Know Thyself

মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়েকে বা ছেলে হয়ে ছেলেকে ভালালাগা বা ভালোবাসার নাম সমকামী।

কিন্তু এমনটাও হরদম ঘটছে অনেকেই নিজেকে সমকামী দাবি করেন। সমলিংগের মানুষের সাথে সম্পর্কে জড়ায়, স্বপ্ন দেখায়, বাকি জীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার করে, শরীরী প্রেমে ডুবে যায়। কিন্তু তারপর মাত্র ঘুম ভেঙেছে এমনভাবে হুড়মুড় করে উঠে বসে। মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে বসে যায়। তার মনে হতে থাকে আসলে এটা দুঃস্বপ্ন ছিলো, কিছুই ঘটেনি। সে কীভাবে সমকামী হতে পারে। তার বাবা, মা, পরিবার, আত্মীয়, সমাজ সবার প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। তাকে বিয়ে করতে হবে, সন্তান জন্ম দিতে হবে। “হাম সাথ সাথ হ্যায়” হ্যাপি ফ্যামিলি নিয়ে ভাবতে ভাবতে এতোদিনের রিলেশনশিপকে ফুহ করে উড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। অথচ ততোদিনে হয়তো ক্যালেন্ডারের পর ক্যালেন্ডার পুরনো হয়েছে। ৬ মাস, ১ বছর বা ৫ বছর পার হয়ে গেছে। অপরদিকে ধোঁকা খাওয়া হতবিহ্বল, ভাষাহীন, কান্না ভুলে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকার সামনে বর্ণহীন আগামী!

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব মুখোশধারী সুবিধাবাদী তথাকথিত “সমকামী” বেড়েই চলেছে। সত্যিকারের হোমোসেক্সুয়ালদের ফাঁদে ফেলে নিজেদের ঘৃণ্য খেলা খেলে যাচ্ছে।

আরেক দিক থেকে তাকালে দেখা যায় কিছু ছেলে-মেয়ে নিজেদের সেক্স ওরিয়েন্টেশন সম্পর্কে অজ্ঞ বা অনিশ্চিত থাকায় পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু তারপরই নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এরপর নিত্য টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে কেউ ডিভোর্সের দিকে যায় আবার কেউ কেউ সারাজীবন “খোঁড়া” সম্পর্কটা বয়ে বেড়ায়। একই ফলাফল হয় কিছু গে বা লেসবিয়ানের ক্ষেত্রেও যারা সাহসের অভাবে বা পরিবারের চাপে পড়ে বিয়েতে সম্মত হয়। তাদের পরিণতিও বিবাহবিচ্ছেদ বা আজীবনের অতৃপ্ত সংসার!

সবশেষে বলতে চাই, আপনি যদি যৌন পরিচয় নিয়ে দ্বিধান্বিত হন তাহলে আপনি সমকামী কিনা সেই উত্তর আগে খুঁজে নিন। এরপর আপনি যদি সমকামী হন তাহলে সমলিংগের কারো সাথে বাকি জীবন শেয়ার করতে চান কিনা ভাবুন। যদি না চান বা আপনার সাহসের অভাব থাকে তাহলে আপনার মতোই বাস্তবতা মোকাবিলার সাহস নেই এমন কোনো সমকামীর সাথে সম্পর্কে জড়ান। আর যারা ফেক সমকামী, স্রেফ কামনা মেটাতে চান তারা স্বপ্ন না দেখিয়ে, ভবিষ্যত সংসারের আশ্বাস না দিয়ে পেশাধারীদের কাছে যান। বিকৃত ক্ষুধা মেটানোর জন্য কিছু পয়সা-ই না হয় খরচ করলেন!

Source: BAH ( Bangladesh Against Homophobia)

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.