর বসে বসে নাগর খুঁজিস নে। জলদি চল।’’
লীলাবালিদের কথা শুনে আমি প্রায় জমে শেষ। দৌড় শুরু করে দিলাম। জীবন বাজি রেখে দৌড়াতে লাগলাম। যতই আমি দৌড়ে সামনে যেতে চাই ততই আমি পিছনে পড়ে যাই।
দেখি লীলাবালিরা আমার কাছে প্রায় আসন্ন। আমি চিৎকার করে আল্লাহকে ডাকতে লাগলাম আর নিজের তৃতীয় ইচ্ছাকে অপূর্ণ করে দেওয়ার জন্য প্রার্থণা করতে লাগলাম।
এখন দেখি দৌড়ের সাথে সাথে নিজের বাক শক্তিও যেন কমে যাচ্ছে। খুব অস্থির লাগছে।
হঠাৎ চোখ মেলে দেখি আমি বিছানায়। নিজের দেহে চিমটি কেটে দেখছিলাম বাস্তবে আছি নাকি কল্পনায়। চিমটির সুচালো অনুভূতির ফলে বুঝতে পারলাম ঘুমে দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।
দুঃস্বপ্নে দেখা নিজের ভয় নিজে কাটাতেই মনে মনে বলতে লাগলাম, “এ যে দুঃস্বপ্ন নয়, এটা স্বপ্নদোষ।’’
কি বুঝলেন???????
*****(সমাপ্ত)*****
উৎস: অন্যভুবন