
দিব্বু দত্ত
শৃঙ্গ বসিয়ে দিয়েছে যেন সিনায়।
এত গভীর, এত ভারী যেন মুখ ফুটে দীর্ঘশ্বাসও বের হয় না।
“খালি হু হু করে ভেতরে, হু হু!”
কী শব্দ বসাবো জবানে?
তালাবদ্ধ যে বুক, তার চাবি কি খুঁজে পাবে?
জীবন প্রতারণা করে।
কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই।
জন্ম, শরীর, পরিবার, ধর্ম, কাল, জলবায়ু।
এর মধ্যে আকৃতি প্রাপ্ত হই চারপাশ দ্বারা।
প্রথম যে চোখমেলা ছিল কোনপ্রকার পক্ষপাত ছাড়া তা বিলুপ্ত হয়।
নিয়ত হয়ে উঠি তাই যা প্রত্যাশিত, নিয়মের ভেতর।
দেখে শিখাও যতদূর দেখা যায়।
কী হবে যদি প্রশ্ন করা যায় সবকিছু?
কী হতাম?
একটা আবছা নীল ফোঁটা ঘুরছে মহাশুন্যে।
তার মধ্যে কী অর্থ বানানো যেখানে নগন্য বলাও বেশি পরিমাপে।
শুরু হয়েছে প্রশ্বাসে, নিঃশ্বাসে বন্ধ হবে।
ঈশ্বর থাকুক বা না থাকুক,
এত জীবনের গ্লানিবোধ ছোঁয়ায় নিত্য।
রাজি আছি শ্মশানেও জ্বলতে, কবরেও পঁচতে।
তবু বিনিময়ে না থাকুক সাগরতলে নোঙ্গর ফেলা দুঃখ।
সবার চিত্ত শান্ত হোক।
ভালোবাসুক।
একাকিত্ব গ্রাস না করুক এই মহা কালো অন্ধকারে।
নিয়ত যেন পিষ্ট না হয় কারো আপেক্ষিকতা।
না মিলুক জন্মানোতেই অভিশপ্ততার চিন্ময়।
প্রথম প্রকাশিত
মন্দ্রপত্র (প্রথম সংখ্যা)
একটি মন্দ্র প্রকাশিত ছোট পত্রিকা