ঠাহর (দ্বিতীয় সংখ্যা)

সম্পাদক
ছোটন

অনেক সময়, অনেক কিছু করবার আকাঙ্ক্ষা থাকে, যা ভাবি করবো কিন্তু তা করা হয়ে ওঠে না। এই ছোট কাগজ নিয়ে ভাবনার পরিসীমা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও পরবর্তী বাস্তবায়নে হতাশার পারদ বাড়তেই থাকে। হয়ত কাজ করবার অবহেলা, হয়তো সুযোগ সুবিধার অভাব কিংবা সিদ্ধান্তহীনতা। ঠাহরের প্রথম সংখ্যা প্রকাশের পরে কথা ছিল প্রতি ছয় মাসে একটি করে সংখ্যা প্রকাশিত হবে। কিন্তু দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশ হতে একবছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। তবুও প্রকাশ হবে কি হবে না সেই ধোঁয়াশা আপাতত কাটানো গেলো। বিলম্বিত করার উপহার স্বরূপ, আপনারা এই সংখ্যার অনলাইন সংস্করণের পাশাপাশি, মুদ্রিত সংস্করণেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে কথা দিতে পারছিনা, পুনরায় আবার মুদ্রিত সংস্করণ আমরা করতে পারবো কিনা।

ঠাহর সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে লিঙ্গ, যৌনতা এবং কুইয়ার প্রকাশভঙ্গীকে তুলে ধরা। এই সংখ্যাটিতে হয়ত বিশেষ ইস্যু নিয়ে কাজ করা হয়নি তবুও এলোমেলো ভাবে সংগ্রহীত লেখাগুলোর মাঝে বিশেষ মিল রয়েছে। সেই মিলকে হয়তো বলা যায় ‘আত্নো-বিশ্লেষণ’ বা ‘ আত্নো-উপলব্ধি’। আত্নোবিশ্লেষণ এমন ভাবে ঠাহরের লেখাগুলোতে এসেছে যেখানে এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া ঘটিয়েছে। প্রান্তিক যৌনতার মুখোমুখি হয়ে তাকে আড়ালে রাখার সময়টাতে যে সকল ফ্যাক্টগুলোর কাছে আমরা আশ্রয় খুঁজে নেই হতে পারে বই, সিনেমা, প্রিয় কোন সেলিব্রেটি , আদর্শিক চরিত্র বা মানুষদের কর্মকাণ্ড ও পারফর্মেন্স যা মানসিক ভাবে প্রশান্তি দেয় এবং টিকে থাকার অন্যতম নিয়ামক। এই নিজেকে একটু একটু করে প্রকাশ করবার যেই মন-সন্ধি তা অনেকের লেখাতে স্পষ্ট, তাছাড়া লৈঙ্গিক পরিচয়ের সামাজিকীকরণ এবং নিজস্ব সম্প্রদায়ের মাঝে জেন্ডার বহুত্বের ইতিবাচকতা প্রচার এবং সেই সাথে পারিবারিক, ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন স্তরে কুইয়ার সম্প্রদায়ের যে অভিযোজন সেটার বহিঃপ্রকাশ লেখাগুলোতে উঠে এসেছে। প্রিয় পাঠক, সব মিলিয়ে লেখকদের লেখা পর্যালোচনা থেকে বুঝতে পারবেন একটি স্বতন্ত্র কুইয়ার প্রাণীর চোখে সমাজ, রাষ্ট্র, সম্প্রদায়কে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। আরো আছে জেন্ডার সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা।

উৎস
ঠাহর (দ্বিতীয় সংখ্যা)
মন্দ্র থেকে প্রকাশিত জেন্ডার, সেক্সুয়ালিটি এবং কুইয়্যার বিষয়ক ম্যাগাজিন

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.