প্রসঙ্গ: বাংলাদেশে ক্যুয়ের আর্ট + অপ্রাসঙ্গিক আলাপ

exiledesire

আরম্ভে ব্যক্তিগত প্যাঁচাল

ক্যুয়ের আর্ট কি বাংলাদেশ এ সম্ভব? এর অস্তিত্ব কি এখনো আছে – নব্য ইসলামী সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে? এমন প্রশ্নের মাঝে দাড়িয়ে যখন এই লেখা শুরু করেছি , তখন মাথায় আরেক প্রশ্ন গুঁতো মারে – বাংলাদেশ এর সামাজিক পরিকাঠামোতে ক্যুয়ের আর্ট এর প্রাসঙ্গিকতা কতখানি ? ঢাকাকেন্দ্রিক আর্টিস্ট , ইণ্টেলেক্ট দের ‘ই বা “ক্যুয়ের আর্ট / পরিচয় এর রাজনীতি” সম্পর্কে কতখানি স্বচ্ছ ধারনা ? ঢাকায় বেড়ে ওঠা এবং মূলধারার আর্ট স্কুল তথা মধ্যবিত্ত শিল্প চর্চার সামাজিক গণ্ডিতে প্রায় ৬ বছর টিকে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে একথা বেশ সচেতন ভাবেই বলতে পারি, জেন্ডার এবং সেক্সুয়ালিটির রাজনীতি সম্পর্কে এখানে সচেতনতা খুবি কম , শূন্যের কোঠায় প্রায় ! মূলধারার আর্ট স্কুলে যারা পড়তে যান , বা যারা আরও খানিকটা বেশী সামাজিক সুবিধা ভোগী শ্রেণী হিসেবে ঢোকেন “পাঠশালা”/ বিদেশী শিক্ষা নিয়ে দেশে ফেরেন; দুদলের মাঝেই সমস্যা জনক ভাবে প্রকট পুরুষতান্ত্রিক + Hetronormative চিন্তা ভাবনা / আচরণ প্রবল । এবং এ দলে সামাজিক ভাবে পরিচয় প্রদানকারী নারী পুরুষ উভয়েই আছেন । এই সমস্যা সঙ্কুল প্রেক্ষাপটে তাহলে “ক্যুয়ের আর্ট” নিয়ে লিখতে বসলাম কেন ? কারণ , আমাদের চেনা ন্যারেটিভ এর বাইরে বিকল্প ন্যারেটিভ তৈরি করা অল্প কিছু আর্ট ( কিম্বা নন আর্ট ) এর গ্রহণযোগ্যতার হিসেব নিকেশ করার একটু চেষ্টা করা । আর, আরও খানিকটা ভাবনা উশকে দিতে চাই , প্রভাবশালী মূলধারার আর্টিস্ট দের sexuality এবং আকাঙ্খার সমস্যাজনক উপস্থাপনা সম্পর্কে । বলে নিতে চাই, এই লেখা এবং চিন্তা বহুলাংশে আমার নিজস্ব ঢাকা কেন্দ্রিক জীবন অভিজ্ঞতা এবং আমার সাম্প্রতিক পশ্চিমী একাডেমিক জ্ঞান দ্বারা উদ্বুদ্ধ / প্রভাবিত। বাংলাদেশের অঞ্চল ভিত্তিক এবং উপনিবেশিক ইতিহাসের ক্যুয়ের subtext বা ৭০ ‘উত্তর বাংলাদেশী শিল্প ইতিহাসের কাজের ক্যুয়েরিও করন বা বিশ্লেষণ এই আলোচনার আওতায় নেই। আলোচনার সুবিধায় বাছাই করা হয়েছে উত্তর আধুনিক এবং সমসাময়িক শিল্পধারায় কাজ করা প্রথাগত আর্টিস্ট এবং আমাদের কম জানা বাংলাদেশি ক্যুয়ের subculture এর মানুষদের নিজস্ব ভিসুয়াল ন্যারেটিভ এর প্রকাশনা, ভিডিও , পারফর্মেন্স আর্ট , থিয়েটার , ফটোগ্রাফি , মিছিল ইত্যাদি।

Without Any Window of His Own

ক্যুয়ের আর্ট – পরিচয় এর ব্যাবসা নাকি ন্যারেটিভ ভাঙ্গার চেষ্টা ?

বাংলাদেশ এর শিল্প প্রেক্ষাপট এ ক্যুয়ের আর্টিস্ট এবং আর্ট উভয়কেই যুদ্ধ করতে হয় সনাতনী শিল্পচিন্তা , হাতেগোনা গ্যালারি/ফাউন্ডেসন এবং ঢাকা কেন্দ্রিক শিল্প বাজার, পুরুষতান্ত্রিক মূলধারার আর্টিস্ট কমিউনিটি এবং শিল্প / চিন্তা অজ্ঞ নিজ কমিউনিটির প্রত্যাখ্যান এর সঙ্গে। এলিট ঘেঁষা নব্য বাংলাদেশী ভিসুয়াল কালচারে , ক্যুয়ের মানুষদের ভিসুয়াল ন্যারেটিভ এর গ্রহণযোগ্যতা / বিশ্বাসযোগ্যতা কম এবং ক্যুয়ের পরিচয়ে আত্মপ্রকাশকারি শিল্পীর সামাজিক শ্রেণী অবস্থান এর কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ন্যারেটিভ এর উদ্দেশ্য হয় প্রশ্নবিদ্ধ। আমার নিজস্ব জীবন অভিজ্ঞতা থেকে জানা, বাংলাদেশী ক্যুয়ের শিল্পী পরিচয় দানকারী ৯০ % শিল্পীর মূলধারার শিল্প বাজার এ প্রবেশে আছে অনুচ্চারিত নিষেধাজ্ঞা বা অজানা বাঁধা । ফলে বড় এক অংশের নতুন প্রজন্মের ক্যুয়ের আর্ট এর সঙ্গে পরিচয় হয় না মূলধারার শিল্পী / দর্শকদের। এই আর্টিস্টদের বড় অংশই সামাজিক পুঁজি এবং ধনী শ্রেণীর বাসিন্দা নন , দেশী বিদেশী শিল্প প্রতিষ্ঠান দ্বারা উৎপাদিত শিল্পী নন , মূলধারার শিল্প বনাম বাজার কাঠামোয় বিশ্বাসীও নন এদের অনেকেই । ফলত আমরা এদের আলাদা করি – হিজরা নাচিয়ে, ক্রস ড্রেসার, ড্রাগ কুইন, সমকামী একটিভিসট, পাতি ইউটিউবার হিসেবে । এই ৯০ % উপেক্ষিত ক্যুয়ের শিল্পীর মাঝে যে আরেকজন TOM OF FINLAND লুকিয়ে নেই সে কথা কি পুরুষতান্ত্রিক শিল্পী সমাজ হলপ করে বলতে পারেন ?

Queer Art
5
10

এবার আসুন দেখি বাঁধা পেরিয়ে টিকে থাকা , স্বীকৃতি সন্ধানী ১০% শিল্পীদের দিকে । এই হাতেগোনা ক্যুয়ের পরিচয়ে পরিচিত আর্টিস্ট দের গ্রহণযোগ্যতার যুদ্ধ আরও খানিকটা বেশী । পরিচয় প্রকাশের রাজনীতিতে এরা খানিকটা এগিয়ে গেলেও, ক্যুয়ের পরিচয় এর বাইরে এদের কাজ সম্পর্কে গভীরে ভাবতে নারাজ পুরুষতান্ত্রিক +Hetronormative শিল্পী সমাজ। তাদের ক্যুয়ের পরিচয়ের স্বীকৃতি এবং আকাঙ্ক্ষার যে ন্যারেটিভ, তার গ্রহণযোগ্যতার পথখানিও তৈরি করতে হয় এই শিল্পীদের নিজেদের । এই শিল্পীরা একইসঙ্গে একটিভিসট, উদ্যোগতা, পরিচয়ের রাজনীতির প্রশিক্ষক এবং স্ব- উদবুদ্ধ ভাবে নিজের ন্যারেটিভ উপস্থাপনের জায়গা খোঁজেন / তৈরি করেন । এ দলের শিল্পীদেরও সামাজিক পুঁজি এবং সুযোগের অভাব আছে , তাই অনেকক্ষেত্রেই সামনে এগুবার তাগিদে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বনাম বাজার -শিল্পের চাহিদার মাঝখানে বোঝাপড়ার সাম্যবস্থা তৈরি করতে হয় তাদের । এই দলের ক্যুয়ের আর্ট এ উত্তর আধুনিক এবং সমসাময়িক শিল্পের প্রত্যক্ষ নিরীক্ষা দেখতে পাই আমরা। কিন্তু প্রশ্ন তৈরি হয় এই আর্টিস্টদের বাজারমুখি টিকেথাকার প্রবণতা নিয়ে । ক্যুয়ের পরিচয় কি এদের কাজের একমাত্র হাতিয়ার নাকি ক্যুয়ের আর্টের নামে মনোযোগ কাড়ার ব্যাবসা?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আসুন আমরা দেখি এই প্রশ্ন উত্থাপনকারি শ্রেণীকে । ক্যুয়ের আর্টকে অভিযুক্ত করা হয় সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ , পার্শ্বত সুযোগ সন্ধানী ,ক্যুয়ের পরিচয়ধারি মানুষের সামনে আসবার ধোঁকা হিসেবে । প্রশ্ন এবং কৌতূহলী জিজ্ঞাসা আসে মূলধারার আর্টিস্ট এবং এলিট একটিভিসট দুতরফ থেকেই । দুতরফেই ক্যুয়ের আর্ট নিয়ে এ অসুবিধার মূল কারণ আসলে সেই দূষিত এলিট কেন্দ্রিক , পুরুষতান্ত্রিক +Hetronormative মনোভাব। প্রগতিশীল মানবমুক্তির কথা মুখে কিম্বা কলমে যেখানে যতভাবেই এরা বলেন না কেন, পুরষতন্ত্রের সাদা কাপড়ে ক্যুয়ের ন্যারেটিভ এর কালো কাদা লাগলে এদের বড্ড অসুবিধা হয় । তাই হেজমনিকে উদযাপন করেন এরা সংখ্যালঘু ক্যুয়ের মানুষের ইচ্ছের গল্পকে কোণঠাসা করার মাধ্যমে । দিনশেষে তাই সুযোগ সন্ধানী ক্যুয়ের আর্ট এবং আর্টিস্ট ব্রাত্য, জায়গা খুঁজতে হয় একাডেমী / দুর্দশার গল্পের ঘেরটোপে ! আর এমন করেই ন্যারেটিভ ভাঙ্গার চেষ্টা করা ক্যুয়ের মানুষেরা তাদের জায়গা হারান বাংলাদেশী শ্রেণী কাঠামোর বাজারি শিল্পে ।

বিষমকামের আধিপাত্যবাদ – ক্যুয়ের ভোগান্তির মালিকানা কার ?

এই যে এতও মন খারাপ এর কথা বললাম , এর মাঝেও কি ক্যুয়ের পরিচয় / ভোগান্তি নির্ভর শিল্প উৎপাদন থেমে আছে ? উত্তর – না থেমে নেই । নব্য বাঙ্গালী মুসলমান এর দেশ – বাংলাদেশের ক্যুয়ের জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির রূপকথা শোনার এবং জানার আগ্রহের কমতি দেশে থাকলেও , বিদেশে কিন্তু আগ্রহের কমতি নেই ! আগ্রহ যখন আছে পাশ্চাত্যের , আগ্রহ মেটানোর দায়টুকুও তো আর এড়াতে পারেন না আমাদের প্রভাবশালী বিষমকামী শিল্পীরা ! সাথে আবার যখন বাড়তি পাওনা ক্যুয়ের সহমর্মিতার এলিট বাহবা !!!

বাংলাদেশী ক্যুয়ের জনগোষ্ঠীর মূলধারার শিল্প বাজার / সমাজ এ নিজ পরিচয়ে অবস্থান নেই বললেই চলে । আর এই সুযোগে, ভোগান্তির সুব্যাবহার করতে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব হয় মূলধারার আধিপাত্যবাদি পুরুষ এবং নারী শিল্পীদের। বন্যা দুর্গত , আদিবাসী , বস্তিবাসী ,রানা প্লাজা পেরিয়ে এদের আর্ট এবার খানিক মন দেয় যৌন সংখ্যালঘুদের দুর্দশার চিত্রায়নে । বাংলাদেশ এর সবচাইতে প্রান্তিক যৌন সংখ্যালঘুদের ( হিজরা , কতি ) দুর্দশার চিনি মাখানো , স্বপ্নিল ফটোগ্রাফিক / ফিল্মিক রুপায়ন শুরু করেন তারা ।

উপকরণ ( ক্যুয়ের ভোগান্তি ) এর সহজলভ্যতা , ভোগান্তির মালিকানা সম্পর্কে ক্যুয়ের জনগোষ্ঠীর অসচেতনতা, আর বিদেশী বেনিয়া শিল্প জাদুঘর এর আগ্রহে ( পড়ুন funding এ ) দুর্দশা নির্ভর আর্টের এই উৎপাদন হলেও তাতে ভোগান্তির স্বীকার ক্যুয়ের জনগোষ্ঠীর দুর্দশা কতখানি কমেছে তা জানবার ইচ্ছে হয় এই আধিপাত্যবাদি শিল্পীদের কাছ থেকে ।

Questioning Gender Through Art

জানতে পেরেছি বুদ্ধিবৃত্তিক ( ?) , সমকালীন শিল্প পাঠের আখড়া “পাঠশালা” কিম্বা আরও কিছু হাতেগোনা সমকালীন NGO শিল্প সংগঠনে বিষয় হিসেবে বেছে নিতে শেখানো হয় অপ্রচলিত বিষয় তথা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখগাথা । এই প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ভীষণভাবে মধ্যবিত্ত এলিট কেন্দ্রিক ,পুরুষতান্ত্রিক +Hetronormative । অসম্ভবভাবে সমকামভিতী রয়েছে এই প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে । শিল্পীদের নিজের জীবন অভিজ্ঞাতা নির্ভর শিল্পচর্চা এড়িয়ে এই যে Exotic ক্যুয়ের জনগোষ্ঠীর দুর্দশার Hetronormative appropriation তার ফলে আরও কোণঠাসা হয় এবং সমস্যাজনকভাবে উপস্থাপিত হয় ক্যুয়ের জনগোষ্ঠী এবং তাদের আকাঙ্খা । মজার ব্যাপার হল, ক্যুয়ের পরিচয়ে পরিচিত শিল্পীদের যতখানি অবজ্ঞা ভরে দেখেন এই বিষমকামী শিল্পীরা ততখানি আবার উদযাপিত হন এই বিষমকামী শিল্পীরা নিজেরা এবং বাহবা কুড়ান তাদের ক্যুয়ের ভোগান্তি ব্যাবহার করে উৎপাদিত শিল্পের জন্যে।

এতক্ষণ যারা এই লেখাটা পড়ছেন , তাদের অনেকের কাছেই খুব একপেশে লাগতে পারে এইসব যুক্তি / তথ্য , তাদের জন্যে প্রশ্ন – আচ্ছা ভাবুনতো একজন হিজরা মানুষ নিজের জীবন অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি একটা performance কিম্বা ফটোগ্রাফ করেন তা ঢাকার কয়টি মূলধারার প্রদর্শনশালায় ঠাই পাবে ? কয়জন কুয়ের মানুষের জায়গা মিলবে বাঁকা মনের চাহনি এড়িয়ে চারুকলা / বৃত্ত কেন্দ্রিক শিল্প আড্ডায় ?

একজন বিষমকামী পুরুষ কিন্তু চাইলেই পারেন না একজন বিষমকামী নারীর যাতনা দুঃখ নিয়ে শিল্প সৃষ্টি করতে , কিন্তু সমকামের তকমা থাকলেই তার ভোগান্তির মালিকানা চলে যায় বিষমকামী মানুষদের হাতে। ক্যুয়ের ভোগান্তির মালিকানা আদায়ে তাই খুব বেশী দেরী হলে ক্যুয়ের শিল্প এবং শিল্পী উভয়েই হারাবে তাদের খুব ছোট টিকে থাকার জায়গাটুকু , অনেক বাঁধা পেরিয়ে যা এখনো রয়েছে খানিকটা ।

মধ্যবিত্ত ক্যুয়ের রুচি

মধ্যবিত্ত ক্যুয়ের রুচি আসলে কি ? শ্রেণী বৈষম্যের বাংলাদেশে ক্যুয়ের মানুষদেরও যে সমস্যাজনক বর্ণবাদী রুচি বোধ এর নিজস্ব ব্যাপার থাকবে তা আর এমন কি অবাক করা ! পরিচয় , আত্মপ্রকাশের রাজনীতি এবং এর ন্যারেটিভ আত্মস্থ করবার সঙ্গে যে কিছু মধ্যবিত্ত সামাজিক সুবিধা জড়িত তা আশা করি যারা এই লেখা পড়ছেন তারা খানিকটা বুঝতে পারেন । ঢাকা কিম্বা diaspora culture এর মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী ক্যুয়ের সমাজের এক ভদ্রলোকি মাপকাঠিকেই বলবার চেষ্টা করছি “মধ্যবিত্ত ক্যুয়ের রুচি ” । এই রুচি বোধ তৈরি করি আমরা পাশ্চাত্য কেন্দ্রিক বা রাবিন্দ্রিক bubble এ ঢুকে । ফলে, আমরা ভুলে যাই আমাদের এই চেনা শহর এবং শিক্ষার বলয় এর বাইরে বাস করে বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্যুয়ের জনগোষ্ঠী এবং তাদের আকাঙ্খা প্রকাশের মাধ্যম এবং ভাষা আমাদের ঠিক করা রুচি বোধের সঙ্গে ঠিক মেলে না বলেই আমরা একে নাক কুঁচকে তাচ্ছিল্য করে পাশে সরিয়ে রাখতে পারি না । আমরা ভুলে যাই ক্যুয়ের আকাঙ্ক্ষার বৈচিত্র্য এবং তা প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের যুদ্ধের কথাটা ।

Saiyaan

কিছুকথা বাকি থাক

এই প্রাসঙ্গিক / অপ্রাসঙ্গিক আলাপে আরও অনেক অনেক না বলা কথা , বিষয় রয়ে যায় । শাহবাগ এর রংধনু মিছিল কিম্বা আমাদের না জানা প্রান্তিক হিজরা জনগোষ্ঠীর থিয়েটার , অথবা কতি সমাজের পোশাকের রাজনীতি এমন আরও অনেক বিষয় নিয়েই ভাবতে বসেছিলাম । আমাদের চেনা শিল্প / শিল্পী পরিধির বাইরের এই মানুষেরা নিজেদের জীবন দিয়ে শিল্প তৈরি করেন । তা নিয়ে আমার মত নব্য প্রবাসী না- মানুষ আজ না লিখলেও ,ক্যুয়ের শিল্প এবং শিল্পীর তালিকায় তারা আছেন , থাকবেন । এই মানুষেরা তাদের জীবন এবং শিল্প যাপন করেন নিজের তাগিদে; রাষ্ট্র , সমাজ বা কারো অনুমোদনের আকাঙ্খায় নয় ।

উৎস: রূপবান ব্লগ

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.