
অভ্রলীকা
বিক্ষোভের কিছু পরেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে থাকা গোলাপের সেই পাপড়ি টা আমাকে নিয়ে যায় ছেলেবেলায়। তখন ঘরে লাল আর বেগুনি আলো আসত। সেই সাথে আসত কয়েকজন বিড়াল। দেহ মাড়ানো ছাড়াও মানুষের একটা আকাঙ্খা থাকে, যাকে বিড়ালের ছোট ছোট থাবায় রাতযাপন করতে হয়েছিল। প্রতিদিন একটু একটু করে ছোট হতে হতে পিঁপড়ের মত হয়ে গিয়েছিল সে। এরপর দেড়শো বছর ধরে মানুষ আনমনেই বিক্ষোভে যায়, তার একটা কলমের চিৎকার পিষে যায় থাবায়। দেড়শো বছর ধরে মানুষ একাকিত্ব যাপনে বিক্ষোভে যায়, এরপর নিজেই উপড়ে ফেলে বাম হাতের নখ। গোলাপের মালা গায়ে দিয়ে বিড়াল ছোট ছোট থাবা ফেলে ঘন রাত্রে। বড়জোর সেই গোলাপের পাপড়িকেই লুটিয়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তায়।
প্রথম প্রকাশিত
আসর
বাংলাদেশের প্রথম ও ভিন্ন ঘরানার বহুমাত্রিক ক্যুইয়ার নারী সংকলন