
অরিত্র হোসেন
“ওহ তাদের মধ্যেও এগুলো আছে!” – আমি লাইনটি পড়ে অবাক হয়ে অনেকক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি এক পর্যায়ে নিজেকে বিড়বিড় করে বললাম, “এই নিয়েও সন্দেহ?” বিস্মিত হবার কি আছে এই এক লাইন নিয়ে সেটার পুরো ব্যাখা দিচ্ছি- ধৈর্য ধরুন! সম্প্রতি আমি ‘Introduction to Queer Studies’ নামক এক বেসিক কোর্সে সহ-শিক্ষকতা করছি। মানুষজন কম নয়- প্রায় ৬৪ জন।
যেহেতু ই-ক্যাম্পাস, অনলাইন কোর্স, সেহেতু সারা আমেরিকা থেকেই কেউ না কেউ কোর্সটি নেওয়ার সুযোগ পায়। আমার এই কোর্সে তা ব্যতিক্রম ঘটেনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বয়সের ভিন্নতা স্পষ্ট। কেউ নিজের আইডেন্টিটি বুঝার জন্য নেয়, কেউ নিজের সন্তানদেরকে ভালোভাবে বোঝার জন্য নেয়, অনেকে শুধু জানার জন্য নেয়। তাই আমাকে আমার কলিগ খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়ে বলেছেন যেন আমি সবকিছুর দিকে ভালোভাবে নজর দেই। যেহেতু অনলাইন কোর্স- কেউ কাউকে যেন আঘাত করে না কথা বলে, খুব অবান্তর কথা বলে অপমান না করে, কারোর আইডেন্টিটি নিয়ে ঠাট্টা না করে- সম্মানের সাথে সবকিছু নিয়ে আলাপ, ক্রিটিক করে এসব আমাকে সুন্দর করেই বয়ান দিয়েছেন তিনি। তবুও আমি কিঞ্চিৎ ভয়ে থাকি। পান থেকে চুন খসলেই কি তে কি হয়ে না যায়- ওগুলো কিভাবে সামাল দেব?
এই এক লাইনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অনেক অবান্তর আলাপ করলাম। এবার বলেই ফেলি। কুইয়ার স্টাডিজ কোর্সে কয়েকটি ডিসকাশন বোর্ড আছে। প্রথম ডিসকাশন বোর্ডে আলাপ করতে বলা হয়েছিল কিছু রিডিং ম্যাটেরিয়ালের উপর। ‘টু স্পিরিট’ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সেই শিক্ষার্থী সেই কথা তুলেছিল। ঐতিহ্যগতভাবে, নেটিভ আমেরিকানদের মধ্যে এটি প্রচলিত- পুরুষ, মহিলা এবং কখনও কখনও আন্তঃলিঙ্গ ব্যক্তি, যারা পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্রিয়াকলাপকে একত্রিত করে তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ করে। মূলত এটি একটি শব্দ যা কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যবহৃত হয়, যা তাদের সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক, যৌন এবং লিঙ্গ পরিচয়কে প্রজ্বলিত করে। শব্দটি লিঙ্গ পরিচয়, আধ্যাত্মিকতা এবং আদিবাসী সংস্কৃতিতে যৌন ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যের দীর্ঘ জটিল ইতিহাস প্রতিফলিত করে। তবে সেই শিক্ষার্থী বলেছিল “নেটিভ আমেরিকানদের মধ্যেও ট্রান্স আছে?”। শুনে মনে হয়েছিল যে মাঝেমধ্যে যে মানুষজনের কাছে শুনি যে, “শুধু আমেরিকাতেই গে আছে। বাংলাদেশে, আমাদের এই এশিয়ায় এগুলো হল ওয়েস্টার্ন ইম্পোর্ট। ওরা আমাদের উপর ক্ষমতা চাপায় দিতে চায়”। যদিও আমেরিকা সহ ওয়েস্ট যে তাদের কুইয়ার ইতিহাস দিয়ে পুরো কুইয়ার সংস্কৃতিকে সাজিয়ে বিশ্বে এক নতুন ‘ঔপনিবেশিকতা’-এর উৎসব করছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই, তবে সেই ক্রিটিক করতে গিয়ে সবকিছু গোলমাল করে জট পাকিয়ে রেখেছি আমরা কতো! জট ছাড়াতে গিয়ে সেই মাকড়শার চেয়ে জটিল জালে হাবুডুবু খাই আমি মাঝেমধ্যে।
শব্দ নিয়ে রাজনীতি তো নতুন কিছু না। এই রাজনীতির ইতিহাস সাংঘাতিক খতরনাক, কি তে যে কি হয়ে গেল! মনে পড়ে গেলো এক ঘটনার কথা। ২০১৬-এর আগে দুটো বড় বড় বাংলাদেশের ‘এলজিবিটি’ সংগঠন যখন দাপিয়ে বেড়াতো নিজেদের মতো, তখন তারা দুটো শব্দ দিয়ে পুরো কমিউনিটিকে ভাগ করে দিয়েছিল প্রখরভাবে। এক সংগঠন বরাবরই মতো ব্যবহার করতো ‘সমকাম’, যা হোমোসেক্সুয়ালের সরাসরি অনুবাদ। এই শব্দ নিয়ে অনেকের মাথা ব্যথা লক্ষিত হয়। এক বিরাট সংখ্যক মানুষজন তাদের নিজেদের পরিচয় উহ্য রেখে, ছদ্ম নাম দিয়ে ফেসবুকে আইডি তৈরি করে এলজিবিটি কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ করতো। সাহিত্য পেইজ, গ্রুপও তৈরি হয়েছিল ভুড়িভুড়ি। সেখানে তারা একটি শব্দ ব্যবহার করা শুরু করলো, আর সেটা হল ‘সমপ্রেম। তাদের মতে এই তাদের অস্তিত্বকে ‘কাম’ দিয়ে সমাজের কাছে তুলে ধরা একদমই সঠিক নয়। কাম ছাড়াও জীবনে আছে প্রেম। আর প্রেমই পবিত্র। এই ‘সেক্স’ কনজারভেটিভ সমাজে সেক্স সম্পর্কিত ট্যাবু নতুন কিছু না- তবে এই কাম বনাম প্রেম-এর আলাপটা কিন্তু শুধু সাদামাটা শব্দের রাজনীতি নয়, এটি অস্তিত্ব, চয়েজের রাজনীতি। হেটেরোনরমিটিভির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছেই ‘ট্রেডিশন’-কে জিইয়ে রাখা। এই সেপারেশন পলিটিক্সে ‘টেডিশন’ মিটিমিটি জয়ের হাসি হাসে আর সেই ‘সমপ্রেম’ শব্দটি আরেকটি সংগঠন গ্রহণ করে নিলো তাদের স্বার্থে, যাতে এই সংখ্যক মানুষজন তাদের ছাতার নীচে এসে বসে। তখন আর মুভমেন্ট শুধু দাবি আদায়ের থাকলো না, হয়ে গেলো এক অবান্তর ‘দাবা খেলা’। ঠিক তেমনি ‘কুইয়ার’ শব্দটি নিয়েও রাজনীতি দৃশ্যমান। কবে থেকে বাংলাদেশে এই শব্দটির বিস্তৃত ব্যবহার শুরু হয়েছে তা বলা মুশকিল।
তবে আমি যেহেতু প্রায় এগারো, বারো বছর ধরে কমিউনিটিতে আছি, কাজ করছি- আমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলে আমি বলবো, ২০১৯-২০২০ এর দিকে। হুট করে হয়নি, সেই বছরগুলোতে অনেক নতুন তরুণ মানুষজন কমিউনিটিতে এসেছে, নতুন গ্রুপ তৈরি হয়েছে, মূলত তরুণ মানুষজনের মধ্যে একটি সিংহভাগ অনলাইনে জেন্ডার, সেক্সুয়ালিটি সম্পর্কিত বিষয়বস্তু নিয়ে খুবই সচেতন, আলাপ তোলে, পড়াশুনা করে। তারা সবাই ‘ইন্টেলেকচুয়াল এলিট’, তাই হরেক রকম জ্ঞান আহরণের পিছনে তাদের প্রিভিলেজ প্রকাশ পায়। ২০১৬ সালে জুলহাজ-তনয় হত্যাকাণ্ডের পর যখন ২০১৭ সাল থেকে অল্প অল্প করে কমিউনিটি আবার জেগে উঠতে লাগলো তখন অনেকগুলো ‘সমস্যা’ চোখে ধরা দিতে লাগলো।
‘এলজিবিটি’ শব্দটি তখন বাংলাদেশে ম্যাস অডিয়েন্সের কাছে খুব পরিচিত না হলেও এক ধরণের ধারনা তৈরি করতে পেরেছিল, তাই একটি ‘সেইফ’ ওয়ার্ড তখন খুব দরকার হচ্ছিল। (যদিও তখন এলজিবিটি এর সাথে কিউ, আই, + ব্যবহার ছিল কিন্তু ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়নি।) ‘কুইয়ার’ যদি সে কারণেই পপুলাইজড হয়ে থাকে বলে দাবি করা যায় সেটা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা যায় না। সংগঠনগুলো ‘কুইয়ার’ শব্দটি সেফটি নেট হিসেবে শুরু করলো ব্যবহার করতে- তবে প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি আদৌ বুঝে শুনে, ‘কুইয়ার’ শব্দের রাজনীতি, ইতিহাস জেনে শুরু করেছে? উত্তর হতে পারে ‘না’ এবং তাতে কোন ভুল নেই। মুভমেন্টের আদর্শ যেখানে অদৃশ্যমান, পলিটিকাল ডিসকোর্স হারিকেন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না, খুচরা কাজকর্ম করে, এনজিও নির্ভর প্রজেক্ট করে টাকা এনে খালি একটার পর একটা কাজ হচ্ছে, সেটার কোন প্রকার অ্যাসেসমেন্ট হয় না, যদিও একটু হলেও ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটিতে হচ্ছে- তবুও জ্ঞানহীন, সেখানে শব্দের ব্যবহার বুঝে শুনে হচ্ছে কিনা এই কনসার্ন তোলাও ব্যাপক বিদ্রূপাত্মক। আমি শুধু অন্যের দোষ দিয়েও যাবো না, এই সিস্টেমের বড় অংশ জুড়েই আমি আছি এবং আমার ব্যর্থতাও দৃশ্যমান। তবে ব্যাপারটা এই নয় যে সিস্টেম পরিবর্তনে চেষ্টা চলছে না, কিন্ত যখন কালেকটিভলি একটা কমিউনিটির স্ট্র্যাকচারই মরিচা ধরা, এবং সেটাকে বাঁচাতে অনেকেই চেষ্টা করছে, পরিবর্তনের কথা না শুনার ভান করে জীবনযাপন করছে তাদেরকে ‘অ্যাকাউন্টেবল’ করার মানুষজনের সংখ্যাও কম। আমার মতো যারা চেষ্টা করে তাদেরকে চুপ করে বসে থাকতে হয় কারণ মানুষজনের সমর্থন প্রকাশ্যে পাওয়া যায় না। তারাই আবার চুপিচুপি বলে, “ওহো, ওরা ওরকম। পরিবর্তন প্রয়োজন।” এমন দ্বিচারিতার জন্যই আজ এমন বেহাল দশা।
আলাপ মোড় নিয়ে আরেক রাস্তায় এসেছে। একটু লাগাম টানি। বর্তমানে সবাই তাদের পরিচয় নিয়ে সচেতন। নানা ধরণের টার্ম বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে, সেগুলো বাংলাদেশেও আমদানি হয়েছে। তবে ‘কুইয়ার’ শব্দটিকে ওয়েস্ট থেকে আমদানি করা হলেও দেশে কিন্তু বিভিন্ন মানুষ একে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে। অনেকের কাছে ইতিহাস, কনটেক্স না জানা সত্ত্বেও খানিকটা কাছাকাছি অর্থ বের করতে পেরেছে। অনেকেই বলে ‘কুইয়ার’ অদ্ভুত, আমার অস্তিত্ব অদ্ভুত কেন। আবার অনেকেই বলে এই এক অন্যরকম অদ্ভুত। কুইয়ার আমার অদ্ভুতা প্রকাশ করে। আমি নিজে অনেক ধরণের স্টেজ পার করেছি, যেখানে আমার নিজের পরিচয় নিয়ে আমার সংশয় ছিল, পরিবর্তিত হয়েছে স্টেজ অনুযায়ী। আমার কাছে, আমার আইডেন্টি মানেই কুইয়ার। এটার সাথে আমার সব ধ্যানধারণা- রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সব কিছুই সম্পর্কযুক্ত। কুইয়ার শব্দটি ফেলে দিলে, আমিও বিলীন হয়ে যাবো। কুইয়ার আমার কাছে পরিচয়ের চেয়েও বেশি কিছু। এই শব্দ আমাকে প্রকাশ করে। আমার সবকিছুই ‘কুইয়ার’। একাডেমিক আলোচনায় ‘কুইয়ার’-কে শুধু একটা ‘অ্যাম্ব্রেলা টার্ম’ নয়, এর চেয়েও বিরাট ক্যানভাসে দেখা হয়। যেমন ফেমিনিজম শুধুমাত্র পুরুষ-নারী সমতা কথা বলে না, এটি গতানুগতিক পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ক্রিটিক করে একটি বৈচিত্র্যময় স্ট্র্যাকচারকে স্বীকৃতি দেয়। সেক্সিস্ট, মিসোজিনিস্টিক, রেসিস্ট, ক্লাসিস্ট, কুইয়ারফোবিক কালচারকে ক্রিটিক করে ‘ইন্টারসেকশনালিটি’-কে প্রমোট করে। তবে ‘ব্ল্যাক ফেমিনিজিম’ আরও বৈচিত্র্যময় এবং ‘ইন্টারসেকশনাল’। ‘কুইয়ার’-ও এই ইন্টারসেকশনালিটির অংশ, যা পরিধিকে আরও বিস্তৃত করে। কুইয়ার যে শুধু এলজিবিটি নিয়েই কথা বলে, শুধু তাদের অস্তিত্বকে জানান দেয় তা নয়- সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে বিদ্যমান জেন্ডার, সেক্সুয়ালিটি, ক্লাসসহ সকল স্তরের সকল ‘অসমতা’-কে তুলে ধরে। বলা যেতে পারে ফেমিনিজমকে নতুনভাবে পরিচয় দিয়েছে কুইয়ার, আরও বৈচিত্র্য করেছে- যা একে অন্যের পরিপূরক।
তথাকথিত ‘হেটেরোনোরমেটিভ’ কালচারকে যারা প্রত্যাখ্যান করে, জেন্ডার আইডেন্টিসমূহকে আরও উন্মুক্ত করে তাই হল কুইয়ার। কোন প্রকার প্রতিষ্ঠিত পরিচয়ের প্যাঁচকে গোনায় ধরে না কুইয়ার। আমার সাথে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন- আর এটাই হল কুইয়ার শব্দটির বিউটি, সৌন্দর্য্য। তবে সবাইকে যে কুইয়ার শব্দটিকে ক্লেইম করতে হবে তা নয়- আর অনেকে করেও না। কে কোনটা ক্লেইম করবে সেটা তার স্বাধীনতা।
১৯২০-এর দিকে গালি হিসেবে ‘কুইয়ার’ এর প্রচলন শুরু করলেও, পরবর্তীতে ১৯৯০-এর দশকে ‘গে রাইটস মুভমেন্ট’-এ ঢালাওভাবে এই শব্দটিকে ‘রিক্লেইম’ করে প্রচার করেছে। ‘রিক্লেইম’ করাও মুভেমেন্টে একটি রাজনৈতিক অবস্থান। ‘Q’ যদিও ‘Questioning’ হিসেবে যুক্ত হয়েছিল LGBTQ-তে, কিন্তু ব্যাপক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে মানুষজন এখন ‘Q’ হিসেবে ‘Queer’-কেই ধরে। যেভাবেই বাংলাদেশে ‘কুইয়ার’ শব্দটির আসুক না কেন, কারোর উপর চাপিয়ে দেওয়া এক ধরণের উপনিবেশবাদী আচরণ। পশ্চিম থেকে আমদানিকৃত টার্মগুলো এখনও বাংলাদেশের কমিউনিটিতে দাপটতা দেখাচ্ছে, যদিও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে মাঝেমধ্যে। টার্মগুলো মধ্যে দেশীয়করণ লক্ষণীয়। তবে নিজেদের পরিচয়কে নিজেদের কন্টেক্সে তুলে ধরার লড়াই এখনও বহু দূরে।
আলাপে ইতি টানতে ইচ্ছে না করলেও এখানে লাগাম টানতে হচ্ছে। ‘কুইয়ার’ নিয়ে আলোচনা আরও বৃহৎ পরিসরে হোক, প্রাসঙ্গিক সমালোচনা হোক। চোখ বন্ধ করে সবকিছু গ্রহণের অভ্যাস থেকে বের হয়ে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার মাধ্যমে ‘মুভমেন্ট’ অর্থবহ হোক, তা কি উচ্চাকাঙ্ক্ষী চাওয়া? ভেবে দেখুন। কুইয়ার স্টাডিজ নিয়ে পড়াশুনা করছি তো আজকাল, প্রতিদিন একটি করে ‘এপেফেনি’-এর আবির্ভাব হয়। আমরা যা শিখেছি তা মাঝেমধ্যে “Unlearn” না করলে গতানুগতিকতা আঁকড়ে ধরে। চিন্তার দুনিয়া হোক উন্মুক্ত, হোক আরও “কুইয়ার”।
প্রথম প্রকাশিত
মন্দ্রপত্র (প্রথম সংখ্যা)
একটি মন্দ্র প্রকাশিত ছোট পত্রিকা