
গোলাপীতে শুধু বউ সাজা হবে নীল রঙ্গে হয় বেদনা
ক্রুদ্ধ যোদ্ধা লাল অবতার, ওগো বধূ তুমি কেঁদোনা
লম্বা চুলে লক্ষী সাজো, ঘর ভরা শুধু তুলসী
নীল গোলাপীর দোদুল দোলায় সেই কবে থেকে দুলছি
ছেলে হও দিদি ছেলে হও তুমি, তবেই না তুমি স্বার্থক
প্যাঁচ দিয়ে শাড়ী, ঘোমটা তোলো গো,দুঃখ তোমার পার্থ
এত কথা এসে জমা হল শেষে সংবিধানের ফাঁকিতে
পারেনি ওরা পারবেও না তোমার ছবি আঁকতে
আঙুল উচিয়ে বলে দাও তুমি, দেবী নই আমি নারী
আমার কথা আমার কণ্ঠে শানিয়ে বলতে পারি।
“আমি সুস্মিতা মীরা এবং আমি বিষণ্ণ কবিতা লেখি”, আমাকে কখনো জিজ্ঞাসা করা হলে আমি যেটা বলতে চাই। কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্য নয় কারণ আমি রাগী কবিতা লিখি এবং এটা আসলে আমার আসল নাম নয়। অতঃপর, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমি শুধু লুকিয়ে যাচ্ছি। খোলস এবং মেকআপের নীচে এই সমস্ত আবেগ লুকিয়ে রাখছি যতক্ষণ না আমি রঙিন হয়ে বের হয়ে আসতে পারি। কিন্তু এখানে আমার এই মত প্রকাশের মাধ্যম টাতে আমি বলেছি সেসব ভুল ধারণা এবং প্রত্যাশা সম্পর্কে, যেটা কেউ নিজেকে নারী হিসেবে পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে সমাজ তার উপর স্থাপন করে দেয়। আবার সেই একই সমাজ প্রতিবারই ব্যর্থ হয় নারী শব্দটির অন্তর্ভুক্ত আছে এমন একটা বাস্তব চিত্র আঁকতে।